হালদা নদীকে নারী নির্যাতনের মতো নির্যাতন করা হয়: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
Published: 1st, July 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদীকে নারী নির্যাতনের মত নির্যাতন করা হয়। তামাক চাষ একেবারে যদি বন্ধ নাও করি, চাইলে তা অন্যান্য জায়গায় করা যায়। কিন্তু হালদার পাড়ে কেন করতে হবে। হালদার পাড়ে তামাক চাষ মাছের ক্ষতি করছে। এখানে অবিলম্বে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে। হালদা পাড়ে তামাক চাষ কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য না।
তিনি বলেন, যারা তামাক চাষ করছেন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমরা আপনাদের সহায়তা করবো। কিন্তু আপনারা জেনে বুঝে এই ক্ষতিটা করবেন না। যারা তামাক চাষ করে তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদী পরির্দশন ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হালদা নদীর উপরিভাগে রাবার ড্যাম কিন্তু কৃষকদের লাভের জন্য করা হয়নি। এটা আমাদের ভুল বুঝানো হয়েছে। এটা করেছে চা বাগানের জন্য। এসব বড় বড় কোম্পানির জন্য আমাদের এত বড় হালদা নদী নষ্ট হবে, ধ্বংস হবে। এটা আমরা হতে দেবো না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড.
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হালদা প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল মুখ্য, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছিম হায়দার, নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ.ম নিজাম উদ্দিন, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন আজাদী, হালদা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, রাউজান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন রানা, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন, এনজিও সংস্থা আইডিএফের প্রতিনিধি মাহাবুল হাসান, হালদার ডিম সংগ্রহ কারী শফিকুল আলম, কামাল সওদাগর, রোসাঙ্গীর আলম, দেবজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।
এসময় হালদা নদীকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতে ৪টি বিশেষ ড্রোন উদ্বোধন করা হয়। এর আগে সকালে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার হালদা নদী পরিদর্শন করেন এবং হালদায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গোমস্তাপুরে ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে একটি আবাসিক মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাদের একজন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপরজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো- গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লেবুডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুন (১২) ও একই ইউনিয়নের বেগপুর গ্রামের সবুর আলীর মেয়ে জামিলা খাতুন (১০)।
স্থানীয়রা জানান, তানিয়া ও জামিলা ‘শেফালী বেগম মহিলা নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষার্থী। শুক্রবার দিবাগত রাতে হঠাৎই তারা অসুস্থ হয়ে বমি করে। সহপাঠীরা বিষয়টি শিক্ষককে জানান। সেসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পথেই একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যায়।
মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিদা খাতুন বলেন, “রাতে খাবার খাওয়ার পর সব শিক্ষার্থী সুস্থই ছিল। হঠাৎ করে রাত আড়াইটার দিকে জামিলা বমি করে। সঙ্গে রক্তও বের হয়। এরপর তানিয়াও বমি করতে শুরু করে। আমরা তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কীভাবে তাদের মৃত্যু হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”
রাধানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, “রাতে হঠাৎ মহিলা মাদ্রাসার দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদেরকে হাসপাতালে নেন। পথেই একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। সাপের কামড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার আব্দুল আলিম জানান, দুজনের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, ‘‘মধ্যরাতের দিকে মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় তাদের বমি হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এবং ঘটনা সম্পর্কে জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে মরদেহ নেওয়া হবে বলে জানান গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম।
ঢাকা/শিয়াম/এস