পুলিশের সংস্কার দাবিতে এবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের ষোলশহরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল হাসান আরিফ এ লক্ষ্যে সন্ধ্যা ৬টায় নগরের ষোলশহরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। পটিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার, সড়ক অবরোধ, ওসির অপসারণের দাবিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। পরে সন্ধ্যায় ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি সিডিএ অ্যাভিনিউ ঘুরে রেলস্টেশনে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে নেতারা পুলিশের সংস্কার দাবিতে শুক্রবার অনলাইনে প্রচার এবং শনিবার লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, জনগণ ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে যখন ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে উদ্যোগী হচ্ছে, তখন তাদের ‘মব’ অভিহিত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী প্রতিহত করার চেষ্টাকে মব আখ্যা দিয়ে পুলিশ দমনপীড়ন চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন ভবিষ্যৎ নিয়ে কল্পকাহিনি আঁকছে। বর্তমান নিয়ে তাদের কোনো খেয়াল নেই। কমিশনের নির্লিপ্ততার কারণে আমরা দেখছি, মাঠে যারা গুলি করেছেন তারাই ডিউটিতে বহাল। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।’

জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, ‘পটিয়ার ঘটনায় আমরা চার দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের ন্যূনতম দাবিও পূরণ করা হয়নি। ওসিকে প্রত্যাহারের মতো পদোন্নতি দিয়ে প্রহসন করা হয়েছে। বর্তমান প্রশাসন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা ছাত্রলীগের গডফাদার হিসেবে কাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ, আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফায়াজ শাহেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন ও সমাবেশ থেকে চার দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে পটিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি আবু জায়েদ মো.

নাজমুন নুরকে স্থায়ী বহিষ্কার ও বিচার, চট্টগ্রামের এসপিকে অপসারণ, পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের নির্দেশনা এবং এখন থেকে যে কোনো থানায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত কাউকে দিলে শর্ত ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে হবে।

এর আগে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে বুধবার রাতে পটিয়া থানার ওসি নূরকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে পটিয়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়। কমিটির সদস্যরা গতকাল পটিয়া থানা পরিদর্শন করে ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি ওই রাতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট সদস য এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

এবার পুলিশের সংস্কার চাইল এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

এবার পুলিশের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা তিনটায় চট্টগ্রামের ষোলশহরে তিন সংঘঠনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইর হাসান এ লক্ষ্যে আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এই দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নগরের ষোলশহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

পটিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার, সড়ক অবরোধ ও ওসির অপসারণের দাবিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ইমন সৈয়দ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে চলমান অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও জনভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। গতকাল ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করে রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি তো আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল তাঁকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনা।’

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। থানায় নিয়ে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। এ নিয়ে পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ।

এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে পটিয়া থানা ঘেরাও ও ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল ৯টা থেকেই থানা ঘেরাও শুরু করেন। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিলে এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন তাঁরা। একই দাবিতে উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনের নগরের জাকির হোসেন সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার পুলিশের সংস্কার চাইল এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন