সামনে মাছের স্তূপ। চারপাশ ঘিরে আছেন ক্রেতারা। মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিলামে দাম হাঁকছেন বিক্রেতা। ক্রেতারা চুপ হয়ে গেলে সর্বোচ্চ দাম আবার বলছেন বিক্রেতা। ক্রেতারাও একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছেন দাম। এই চিত্র চট্টগ্রামের মাছের বৃহত্তম আড়ত নগরের ফিশারি ঘাটের।

প্রতিদিন ভোররাত থেকে এখানে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। কর্ণফুলীর তীরঘেঁষা এ বাজারে নদীর পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছও ওঠে। তবে গত কয়েক দিন সাগর উত্তাল থাকায় আজ বুধবার সকালে মাছের সরবরাহ কম দেখা গেছে এ বাজারে। আড়তদার ও জেলেরা জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় মাছ তেমন নেই। বিশেষ করে ইলিশের দেখা মিলছে হাতেগোনা।  

আড়তদারেরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনো মাছ আসছে না ঘাটে। ছোট আকারের মাছ পাওয়া গেলেও বড় মাছ হাতেগোনা। বাজারে লইট্টা, বোয়াল, কোরাল, রুপচাঁদা, কই, কাতলা, পোয়া—এসব মাছ আসছে। তবে সংখ্যা কম। অধিকাংশ মাছ আকারে ছোট। ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও ইলিশের সরবরাহ খুবই কম।

ফিশারি ঘাটের মূল বেচাকেনা হয় ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ফিশারি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। তবে ক্রেতা অনুপাতে মাছ তেমন নেই। ঘাটের একটি স্থানে ক্রেতাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দাম হাঁকছেন মোহাম্মদ সেলিম। তাঁর সামনে লইট্টা মাছের স্তূপ। ক্রেতাদের তর্ক চলছে দাম নিয়ে। একজনের চেয়ে অন্যজন কিছুটা বাড়িয়ে দাম হাঁকছেন। ৫ হাজার ৮০০ টাকা তিনবার হাঁক দিয়ে ক্রেতার কাছে মাছ বুঝিয়ে দিলেন সেলিম।  

চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে মাছ কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। আজ সকালে তোলা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের দাফু পাম্প ও মোটর নিয়ে এল ন্যাশনাল পলিমার

বাংলাদেশের বাজারে আসছে চীনের পাম্প প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দাফুর পাম্প ও মোটর। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এখানকার বাজারে আসতে চলেছে চীনা কোম্পানিটি। আগামী সেপ্টেম্বরে দেশের বাজারে দাফু গ্রুপের মোট ৩০ ধরনের পানির পাম্প ও মোটর পাওয়া যাবে।

এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি হয় এবং পাম্প ও মোটর বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ন্যাশনাল পলিমার দেশের বাজারে পাইপ ফিটিংস, পিভিসি ও ডব্লিউ পিভিসি ডোর ও পানির ট্যাংক পাওয়া যায়। নতুন করে তারা এবার দাফুর পরিবেশক হিসেবে পাম্প ও মোটর সরবরাহ করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনপলি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিয়াদ মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাফু গ্রুপের পরিচালক মি. টিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনপলি গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা লোকমান হাকিম, বিজনেস বিভাগের প্রধান শেখর সাহা ও বিপণন প্রধান রকিব আহমেদসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পরিবেশকেরা।

অনুষ্ঠানে দাফুর তৈরি সারফেস পাম্প, সাবমার্সিবল পাম্প, সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প, সোলার ওয়াটার পাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য প্রদর্শনী করা হয়।

ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের এমডি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘গুণগত মান ও দীর্ঘমেয়াদি আস্থার ফলে দাফুর তৈরি মোটর ও পাম্প বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনা। এতে শিল্প ও কৃষি উভয় ক্ষেত্রেই উৎপাদনশীলতা বাড়বে।’

দাফু গ্রুপের পরিচালক মি. টিম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাম্প তৈরি করব। এ জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের চীনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে পাম্পের বাজার এখন বেশ বড়। পাম্পের চাহিদাও অনেক। তাই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে আমাদেরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ–ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। ফলে এ দেশের মানুষ আরও বেশি কার্যক্ষম, সাশ্রয়ী ও স্মার্ট পণ্য চাইছেন। আমরা তা সরবরাহের চেষ্টা করব।’

ন্যাশনাল পলিমারের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, ‘পাইপ, ট্যাংক ও দরজার পাশাপাশি আমরা এখন পাম্পের মাধ্যমে পানির নিরবচ্ছিন্ন উৎস নিশ্চিত করব। নতুন এই পণ্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে আমাদের প্রায় ৪ হাজার পরিবেশক, ২৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা ও ৮৫০ জন দক্ষ বিক্রয়কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় দিনে ত্রাণ দরকার হাজার ট্রাক, যাচ্ছে ১০০টি
  • গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ১,৭৬০ ফিলিস্তিনি নিহত: জাতিসংঘ
  • ধনাগোদা নদীর পাড়ে তিন ঘণ্টার হাট, দিনে বিক্রি ৮ লাখ টাকার তাজা মাছ
  • মেঘনায় ইলিশের দেখা নেই, বিপাকে অর্ধলক্ষাধিক জেলে পরিবার
  • চট্টগ্রাম থেকে পাইপে ঢাকায় গেল ৫ কোটি লিটার ডিজেল
  • শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • চীনের দাফু পাম্প ও মোটর নিয়ে এল ন্যাশনাল পলিমার
  • কাল ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • আইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়
  • ইসরায়েলে সাবমেরিন সরবরাহের অনুমোদন দিল জার্মানি