বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের কাছে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের দাবি জনগণের।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফতুল্লার পঞ্চবটির মোড় আব্দুল গফুর সুপার মার্কেট সংলগ্ন এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজি সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের সম্পদকে লুণ্ঠন করেছে। অর্ন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রথম কাজ এই আসামিদের বিচার করা। স্বৈরাচার প্রান ভয় দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। নির্বাচনে কখনো হয়তো একটা দল হারে, অন্যএকটা দল জিতে। কিন্তু আমরা কখনো দেখিনি একটি দলকে পালিয়ে যেতে। 

ভীতু, কাপুরুষ, চোর, ডাকাত, বদমাশরা পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা এমনকি গ্রামের পান্ডারাও পালিয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সিভিল অফিসের লোক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও দলের নেতাকর্মী, এমনকি মসজিদের ইমামও পালিয়ে গেছে। পৃথিবীতে এমন পালানোর ইতিহাস আর কোথাও নেই। এরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরও নির্লজ্জের মত এখনো বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, যারা পালিয়ে গেছে তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আমাদের হামলা, মামলা, রিমান্ডে থানায় নির্যাতন করেছে। এখন তো কোন বিরোধী দল ক্ষমতায় নেই। এখন একটি নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আছে। যে রকম নির্যাতন তারা করেছিল সেরকম নির্যাতন তা এখন সরকার করছে না। তাহলে তারা কেন পালিয়ে গেছে। 

যারা বংশসহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে তাদের কি এখনো লজ্জা হয় না? তাদেরকে এখন লজ্জা হয় না বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে কথা বলতে? আর যারা তাদের নেতাকর্মী ছিলেন তাদের বলি, আপনাদের কি এখনো বোধশক্তি নেই। আপনার কি বোঝেন না তারা আর ফিরে আসবেনা। তাহলে এখনো কেন নিজের জীবন বিপন্ন করে, পরিবারকে ধ্বংস করে তাদের কথা শুনছেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বৃহত্তম দল বিএনপির নতুন সদস্য  ও সদস্যতা নবায়ন করার জন্য। এই সুযোগে দেশের লাখো লাখো ছাত্র জনতা যারা রাজনীতি করার জন্য এবং ভোট দেওয়ার জন্য যোগ্য হয়েছে তারা বিএনপি দিকে এগিয়ে আসছে। তারা বিএনপিতে আসছে কারণ বিএনপি একটি বৃহত্তর দল। 

এখানে সদস্য হলে আপনার বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে কোটি কোটি মানুষ থাকবে। এখানে সব মানুষের জন্য কাজ করার সারা বাংলাদেশব্যাপী সুযোগ থাকবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা সবার উপরে। শেখ হাসিনা চেয়েছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে। তার মৃত্যু হয় না কেন এই ধরনের কথা ও শেখ হাসিনা বলেছেন। 

এক হাসিনা যখনই বক্তব্য দিত তার পুত্রতুল্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করছে। অথচ আমাদের নেত্রী আজ সারা বাংলাদেশে সবার কাছে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের নেত্রী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। আজ তাদের সন্তানরা কোথায়? যতদিন বেঁচে থাকবে খালেদা জিয়া দেশ জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। 

তিনি এখনো ভাষণ দিলে জাতির উদ্দেশ্যে দেন কোন ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে দেন না। অথচ শেখ হাসিনা তার বাবাকে বাবার থেকেও বড় ইতিহাস গড়ার জন্য অনেক কিছু করেছে। সে তার বাবার নামে মুজিব শতবর্ষের দেশে পালন করেছে। জনগণের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করেছে।

এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন (শাহাদুল্লাহ) এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা।

বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খোন্দকার মনিরুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জি,এম,সাদরিল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, লোকমান হোসেন, এ,কে,এম হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আক্তার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাঈনুল হাসান রতন, হাসান আলী, আশিক মাহমুদ সুমন ও তারা মিয়াসহ আরো অনেকে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ব এনপ র স জনগণ র র জন য আম দ র সরক র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস

বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, সে জন্য একটি পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান–২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।

আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্য কমিশনে যেখানে বক্তব্য হয়, ওখানে যা শুনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখি, তাতে মনে হয় যে একটা পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এর জন্য যা করতে হয় করবে, দেশ বিক্রি হয় হবে।’

বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে বিএনপির মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগী হতে চাই, প্রতিপক্ষ নয়। আমরা কেউ বলি না, বিএনপি যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যাবে। বরং আমরা বলি, আমরা জনগণের ভোট, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে ১৭-১৮ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করেছে, বহু নেতা-কর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন।’

ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলেন, যদি এটা না হয় তাহলে নির্বাচন হবে না। এ ধরনের বক্তব্য আসলে ঐক্যকে ধ্বংস করার কথা, বিভাজনের কথা। জাতিকে বিভক্ত রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত সুবিধার জন্য ঐক্যকে ব্যবহার করলে দেশ এগোবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলা।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ জুলাই শহীদদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের শিকার অনেকের স্বজনেরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘নির্বাচন হলেই তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন’
  • জুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ এবং গণমাধ্যম
  • জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের আনন্দের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রংপুর-কুড়িগ্রামের পথে প্রান্তরে এন
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে টার্গেট হামলা
  • ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস