ওয়াই এ ইয়ামিলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল গলে। টুকটুক চালক, গল স্টেডিয়াম থেকে এক রাতে হোটেল ফেরার পথে যাত্রী হয়েছিলাম তাঁর বাহনের। ক্রিকেটের সূত্রে শ্রীলঙ্কায় আসা শুনে ইয়ামিল খুশি হলেন বলে মনে হলো। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগের বর্ণনা দিতে দিতে পৌঁছে দিলেন হোটেলে।

শেষ চমক তখনো বাকি। হোটেলে পৌঁছানোর পর ইয়ামিল ওয়ালেট থেকে বের করলেন একটু পুরোনো হয়ে যাওয়া তাঁর সাবেক আইডি কার্ড। যার পেছনে স্বয়ং সনাৎ জয়াসুরিয়ার স্বাক্ষর, সংসদ সদস্য জয়াসুরিয়া।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের নতুন শুরুর আশা২ ঘণ্টা আগে

আইডি কার্ডটি সাক্ষ্য দিচ্ছে সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক জয়াসুরিয়া সংসদ সদস্য থাকার সময় ইয়ামিল ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। হাতের ইশারায় দেখালেন ওই সময় তাঁর কাছে অস্ত্রও থাকত। এরপর মুঠোফোনের স্ক্রিনে আঙুল টেনে একের পর এক দেখাতে লাগলেন জয়াসুরিয়ার সঙ্গে তাঁর ছবিসমগ্র, সঙ্গে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের আরও অনেকের সঙ্গে সখ্যের প্রমাণ।

ভেবেছিলাম জয়াসুরিয়ার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলে তাঁকে ইয়ামিলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করব। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী থেকে ইয়ামিল কীভাবে টুকটুক চালক হয়ে গেলেন, সেটা জানতে চাইব। বাংলাদেশের তো একবার কোনো সংসদ সদস্যের ‘ব্যক্তিগত’ পদমর্যাদায় কেউ ঢুকতে পারলে জীবনে তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না। তাহলে ইয়ামিল কেন টুকটুক চালাচ্ছেন?

জয়াসুরিয়া সংসদ সদস্য থাকার সময় তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করা ইয়ামিলের সেই সময়ের পরিচয়পত্র.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জয় স র য়

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে ইসলামী ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। 

রবিবার দিবাগত (১৬ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সিংগাইর শহীদ রফিক সড়কের দেওয়ান প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শাখায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

আরো পড়ুন:

‘আমি এতিম হয়ে গেলাম রে’

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

ব্যাংক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো শাখায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশের লোকজন ধোঁয়া দেখে বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানানোর পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিংগাইর শাখার ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, “রাতের কোনো এক সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মহিবুর রহমান বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পর দুটি ইউনিট পাঠাই। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে, তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।”

ঢাকা/চন্দন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ