চুরি-ছিনতাই হওয়া ৯০০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের হাতে দিল এপিবিএন
Published: 3rd, July 2025 GMT
চুরি–ছিনতাই ও হারিয়ে যাওয়া প্রায় ৯০০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে এগুলোর মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন–১২ (এপিবিএন)। গত ছয় মাসে এসব ফোন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এপিবিএন। পুলিশ বলছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গঠিত বিশেষ সাইবার ও সিডিআর অ্যানালাইসিস শাখার মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারানো ফোন উদ্ধার করে মালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
এপিবিএন জানিয়েছে, গত ছয় মাসে তারা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জিডি (সাধারণ ডায়েরি) তদন্ত করে ৯০০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। শুধু জুন মাসেই উদ্ধার করা হয়েছে ১৩৫টি ফোন। এই সময়ে এপিবিএনের সব ব্যাটালিয়নের মধ্যে মোবাইল ফোন উদ্ধারে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ১২ এপিবিএন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও যশোরে ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনগুলোরও বড় অংশ উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো.                
      
				
মোবাইল ফোন হারালে কী করবেন
পুলিশ সূত্র জানায়, ফোন কেনার সময় এর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বর সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। মোবাইলের মোড়ক বা বাক্সে এ নম্বর থাকে। ফোন হারালে আইএমইআই নম্বরসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করতে হবে। এরপর ১২ এপিবিএনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (০১৩২০-১৯৪০১৮/০১৩২০-১৯৪০০৩) অথবা ফেসবুক পেজে জিডির কপি পাঠালে সাইবার টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
১২ এপিবিএন জানিয়েছে, সবার সহযোগিতা পেলে আরও বেশি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে দ্রুত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিক ঘটক কীভাবে বিধু বিনোদ চোপড়ার নাম রাখেন?
১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান বরেণ্য এই নির্মাতা। বেঁচে থাকলে আজ জন্মশতবর্ষ উদযান করতেন। ৫০ বছরের জীবনে খুব বেশি সিনেমা উপহার দেননি; মাত্র ৮টি সিনেমা নির্মাণ করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি কুড়ান।
কেবল সিনেমাই বানাননি, অনেককে বানানোও শিখিয়ে গেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাদের মধ্যে অন্যতম বলিউড পরিচালক-প্রযোজক বিধু বিনোদন চোপড়া। তার এই নামটি ঋত্বিক ঘটকেরই দেওয়া। এ পরিচালক বলেন, “আমি যখন পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে (এফটিআইআই) পড়তে যাই, তখন আমার নাম ছিল বিনোদ কুমার চোপড়া।”
আরো পড়ুন:
আমি আজ যা কিছু, সবই নারীদের জন্য: শাহরুখ
১৩ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত?
ঋত্বিক ঘটক বিধু বিনোদ চোপড়ার শিক্ষক ছিলেন। একটি ঘটনা বর্ণনা করে এই পরিচালক বলেন, “উনি (ঋত্বিক ঘটক) তখন ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়াতেন। একদিন আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার নাম কি?’ আমি বললাম, আমার নাম বিনোদ কুমার চোপড়া। উনি হো হো করে হেসে উঠলেন। তারপর সোজা বললেন, ‘তোমাকে দিয়ে কোনোদিন পরিচালক হওয়া সম্ভব নয়।’ আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন? উনি বললেন, ‘এটা একটা নাম? নাম হতে হবে ঋত্বিক ঘটক। যাইহোক, তারপর উনি বললেন, ‘তোমার বাড়িতে তোমাকে কী বলে ডাকে?’ আমি বললাম ‘বিধু’ বলে ডাকে। তখন উনি বললেন, ‘তাহলে বিধু বিনোদ চোপড়া। এইবার ঠিক আছে নাম। আসলে আমার এই নামটা উনারই দেওয়া। আমি আমার নামের জন্য উনার কাছে ঋণী।”
৭৩ বছর বয়েসি বিধু বিনোদন চোপড়া বলেন, “উনি (ঋত্বিক ঘটক) আমাকে শিখিয়েছেন যে, যদি কেউ উৎকর্ষের পিছনে ছুটে, তবে সাফল্য নিজেই ধরা দেবে। এই কথাটাই আমি ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় বলেছি, বাস্তব জীবনেও আমি সেটাই মানি,”
ঋত্বিক ঘটক সবসময় তার সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। এ তথ্য উল্লেখ করে বিধু বিনোদন চোপড়া বলেন, “আমি বাংলা বুঝতাম না। স্নেহ ও ভালোবাসা থেকে উনি আমাকে বাঙালি বলে ডাকতেন এবং বাংলাতেই কথা বলতেন।
ঢাকা/শান্ত