বিশ্ব ক্রিকেটে মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে ক্যাপ্টেন কুল হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। সমর্থকদের দেওয়া নামটাই হয়ে উঠেছে ধোনির সবচেয়ে বড় পরিচয়।
ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তার নামের পাশে বসেছে এই বিশেষণ। এই বিশেষণে যেন চিরকাল তারই থাকে এজন্য ট্রেডমার্কের আবেদন করেছিলেন ধোনি। সেই আবেদনও গ্রহণ হয়েছে। এখন কেবল আনুষ্ঠিনকতার অপেক্ষা। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ট্রেডমার্ক শুধুই হবে ধোনির।
গত ১৬ জুন ভারতের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রিতে ধোনির আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদনটি ‘ক্লাস ৪১’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা খেলাধুলার প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট সেবার বিষয়ে তৈরি করা হয়েছে। আবেদন গ্রহণের পর ১২০ দিনের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি না ওঠে, ধোনি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ট্রেডমার্কের মালিক হবেন।
আরো পড়ুন:
ধোনি-হেডেন-স্মিথ আইসিসি হল অব ফেমে
ধোনিদের বিপক্ষে কোহলির পাঁচ রেকর্ড
যদিও ২০২১-এর জুলাইয়ে প্রভা স্কিল স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (ওপিসি) নামের একটি অনলাইন গেমিং ও গেমিং সার্ভিসের জন্য ক্যাপ্টেন কুল নামটি ট্রেডমার্ক পেতে আবেদন করে। এর বিরুদ্ধে ধোনি আপত্তি জানান এবং একে তার ব্র্যান্ডের অপব্যবহারের জন্য ‘অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেন। প্রায় চারটি শুনানি শেষে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি আবেদন বাতিল করে দেয়।
ধোনির আইনজীবী মানসী আগরওয়াল ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, ‘‘ক্যাপ্টেন কুল’—নামটি সরাসরি ধোনির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই নাম ভক্ত থেকে সংবাদমাধ্যমে ধোনির সঙ্গে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেটা ধোনির পরিচিতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বলেও দাবি করেন তারা।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি ইরান থেকে দেশে ফিরলেন
যুদ্ধের সময় ইরানে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তান হয়ে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসব বাংলাদেশি বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
বিমানবন্দর প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের (বিএমইটি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন সমকালকে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় তারা দেশে ফিরতে সক্ষম হন।
বিমানবন্দর কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলে তেহরানে আটকা পড়েন এসব বাংলাদেশি। ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালানোর পর থেকেই তারা বিপাকে ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে দেশে ফেরার পথ তৈরি হয়।