বনানীতে যুবদল নেতার নেতৃত্বে হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর হামলা
Published: 3rd, July 2025 GMT
রাজধানীর বনানী থানা এলাকার জাকারিয়া হোটেলে দল বেঁধে ঢুকে দুই নারীর ওপর হামলা করেছেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার রাতে বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা হলেও অভিযুক্ত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, শাড়ি পরা এক নারী হোটেলটির সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নামছেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীর পথ রোধ করে শরীরে আঘাত করছেন। তাঁর হামলায় ওই নারী মেঝেতে পড়ে যান।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই নারী যখন নিচে নামছিলেন তখন সিঁড়িতে তাঁর পেছনে আরেক নারীও দৌড়ে নামার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে পেছন থেকে ধাওয়া করছিলেন কয়েকজন। একজন তাঁকে ধরে নিচে ফেলে দেন। এরপর হামলাকারীরা সবাই মিলে মেঝেতে পড়ে যাওয়া দুই নারীকে আক্রমণ করেন। ভিডিওতে তখন ৮ থেকে ১০ জনকে দেখা যায়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, যখন ওই দুই নারীর ওপর আক্রমণ করা হচ্ছিল তখন তাঁরা চিৎকার করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ চিৎকারের সময় শুরুতে যাঁরা আক্রমণ করছিলেন তাঁদের কেউ কেউ ভিডিওটির সীমানার বাইরে চলে যান। আবার নতুন করে কয়েকজনকে সেখানে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় হোটেলটিতে ভাঙচুরের শব্দও পাওয়া যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে। অভিযুক্ত যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ব্যবস্থা না নেওয়ার সমালোচনা করেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মনির হোসেনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে যুবদল।
যুবদলের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: করছ ল ন য বদল র এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
কংগ্রেসে ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ দেশটির কংগ্রেসে চূড়ান্ত বাধা পেরিয়েছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অল্প ব্যবধানে কর হ্রাস ও সরকারি ব্যয়ের বিশাল এই প্যাকেজ পাস হয়।
প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয়েছে। পরে এতে সই করেন স্পিকার মাইক জনসন। আলোচিত এই বিলটি কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলেও প্রবল বিরোধিতা ছিল। শেষ পর্যন্ত বিলটি পাস হওয়ায় রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এখন তিনি সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি বিলটি কোনোরকম উতরে যায়। সিনেটে বিলটি ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়। বিলের পক্ষে-বিপক্ষে সমান ভোট পড়ায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ‘টাই’ ভেঙে বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিলটির বিপক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাটদের ৪৭ সদস্যের সঙ্গে ৩ জন রিপাবলিকানও যোগ দেন।
এই বিলে কর কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমানো, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বিলটি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেওয়া কর ছাড়েরই সম্প্রসারিত রূপ। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচও বাড়ানো হবে।
এই বিলে কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড নামের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির খরচ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি ডলার কাটাছাঁটের কথা বলা হয়েছে। এতে লাখ লাখ আমেরিকান স্বাস্থ্য বিমার বাইরে চলে যাবেন।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পাস হলো ট্রাম্পের আলোচিত ব্যয় বিল ০২ জুলাই ২০২৫