ওয়ানডেতে অধিনায়ক মিরাজের ব্যাট করবেন কোথায়
Published: 1st, July 2025 GMT
একজন ব্যাটসম্যান চাইলে সর্বোচ্চ ১১টি ব্যাটিং পজিশনে ব্যাট করতে পারেন। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ একটুর জন্য এই কীর্তি গড়তে পারেননি বলা যায়। তিনি ব্যাটিং করেছেন ৮টি ব্যাটিং পজিশনে।
ওপেন করেছেন তবে কখনো স্ট্রাইক নেননি। এর বাইরে ১০ ও ১১ নম্বরে নামেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে মিরাজ কোন পজিশনে ব্যাট করবেন, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ, এই সিরিজ থেকে ওয়ানডেতে তিনিই যে বাংলাদেশের অধিনায়ক।
মিরাজ তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আট নম্বরে। সবচেয়ে বেশি ব্যাটিংও করেছেন এ পজিশনে। ৩৪ ইনিংসে তাঁর রান ৬৫২। ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটিও এসেছে এই পজিশনে। তবে দলের প্রয়োজনে প্রায়ই ওপরে উঠে আসতে হয়েছে তাঁকে।
২৭৬চার নম্বরে মিরাজের রানওয়ানডে ক্যারিয়ারে মিরাজের অন্য সেঞ্চুরিটি এসেছে ওপেনিংয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০২৩ এশিয়া কাপে ওপেন করে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। মিরাজ সেই এশিয়া কাপেই ভারতের বিপক্ষে ৫ নম্বরে ব্যাটিং করেন। এশিয়া কাপের পরই হয়েছিল বিশ্বকাপ, সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মিরাজকে আবার তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এমন ওঠানামার মধ্যেই থেকেছেন এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুনবিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ ক্রিকেটার কারা৪ ঘণ্টা আগেসাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহরা তখন ওয়ানডে দলে ছিলেন। এখন তাঁরা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই মিরাজের ওপরে ব্যাটিং করতে হবে।
কোথায় ব্যাটিং করবেন মিরাজ?.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।
আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।
যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।
সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।
বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।
এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ