অবশেষে আইপিএল ট্রফি এখন বিরাট কোহলির হাতে। কোহলিকে আইপিএল ট্রফি জেতাতে কাল সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাঁহাতি স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দেন এই স্পিনার, উইকেট ২টি। ম্যাচসেরার পুরস্কার তাই ক্রুনালের হাতেই উঠেছে। এ তো গেল ফাইনালসেরা, কাল আইপিএল শেষে পুরস্কার পেয়েছেন আরও অনেকেই।

এবার আইপিএলের উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন সাই সুদর্শন। বাঁহাতি এই ওপেনার রান করেছেন ৭৫৯, টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। তাই উদীয়মান খেলোয়াড়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের পুরস্কার ‘পার্পল ক্যাপ’টাও জিতেছেন গুজরাটের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। সাই জিতেছেন ‘ফ্যান্টাসি কিং অব সিজন’ পুরস্কারও।

টুর্নামেন্টের ‘সুপার স্ট্রাইকার’ হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ৭ ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার রান করেছেন ২৫২, স্ট্রাইকরেট ২০৬.

৫৫। এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ২৫ উইকেট পেয়েছেন গুজরাট পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তাই তাঁর মাথায় উঠেছে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’।

প্রথম আলো

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

আনচেলত্তির অভিষেকে মন ভরাতে পারল না ব্রাজিল

ইকুয়েডর ০ : ০ ব্রাজিল

নিজের প্রথম ম্যাচেই হতশ্রী ব্রাজিল দলকে কার্লো আনচেলত্তি আমূল বদলে দেবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে আতবিশ্বাস ও উন্নতির আশা নিশ্চয় অনেকেরই ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি।

ব্রাজিলের পারফরম্যান্স আনচেলত্তির চেয়ে বরং গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়া দরিভাল ‍জুনিয়রকেই বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। এমনকি ইকুয়েডর যদি ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা না দেখাত, তবে গোল শূন্য ড্র হওয়ার পরিবর্তে এই ম্যাচে হারতেও পারত ব্রাজিল।

এই ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে।  

আরও পড়ুনএ মাসেই বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ব্রাজিলের কী হিসাব, আর কারা পাচ্ছে টিকিট১২ ঘণ্টা আগে

আনচেলত্তির প্রথম দিনের অনুশীলনের পরই ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশের কথা জানায় ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। ইকুয়েডরের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম ম্যাচে সেই একাদশই মাঠে নামান ইতালিয়ান এই কোচ। তবে আনচেলত্তির অধীনে এখনো মানিয়ে নিতে না পারার বিষয়টি ব্রাজিলের খেলায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।

হুটহাট কিছু ভালো আক্রমণ তৈরি করলেও, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার বেশ অভাব ছিল। বল দখলে রাখতেও বেশ হিমশিম খাচ্ছিল ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের চেয়ে ইকুয়েডরই তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ছিল। তবে প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারাও।

বিরতির পর ব্রাজিলকে চেপে ধরে ইকুয়েডর। শুরু থেকেই আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে তারা। কিন্তু বক্সের কাছাকাছি গিয়ে খেই হারাচ্ছিল ইকুয়েডরের খেলোয়াড়রা। মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফিনিশিংয়ে ইকুয়েডর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।

ইকুয়েডরের চাপের মুখে একপর্যায়ে জোড়া বদল আনেন আনচেলত্তি। রিচাার্লিসন ও এস্তেভাওয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়া। কিন্তু তাতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি ব্রাজিলের খেলায়।

ইকুয়েডরের ওপর সাময়িক কিছু চাপ প্রয়োগ করলেও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে ইকুয়েডরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভালে। এই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের ছায়াতেই ঢাকা ছিলেন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলেোয়াড়রা।

ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি ইকুয়েডর। ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ