খুবিতে ধর্ম অবমাননাকারী ২ শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
Published: 1st, July 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম ও ঐতিহাসিক ‘জুলাই আন্দোলন’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ২১তম ব্যাচের মো. রাসেল এবং ২৩তম ব্যাচের তনয় রায়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
আরো পড়ুন:
জাবির গণিত বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি শিক্ষার্থীদের
খুবিতে নবীনদের বরণে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
তাদের হাতে ‘সম্প্রতির এই বাংলায় উস্কানির ঠাঁই নাই’, ‘অপরাধীদের ক্ষমা নাই, আজীবন বহিষ্কার চাই’, ‘জিরো টলারেন্স ফর ব্লাসফেমি’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এ সময় ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তালহা বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি শহীদ মুগ্ধ ভাইয়ের রক্তে ভেজা। এখানে বসে যারা আওয়ামী লীগের দালালদের হয়ে কথা বলবে, ধর্মকে অবমাননা করবে, তাদের বিরুদ্ধে খুবির শিক্ষার্থীরা রুখে দাঁড়াবে।”
১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তমিজউদ্দীন বলেন, “এ দেশে ৯০ শতাংশ মুসলমান। এখানে ইসলাম, আল্লাহ তায়ালা এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে কটাক্ষ করার পরও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
মানববন্ধন থেকে বক্তারা তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রের প্রতি দাবি—ধর্ম অবমাননার দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি—তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; জনসাধারণের প্রতি দাবি—অভিযুক্তদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. রাসেল তার ফেসবুক পোস্টে কুরআনের কিছু সূরার বিষয়ে আপত্তি জানান এবং আল্লাহ তায়ালাকে ‘বর্ণবাদী’ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ ও হুমকি দিয়েছেন। সর্বশেষ, কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি ধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক স্টোরিতে ইসলামের ফরজ বিধান ‘জিহাদ’ নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, তনয় রায় রাসেলের সেই বিতর্কিত স্টোরি নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। তার বিরুদ্ধেও ‘জুলাই আন্দোলন’ নিয়ে পূর্বে অবমাননাকর মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা/হাসিবুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জমির মালিককে না জানিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধ
যশোরে ভূমি মালিকদের অবহিত না করে ৩ লাখ ২০ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের পিলার স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলেঘাটা ভূমিরক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে আজ রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে যশোর মেডিকেল কলেজপাড়ায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শতাধিক জমির মালিক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সংগ্রাম কমিটির নেতারা জানান, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশ কোম্পানি সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ করছে। যশোর পাওয়ার হাউজে সঞ্চালন লাইনটি প্রবেশের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন হরিণার বিলের মধ্য দিয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনের কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। যে সব জমির উপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন যাবে তাদের মালিকদের অবহিত করা ছাড়াই জোরপূর্বক কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
আরো পড়ুন:
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাষ্পের শব্দে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
দেবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
তারা আরো জানান, মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙে আশপাশে জমি কিনছেন। বর্তমানে এসব জমির প্রতি শতকের মূল্য ৮ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের এ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হলে লাইনের দুইপাশের শত শত মানুষের মূল্যবান জমি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় সঞ্চালন লাইনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল জমি বাজারমূল্যে অধিগ্রহণ ছাড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানান তারা। নাহলে যে কোনো মূল্যে নির্মাণ কাজ প্রতিরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, সদস্য উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান ভিটু, সাবেক কাউন্সিলর জুলফিকার আলী জুলু, জুয়েল মৃধা, শুকুর আলী, বজলুর রহমান, তোতা মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল