জনগণের দাবি, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন : গিয়াসউদ্দিন
Published: 3rd, July 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের কাছে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের দাবি জনগণের।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফতুল্লার পঞ্চবটির মোড় আব্দুল গফুর সুপার মার্কেট সংলগ্ন এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজি সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের সম্পদকে লুণ্ঠন করেছে। অর্ন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রথম কাজ এই আসামিদের বিচার করা। স্বৈরাচার প্রান ভয় দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। নির্বাচনে কখনো হয়তো একটা দল হারে, অন্যএকটা দল জিতে। কিন্তু আমরা কখনো দেখিনি একটি দলকে পালিয়ে যেতে।
ভীতু, কাপুরুষ, চোর, ডাকাত, বদমাশরা পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা এমনকি গ্রামের পান্ডারাও পালিয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সিভিল অফিসের লোক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও দলের নেতাকর্মী, এমনকি মসজিদের ইমামও পালিয়ে গেছে। পৃথিবীতে এমন পালানোর ইতিহাস আর কোথাও নেই। এরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরও নির্লজ্জের মত এখনো বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, যারা পালিয়ে গেছে তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আমাদের হামলা, মামলা, রিমান্ডে থানায় নির্যাতন করেছে। এখন তো কোন বিরোধী দল ক্ষমতায় নেই। এখন একটি নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আছে। যে রকম নির্যাতন তারা করেছিল সেরকম নির্যাতন তা এখন সরকার করছে না। তাহলে তারা কেন পালিয়ে গেছে।
যারা বংশসহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে তাদের কি এখনো লজ্জা হয় না? তাদেরকে এখন লজ্জা হয় না বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে কথা বলতে? আর যারা তাদের নেতাকর্মী ছিলেন তাদের বলি, আপনাদের কি এখনো বোধশক্তি নেই। আপনার কি বোঝেন না তারা আর ফিরে আসবেনা। তাহলে এখনো কেন নিজের জীবন বিপন্ন করে, পরিবারকে ধ্বংস করে তাদের কথা শুনছেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বৃহত্তম দল বিএনপির নতুন সদস্য ও সদস্যতা নবায়ন করার জন্য। এই সুযোগে দেশের লাখো লাখো ছাত্র জনতা যারা রাজনীতি করার জন্য এবং ভোট দেওয়ার জন্য যোগ্য হয়েছে তারা বিএনপি দিকে এগিয়ে আসছে। তারা বিএনপিতে আসছে কারণ বিএনপি একটি বৃহত্তর দল।
এখানে সদস্য হলে আপনার বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে কোটি কোটি মানুষ থাকবে। এখানে সব মানুষের জন্য কাজ করার সারা বাংলাদেশব্যাপী সুযোগ থাকবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা সবার উপরে। শেখ হাসিনা চেয়েছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে। তার মৃত্যু হয় না কেন এই ধরনের কথা ও শেখ হাসিনা বলেছেন।
এক হাসিনা যখনই বক্তব্য দিত তার পুত্রতুল্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করছে। অথচ আমাদের নেত্রী আজ সারা বাংলাদেশে সবার কাছে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের নেত্রী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। আজ তাদের সন্তানরা কোথায়? যতদিন বেঁচে থাকবে খালেদা জিয়া দেশ জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
তিনি এখনো ভাষণ দিলে জাতির উদ্দেশ্যে দেন কোন ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে দেন না। অথচ শেখ হাসিনা তার বাবাকে বাবার থেকেও বড় ইতিহাস গড়ার জন্য অনেক কিছু করেছে। সে তার বাবার নামে মুজিব শতবর্ষের দেশে পালন করেছে। জনগণের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করেছে।
এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন (শাহাদুল্লাহ) এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খোন্দকার মনিরুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জি,এম,সাদরিল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, লোকমান হোসেন, এ,কে,এম হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আক্তার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাঈনুল হাসান রতন, হাসান আলী, আশিক মাহমুদ সুমন ও তারা মিয়াসহ আরো অনেকে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ব এনপ র স জনগণ র র জন য আম দ র সরক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘‘বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা উচিত, চব্বিশ এবং আগের গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, ভোটাধিকার হরণ—এসবের জন্য যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হতে পারে। তাহলে একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ, নারকীয় হত্যাযজ্ঞের জন্য জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে। একই অপরাধে দুই রকমের বিচার হতে পারে না।’’
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
নৌকা ডুবেছে, শাপলা ভাসবে: এনসিপির তুষার
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘‘যদি আওয়ামী লীগের মতো একই ধরনের অপরাধে জামায়াতের বিচার না হয়, তাহলে সেটা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার।’’
তিনি বলেন, ‘‘আজকে জামায়াত তাদের পোশাক-চেহারা, আচরণ পাল্টে নতুন রূপে হাজির হয়েছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করছে। কিন্তু, মূল উদ্দেশ্য বিএনপিকে আক্রমণ করা। এই বহুরূপীদের চেহারা জনগণ চিনে ফেলেছে।’’
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপিই একমাত্র শক্তি। অথচ এই শক্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে প্রক্রিয়া চালালেও জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আলাল আরো বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার মনে করেছে, দেশের সব অনাচারের মূলে সংবিধান। কিন্তু সমস্যার মূল সংবিধান নয়—ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ। শেখ হাসিনার ১৬-১৭ বছরের শাসনে এই অন্যায়, নির্যাতন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারই হয়েছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।’’
ঢাকা/রায়হান/রাজীব