নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. ইব্রাহিম (৩৭) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিজিবি এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার ভোরে নিতপুর সীমান্তের ২২৮ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ৫০০ গজ ভারতের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইব্রাহিম সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্র বলছে, বুধবার রাতে ইব্রাহিম সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে যান মহিষ আনতে। ভোরের দিকে তিনি একজোড়া মহিষ নিয়ে ফেরার পথে ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইব্রাহিম। দুপুরে বিএসএফ সদস্যরা তাঁর লাশ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ জানান, দুপুরের দিকে পোরশা থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের কথা।

পোরশা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি জানার পরই ইব্রাহিমের নাম-ঠিকানার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পোরশা থানার ওসিকে জানিয়েছিলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। তবে এখনও সত্যতা যাচাই করা যায়নি। বিজিবি ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। তবে ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন। 

এদিকে ঘটনার পরপরই বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। তবে বৈঠকের সময় এখনও জানানো হয়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ন হত ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী