2025-07-01@07:55:30 GMT
إجمالي نتائج البحث: 37
«জ লহজ র»:
হজ শারীরিক, আর্থিক ও আত্মিক ইবাদত। হজে রয়েছে সামাজিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা, যা জীবনব্যাপী প্রতিফলিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুবিদিত মাসসমূহে হজব্রত সম্পাদিত হয়। অতঃপর যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা স্থির করে, তার জন্য অশ্লীলতা, কুৎসা, অন্যায় আচরণ, ঝগড়া ও কলহ-বিবাদ বিধেয় নয়।’ (সুরা-২ বাকারা; আয়াত: ১৯৭) অনেকে সঠিকভাবে হজ সম্পন্ন করতে পারেন না। হজ করে এলেও অনেকে জীবনব্যাপী হজের শিক্ষা ধারণ ও পালন করতে পারেন না। হজ প্রকৃত অর্থে মানবতার প্রশিক্ষণ। হজ শেখায় পৃথিবীর সব মানুষ একই পিতা-মাতার সন্তান। মানুষে মানুষে কোনো ধরনের ভেদাভেদ নেই, সাদা-কালোয় কোনো প্রভেদ নেই। জিলহজ মাসের ৭ তারিখে সব হাজি মিনার তাঁবুতে গণবিছানায় গিয়ে একাত্মতার ঘোষণা দেন। ৯ জিলহজ হাজিরা আরাফাতের ময়দানে গিয়ে ঐক্যের অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেন; মিলিত হন আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে। এদিন সন্ধ্যায় (জিলহজের ১০...
কোরবানি মুসলমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামী শরিয়তের আলোকে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোরবানি করা আবশ্যক। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। এমন ব্যক্তি যদি ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে তাকে কোরবানি করতে হবে। নিসাব হচ্ছে- সাড়ে সাত ভরি সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রূপা অথবা এগুলোর সমমূল্যের অর্থ বা সম্পদ থাকা। (আল মুহিতুল বুরহানি : ৮/৪৫৫) কোরবানি করার সময় হলো জিলহজের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। এই তিনদিনের যে কোনো দিন কোরবানি করা জায়েজ। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সর্বাপেক্ষা উত্তম। তারপর দ্বিতীয় দিন। তারপর তৃতীয় দিন। জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কোরবানি করা...
কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় নির্ধারণ শরিয়াহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; কারণ, এটি নির্দিষ্ট দিন ও সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়। ইসলামি ফিকহ অনুযায়ী, কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত সময় হলো জিলহজ মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলো। শাইখ সাইয়্যেদ সাবিক তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ফিকহুস সুন্নাহে উল্লেখ করেছেন, কোরবানির জবাই করতে হবে:১. কোরবানির দিন: জিলহজের ১০ম দিন, যা ঈদুল আজহার দিন। এটি কোরবানি জবাইয়ের প্রধান দিন।২. তাশরিকের দিনগুলো: জিলহজের ১১, ১২ এবং ১৩ তারিখ। এই তিন দিন তাশরিকের দিন হিসেবে পরিচিত এবং এই সময়েও কোরবানি জবাই করা যায়।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তাশরিকের সব দিনই জবাইয়ের দিন’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১৯,৪১৬)। এই হাদিস থেকে স্পষ্ট যে জিলহজের ১০ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোরবানি জবাইয়ের জন্য বৈধ সময়।জিলহজের ১১, ১২ এবং ১৩ তারিখ। এই তিন দিন তাশরিকের দিন...
আজ বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের ৮ তারিখ পবিত্র হজের দিন। ভোর থেকে দলে দলে হজযাত্রীরা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে হাজির হচ্ছেন। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আরাফাতের ময়দান মুখর হয়ে উঠেছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার। হজের তিনটি ফরজের একটি আরাফাতের ময়দানে হাজিদের অবস্থান। এটিই হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্ব থেকে আসা নানা ভাষার, নানা বর্ণের মুসলিমরা আরাফাতের ময়দানে সারা দিন অবস্থান করবেন। আরাফার আদিগন্ত মরু প্রান্তর এক অলৌকিক পুণ্যময় শুভ্রতায় ভরে উঠেছে। সফেদ-শুভ্র দুই খণ্ড কাপড়ের এহরাম পরিহিত হাজিদের অবস্থানের কারণে সাদা আর সাদায় একাকার। হাজিরা সূর্যোদয়...
সৌদি আরবের স্থানীয় সময় আজ ৯ জিলহজ পবিত্র হজ। ফজরের নামাজের পর আল্লাহর মেহমানরা মিনা থেকে রওনা হচ্ছেন আরাফাতের ময়দানে। এ সময় তাঁদের মুখে মুখে ধ্বনিত হবে—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।হজের তিনটি ফরজের একটি আরাফাতের ময়দানে হাজিদের অবস্থান। এটিই হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্ব থেকে আসা নানা ভাষার, নানা বর্ণের মুসলিমরা আরাফাতের ময়দানে সারা দিন অবস্থান করবেন। খুতবা ও নামাজের মধ্য দিয়ে এখানে সারা দিন পার করবেন। হাজিরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকির-আসকার ও প্রার্থনায় মগ্ন থাকবেন। হাজিরা এখানে জোহর ও আসর...
মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা। অন্যান্য দেশের হজযাত্রীরাও মিনায় সমবেত হয়েছেন। বুধবার ৮ জিলহজ মিনায় সমাগমের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। মিনার বিস্তীর্ণ প্রান্তর এখন ‘লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক’ ধ্বনিতে মুখর। বিত্ত-বৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজিরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজিদের মন ব্যাকুল। তারা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। হাজিদের পরিধানে এখন সেলাইবিহীন শুভ্র দুই টুকরো কাপড়। আজ তারা ধনসম্পত্তির জন্য লালায়িত নন মোটেও। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চান। তারা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চান। সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চান। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং দলের দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকও এখন মিনায় অবস্থান করছেন। আরো পড়ুন: বাংলাদেশি হাজিদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব...
পশু কোরবানি করা হজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১৩তম তারিখে, বিশেষ করে ঈদুল আজহার দিন (১০ জিলহজ) মক্কায় হাজিরা কোরবানি সম্পন্ন করেন। তামাত্তু হজ ও কিরান হজ যাঁরা করেন, তাঁদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব আর ইফরাদ হজ হলে কোরবানি করা মুস্তাহাব।এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে ৫ থেকে ৯ জুন। কোরবানি শুরু হবে ৬ জুন। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রী হজে অংশ নেবেন, যাঁদের প্রায় সবাই একটি করে পশু কোরবানি দেবেন। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ হাজি অংশ নিলে মক্কায় লাখ লাখ পশু কোরবানি হবে। এই বিশাল কার্যক্রম সৌদি সরকার ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।কোরবানির পদ্ধতিহজের সময় কোরবানি সম্পন্ন হয় বিভিন্ন পদ্ধতিতে। হাজিরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান ও জামারায় পাথর নিক্ষেপের পর কোরবানির প্রস্তুতি নেন।...
ঈদের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয়। বিশেষ করে ঈদের দিনে মুমিনরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সময় কল্যাণকরভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই শুভেচ্ছার দোয়া হলো: তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম (আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন)প্রিয় নবী (সা.) এই দোয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ের শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা ঈদের দিনে একে অপরকে বলতেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’।উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।ঈদের তাকবির পড়ার নিয়মঈদুল আজহার সময় ৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর নামাজ পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবির পড়া সুন্নত। এই তাকবির একবার উচ্চস্বরে এবং তিনবার নিম্নস্বরে পড়তে হয়। তাকবিরটি হলো:উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা...
প্রতিবছর জিলহজ মাসের দশম দিনে মুসলিম বিশ্বে উদ্যাপিত হয় ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এই দিন কেবল আনন্দের নয়; বরং কোরবানির ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির অপূর্ব মিলনবিন্দু। একই সময় আসে হজের মৌসুম, লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।নামের তাৎপর্যবিভিন্ন সংস্কৃতিতে পবিত্র ঈদুল আজহার ভিন্ন ভিন্ন নাম। মাগরিব (উত্তর আফ্রিকা) অঞ্চলে এটি ‘ঈদুল কাবির’ বা বড় উৎসব নামে পরিচিত। সিরিয়া ও ইরাকের কিছু এলাকায় এটি ‘ঈদুল হাজ্জাজ’ ও তুরস্ক, ইরানসহ এশিয়ার কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি ‘ঈদুল কোরবান’ নামে পরিচিত। আরবি শব্দ ‘ঈদ’ অর্থ যা নিয়মিত ফিরে আসে। ইসলামে বছরে মাত্র দুটি ঈদের বিধান দেওয়া হয়েছে—পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এই দুটি উৎসব ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রোজা ও হজের সঙ্গে সংযুক্ত।কোরবানির মাংস তিন ভাগে...
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর জন্য ত্যাগ ও আনন্দের এক পবিত্র উৎসব। এই দিনে কোরবানি বা কোরবানি হলো হজরত ইবরাহিম (আ.)–এর ত্যাগের স্মারক এবং ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। কিন্তু আর্থিক সংকটে থাকা অনেক মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, যদি কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে, তাহলে কি ঋণ নিয়ে কোরবানি করা যাবে? এই কোরবানি কি বৈধ হবে, নাকি নিজের অর্থ দিয়েই এটি করতে হবে?কোরবানি সুন্নাহইসলামে কোরবানি একটি সুন্নত। এটি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। বিধান হিসেবে বলা যায়, স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, সাবালক মুসলিম যদি কোরবানি ঈদের তিন দিন (১০ জিলহজ সকাল থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত) জাকাত পরিমাণ সম্পদের মালিক (সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা এর যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসার...
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ, যা হজরত ইবরাহিম (আ.)–এর ত্যাগের স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলে। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, যদি কেউ আর্থিক সংকটের কারণে কোরবানি দিতে না পারেন, তাহলে কী করবেন? এতে কি কোনো গুনাহ হবে?কোরবানি সুন্নাহ না ওয়াজিবসাধারণত কোরবানি ইসলামে একটি উত্তম সুন্নাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে কোরবানি দিয়েছেন এবং সাহাবিরাও তাঁর এই সুন্নাহ অনুসরণ করেছেন। বিধান হিসেবে বলা যায়, স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, সাবালক মুসলিম যদি কোরবানি ঈদের তিন দিন (১০ জিলহজ সকাল থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত) জাকাত পরিমাণ সম্পদের মালিক (সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা এর যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসার পণ্যের মালিক) থাকেন বা হন, তাঁর জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। (আলমুহিতুল বুরহানি ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫)এমন না হলে...
জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার আগে প্রয়োজনীয় ক্ষৌরকর্ম করা, অর্থাৎ নখ কাটা, গোঁফ ছঁাটা, চুল কাটা ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং জিলহজের চাঁদ ওঠার পর থেকে ১০ তারিখে কোরবানির পশু জবাইয়ের আগপর্যন্ত কোনো প্রকার ক্ষৌরকর্ম না করা ও কোরবানির পশু জবাইয়ের পর ওই দিনের মধ্যে ক্ষৌরকর্ম করা (অন্তত নখ কাটা) সুন্নত। এতে একটি কোরবানির সওয়াব পাওয়া যায়।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কোরবানি করবে, তারা যেন (এই ১০ দিন) চুল ও নখ না কাটে।’ (মুসলিম: ৫২৩৩, ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা: ২২৭) ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য নাই, সে যেন এই দিন তার মাথার চুল, নখ, গোঁফ কেটে ফেলে এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করে। এ-ই আল্লাহর নিকট তার কোরবানি।’ (আবুদাউদ, নাসায়ি, ত্বহাবি, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৩০৫)জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে ৯...
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন মুসলিম জীবনে এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক সময়। মহান আল্লাহ এই দিনগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন, যখন সৎকর্মের প্রতিদান বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এমন কোনো দিন নেই, যেদিন সৎকর্ম আল্লাহর কাছে এই দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিন) তুলনায় বেশি প্রিয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৬৯)দিনগুলো কেন এত বিশেষজিলহজের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা বহুমুখী। প্রথমত, এই সময়ে ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ করে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করে দিয়েছি, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করেছি এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করেছি।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৩)দ্বিতীয়ত, ইমাম ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, এই দিনগুলোয় ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ—শাহাদাত, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত একত্র হয়, যা অন্য কোনো সময়ে এভাবে মিলিত হয় না। এই...
আগামী ৫ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ মুসল্লি হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৭৪ হাজার ৩১৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছে গেছেন। বাকি হজযাত্রীরা দু-এক দিনের মধ্য পৌঁছে যাবেন। পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে আগামী মঙ্গলবার ৩ জুন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৌদি আরবের মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন। মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনায় কেউ যাবেন গাড়িতে, কেউবা হেঁটে। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হাজিরা ৭ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার এশার নামাজের পর হাজিরা মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন। ছয় দিন পর তারা মক্কায় নিজেদের সাময়িক বাসস্থানে ফিরবেন। মিনায় অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। সঙ্গে যা রাখবেন পুরুষ হাজিদের মক্কায়...
তামাত্তু হজ। এক ইহরামে ওমরাহ শেষ করে আরেক ইহরামে মূল হজ করাকে তামাত্তু হজ বলে। অনেক হজযাত্রী তামাত্তু হজ করেন। তামাত্তু হজের নিয়মগুলো দেখে নিন। ওমরাহর ইহরাম (ফরজ) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে আপনাকে গোসল বা অজু করে নিতে হবে। মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরতে হবে। অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া (লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...) পড়তে হবে। ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ) অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাঁ কাঁধের ওপর রাখাকে ইজতিবা বলে। হাজরে আসওয়াদ সামনে রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান। সেখানে ডান পাশে তাকালে সবুজ বাতিও দেখতে পাবেন। এরপর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। এরপর ডানে গিয়ে এমনভাবে দাঁড়াবেন,...
বাংলাদেশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (শনিবার) সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এই হিসেবে, ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান...
দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৯ মে বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র জিলহজ মাস গণনা করা হবে। এ অনুযায়ী শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। আরো পড়ুন: জিলহজের চাঁদ উঠেছে, ৭...
বাংলাদেশের আকাশে আজ বুধবার পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।আজ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এই সভা হয়।গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে দেশটিতে ১০ জিলহজ আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। ঈদের আগের দিন ৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে।
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৭ জুন সারাদেশে ত্যাগের মহিমায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এই হিসেবে, ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
দেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ অনুযায়ী, আগামী ৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। বুধবার (২৮ মে) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এই তথ্য জানিয়েছে। বিস্তারিত আসছে... আরো পড়ুন: আশির দশকের পশুপাখি ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা/হাসান/রাসেল
চলতি বছর পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ জুন। সৌদি আরবের পর্যবেক্ষণকেন্দ্রগুলো পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এ–সংক্রান্ত এক বিবৃতি দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশ করা হয়।গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম যেকোনো মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়...
সৌদি আরবে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ওই দেশে আগামী ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। বাংলাদেশে ঈদুল আজহা কবে উদযাপন করা হবে, তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে। আজ বুধবার (২৮ মে) চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগামী ৭ জুন (১০ জিলহজ) ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। আজ চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার (৩০ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে এবং ঈদুল আজহা পালন করা হবে ৮ জুন। ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়...
সৌদি আরবে মঙ্গলবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে দেশটিতে ১০ জিলহজ আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আজ এ ঘোষণা দিয়েছে। খবর গালফ নিউজের ঈদের আগের দিন ৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে। এ ছাড়া ওমানও আগামী ৬ জুন ঈদুল আজহা উদ্যাপনের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ইন্দোনেশিয়া একই দিন ঈদুল আজহা উদ্যাপনের ঘোষণা দেয়। সাধারণত সৌদি আরব আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ঈদ উদ্যাপনের পরদিন বাংলাদেশে ঈদ উদ্যাপিত হয়ে থাকে। সে হিসাবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন (শনিবার) বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হতে পারে।
সৌদি আরবে আজ মঙ্গলবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে দেশটিতে ১০ জিলহজ আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আজ এ ঘোষণা দিয়েছে। ঈদের আগের দিন ৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে। এ ছাড়া ওমানও আগামী ৬ জুন ঈদুল আজহা উদ্যাপনের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ইন্দোনেশিয়া একই দিন ঈদুল আজহা উদ্যাপনের ঘোষণা দেয়।সাধারণত সৌদি আরব আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ঈদ উদ্যাপনের পরদিন বাংলাদেশে ঈদ উদ্যাপিত হয়ে থাকে। সে হিসাবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন (শনিবার) বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হতে পারে।
সৌদি আরবে জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর অর্থ হলো, চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন মাসের ২৮ মে বুধবার হবে পহেলা জিলহজ্জ। চাঁদের হিসেবে আগামী ৬ জুন সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। ঢাকা/শাহেদ
কোরবানির প্রস্তুতির সময় শরিয়াহর কিছু নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি, যাতে এই ইবাদতের পূর্ণতা ও তাৎপর্য বজায় থাকে। তার মধ্যে একটি হলো, যে ব্যক্তি কোরবানি দিতে চান, তাঁর জন্য জিলহজের প্রথম ১০ দিনে চুল-নখ না কাটা। এ সময় চুল, নখ বা ত্বকের কোনো অংশ কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব (উত্তম)।চুল-নখ কাটার বিধান কীসৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ ইবনে বাজ বলেছেন, ‘যদি কেউ কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করে এবং জিলহজ মাস শুরু হয়—হয় নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে, অথবা জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর—তবে তার জন্য কোরবানি জবাই না করা পর্যন্ত চুল, নখ বা ত্বকের কোনো অংশ কাটা থেকে বিরত থাকা উচিত।’ এই নির্দেশনার ভিত্তি হলো হজরত উম্মে সালামার (রা.) বর্ণিত একটি হাদিস। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা...
বেশির ভাগ হজযাত্রী তামাত্তু হজ করেন। এক ইহরামে ওমরাহ শেষ করে আলাদা ইহরাম করে হজ করাকে তামাত্তু বলে। ১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ)পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে গোসল বা অজু করে নিতে হবে। মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরুন, অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিন। শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া (লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...) পড়ে নিন। ২. ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ)অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাঁ কাঁধের ওপর রাখাকে ‘ইজতিবা’ বলে। হাজরে আসওয়াদ সামনে রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান (ডান পাশে তাকালে সবুজ বাতিও দেখতে পাবেন)। এরপর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। তারপর ডানে গিয়ে এমনভাবে দাঁড়াবেন, যেন হাজরে আসওয়াদ পুরোপুরি আপনার সামনে থাকে। এরপর হাত তুলে...
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। (বুখারি: ৭) আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)হজ ও ওমরাহর আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সফর করা, ভ্রমণ করা। পরিভাষায় হজ মানে হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা হারাম মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন।হজের নির্ধারিত স্থান হলো: মক্কা মুকাররমায় কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর রওজা শরিফ।হজের পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ হজ করা যায়। ইহরামসহ কাবাঘর তাওয়াফ করা ও সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথা মুণ্ডন করা বা চুল কাটা ওমরাহ হজের...
হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি এবং সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য ফরজ। হজ পালনের জন্য নির্দিষ্ট বিধিবিধান মেনে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ বা ১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিনের কার্যক্রম পালন করতে হয়। নিচে হজের পাঁচ দিনের কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো: প্রথম দিন (৮ জিলহজ): ইহরাম ও মিনায় অবস্থানইহরাম বাঁধা: হজের প্রথম দিন হজযাত্রীরা মক্কার হারাম শরিফ, বাসা বা হোটেল থেকে হজের নিয়ত করে ইহরাম বাঁধেন। ইহরামের জন্য পুরুষেরা দুই টুকরো সেলাইবিহীন সাদা কাপড় পরেন এবং নারীরা সাধারণ পোশাক পরে নিয়ত করেন। মিনায় যাত্রা: ইহরামের পর হজযাত্রীরা মিনার উদ্দেশে রওনা হনমিনায় কার্যক্রম: মিনায় ৮ জিলহজের জোহর থেকে ৯ জিলহজের ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। এ সময় মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। হজযাত্রীরা এখানে তাকবির, তাসবিহ, দোয়া এবং কোরআন তিলাওয়াতে...
সুরা হজ, পবিত্র কোরআনের ২২তম সুরা, মদিনায় অবতীর্ণ। এটিতে ১০টি রুকু এবং ৭৮টি আয়াত রয়েছে। এই সুরায় হজের বিধান, কোরবানির নির্দেশনা, কিয়ামতের ভয়াবহতা, মানুষের সৃষ্টি, আল্লাহর একত্ববাদ এবং সৎকর্মের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুরাটি হজের বিধানের উল্লেখের কারণে ‘সুরা হজ’ নামে পরিচিত। এ ছাড়া এটি বিশ্বাসীদের জন্য নামাজ, জাকাত, ধৈর্য এবং আল্লাহর ওপর ভরসার শিক্ষা প্রদান করে। সুরার প্রধান বিষয় সুরা হজের শুরুতে কিয়ামতের ভয়াবহতা এবং আল্লাহর প্রতি ভয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের সৃষ্টির সাতটি ধাপের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহর সৃষ্টিশক্তি তুলে ধরা হয়েছে: ‘হে মানবজাতি, পুনরুত্থান সম্বন্ধে তোমাদের সন্দেহ! আমি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, তারপর শুক্র থেকে, তারপর রক্তপিণ্ড থেকে, তারপর আংশিক আকারপ্রাপ্ত ও আংশিক আকারহীন চর্বিতপ্রতিম মাংসপিণ্ড থেকে...তারপর আমি তোমাদের শিশুরূপে বের করি, পরে তোমরা পূর্ণ যৌবনে...
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ করা হয়েছে, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা ও সফর বা ভ্রমণ করা। পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো বিশেষভাবে ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে খানায়ে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। হজের বিশেষ আমল বা কাজ হলো ইহরাম, তাওয়াফ ও সাঈ, অকুফে আরাফা, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দম বা কোরবানি, হলক ও কসর এবং জিয়ারতে মদিনা রওজাতুন...
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও হাজিদের নিয়ে ফ্লাইট যাত্রা শুরু করেছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ করতে যাবেন। তার মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। এবার হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক ও সহজ করতে হাজিদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এতে হাজিদের জন্য যোগাযোগ সুবিধা, হজ প্রিপেইড কার্ড এবং মোবাইল সিমের রোমিং সুবিধাও রাখা হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা। কোনো মুসলিম ব্যক্তির যদি পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরিফ থেকে হজ করে বাড়িতে ফিরে আসা পর্যন্ত আর্থিক সামর্থ্য থাকে, তাহলে তার ওপর হজ আদায় করা ফরজ। হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতার সমন্বয়ে এই ইবাদত...
কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সে সকল মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা আল–ইমরান, আয়াত: ৯৭) হজ সম্পন্নকারীকে ‘হাজি’ বলা হয়।সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য ওমরাহ পালন করা সুন্নত। ওমরাহর ফরজ দুটি—ইহরাম ও তাওয়াফ। ওয়াজিব দুটি—সাফা ও মারওয়া সাঈ করা এবং মাথা মুণ্ডন করা বা চুল কাটা। হজের নিয়তকে ইহরাম বলা হয়। সম্পাদন পদ্ধতি অনুসারে হজ তিন প্রকার—১. ইফরাদ, ২. কিরান ও ৩. তামাত্তু।শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে একে ‘ইফরাদ হজ’ (একক হজ) বলা হয়। ইফরাদ হজ পালনের জন্য ঢাকা থেকে শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে মক্কা শরিফে পৌঁছার পর তাওয়াফ ও সাঈ করে ইহরাম না ছেড়ে ১০ জিলহজ হজ সম্পন্ন হওয়ার পর ইহরাম ত্যাগ করতে হবে।হজ ও ওমরাহর জন্য একত্রে ইহরামের...
ঈদুল আজহা আগামী ৬ জুন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জ্যোতির্বিদ্যা–সংক্রান্ত একটি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি চলতি সপ্তাহে এই পূর্বাভাস দিয়েছে।আগামী ২৭ মে ইসলামিক চান্দ্রবর্ষের শেষ মাস জিলহজের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে ওই মাসের প্রথম দিন হবে ২৮ মে। এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ২৭ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২ মিনিটে আকাশে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ উঠতে পারে এবং সূর্যাস্তের পর প্রায় ৩৮ মিনিট পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে। সে হিসাবে ওই দিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এ পূর্বাভাস বহাল থাকলে ৫ জুন বৃহস্পতিবার হবে আরাফাহর দিন। আর ৬ জুন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা।সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সরকারি ছুটির পঞ্জিকা অনুসারে, আরাফাহর দিন...
রোজা রাখা সওয়াবের কাজ হলেও বেশ কয়েকটি দিন এমন আছে, যখন রোজা রাখাটা পুণ্যের নয় বরং পাপের কাজ। কারণ এই দিনগুলো আনন্দ উদ্যাপনের জন্য। এমন দিন মোট ৫টি।রোজা রাখা নিষিদ্ধ ৫দিন১. ঈদুল ফিতরের দিন, ২. ঈদুল আজহার দিন (জিলহজ মাসের দশ তারিখ), ৩. জিলহজ মাসের এগারো তারিখ, ৪. জিলহজ মাসের বারো তারিখ, ৫। জিলহজ মাসের তেরো তারিখ। শেষের ৩টি দিনকে বলা হয়, তাশরিকের দিন বা আইয়ামে তাশরিক। কেন নিষিদ্ধদুই ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। কারণ ঈদের দিন হলো আনন্দের দিন। এ-ব্যাপারে সকল আলেম ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার দিন রোজা রাখতে বারণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ১,৯৯২; মুসলিম, হাদিস: ৮২৭)তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখাও নিষিদ্ধ। অর্থাৎ, ঈদুল আজহার পরের তিনদিন (১১, ১২...
আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ তেলাওয়াত করা হবে। ১৭তম পারা পড়া হবে। এই অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু, কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যু, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফিতনা, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। সুরা আম্বিয়ায় নবী-রাসুলদের গল্পকোরআনের ২১তম সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এর আয়াত সংখ্যা ১১২। আরবি ‘নাবিয়্যুন’ শব্দের বহুবচন আম্বিয়া। অর্থ নবী বা আল্লাহর বিশেষ বার্তাবাহক। এ সুরায় ১৮ জন নবীর আলোচনা থাকায় এর নাম রাখা হয়েছে সুরা আম্বিয়া। ১৮ জন নবী হলেন, মুসা (আ.), হারুন (আ.), ইব্রাহিম (আ.), লুত (আ.), ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.), নুহ (আ.), দাউদ (আ.), সোলায়মান (আ.),...
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা ও তাঁর ভাইয়ের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ও বিকেলে শহরের শেরপুর সড়কের কানুছগাড়ি এলাকায় এসব মানববন্ধন হয়। দুপুরে কানুছগাড়ি এলাকার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধনে কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক উপদেষ্টা জোবায়ের হাসান বলেন, দেড় বছর আগে কানুছগাড়ি বণিক সমিতির কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এ কারণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠনের বিষয়ে বুধবার সভা আহ্বান করা হয়। এ জন্য গতকাল রোববার বিকেলে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে সবার দোকানে চিঠি দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর জেলা যুবদলের সদস্য কামরুল হাসান ওরফে ঝিনুক ও তাঁর বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন ওরফে কাঞ্চন ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কালামের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং তাঁকে মারধর করেন।জোবায়ের হাসান অভিযোগ করেন, যুবদল নেতা কামরুলের বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন কানুছগাড়ি বণিক সমিতির...