‘পিঞ্চহিটার’ কোচ জয়াসুরিয়ায় শ্রীলঙ্কার অন্য রূপ
Published: 2nd, July 2025 GMT
ওয়াই এ ইয়ামিলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল গলে। টুকটুক চালক, গল স্টেডিয়াম থেকে এক রাতে হোটেল ফেরার পথে যাত্রী হয়েছিলাম তাঁর বাহনের। ক্রিকেটের সূত্রে শ্রীলঙ্কায় আসা শুনে ইয়ামিল খুশি হলেন বলে মনে হলো। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগের বর্ণনা দিতে দিতে পৌঁছে দিলেন হোটেলে।
শেষ চমক তখনো বাকি। হোটেলে পৌঁছানোর পর ইয়ামিল ওয়ালেট থেকে বের করলেন একটু পুরোনো হয়ে যাওয়া তাঁর সাবেক আইডি কার্ড। যার পেছনে স্বয়ং সনাৎ জয়াসুরিয়ার স্বাক্ষর, সংসদ সদস্য জয়াসুরিয়া।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের নতুন শুরুর আশা২ ঘণ্টা আগেআইডি কার্ডটি সাক্ষ্য দিচ্ছে সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক জয়াসুরিয়া সংসদ সদস্য থাকার সময় ইয়ামিল ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। হাতের ইশারায় দেখালেন ওই সময় তাঁর কাছে অস্ত্রও থাকত। এরপর মুঠোফোনের স্ক্রিনে আঙুল টেনে একের পর এক দেখাতে লাগলেন জয়াসুরিয়ার সঙ্গে তাঁর ছবিসমগ্র, সঙ্গে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের আরও অনেকের সঙ্গে সখ্যের প্রমাণ।
ভেবেছিলাম জয়াসুরিয়ার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলে তাঁকে ইয়ামিলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করব। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী থেকে ইয়ামিল কীভাবে টুকটুক চালক হয়ে গেলেন, সেটা জানতে চাইব। বাংলাদেশের তো একবার কোনো সংসদ সদস্যের ‘ব্যক্তিগত’ পদমর্যাদায় কেউ ঢুকতে পারলে জীবনে তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না। তাহলে ইয়ামিল কেন টুকটুক চালাচ্ছেন?
জয়াসুরিয়া সংসদ সদস্য থাকার সময় তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করা ইয়ামিলের সেই সময়ের পরিচয়পত্র.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জয় স র য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিএনপির নেতার মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছমি উদ্দিন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ডিজিটাল অগ্রযাত্রা নামের একটি অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদক মেহেদী হাসান পলাশ, প্রতিনিধি খান মঈন উদ্দিন ও ফাহিম হাসান সাদিক এবং টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দা সুলতান আহামদ ও ইমান হোসাইন।
অ্যাডভোকেট ছমি উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘‘বিএনপি নেতা শাহজাহান চৌধুরীর কাছে অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না পেয়ে গত ৪ জুন ‘ডিজিটাল অগ্রযাত্রা’ নামক একটি অনলাইন গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট নেতাদের পুনর্বাসন করে শত কোটি টাকা আয় করেছেন শাহজাহান চৌধুরী’। এতে সুলতান আহামদ ও ইমান হোসাইনের ভুয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সংবাদে যাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে বাদীর কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব