দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা
Published: 10th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নিয়ে দ্বিতীয় দফার আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর (ইউএসটিআর)। বাংলাদেশ সময় গতকাল বুধবার রাত ৯টায় ওয়াশিংটনে এ আলোচনা শুরু হয়েছে। চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বাড়তি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা। আলোচনায় দরকষাকষির মাধ্যমে ভালো কিছু আশা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
এর আগে গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে ৬০ দেশের পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশসহ বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ৯ এপ্রিল। তবে সে সময় তিন মাসের জন্য দেশভিত্তিক বাড়তি শুল্ক আরোপ স্থগিত করা হয়। এ শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প। এতে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
একই দিন বাংলাদেশের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক চুক্তি করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ট্যারিফ শিডিউল ডকুমেন্ট পাঠানো হয়েছে। এর ওপর আলোচনার আমন্ত্রণ জানায় ইউএসটিআর। এরই অংশ হিসেবে ৯ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীসহ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ঢাকা থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
গতকাল বৈঠক শুরুর আগে মোবাইল ফোনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সমকালকে বলেন, সচেতনভাবেই সার্বিক ইস্যুটি পর্যালোচনায় রয়েছে। শুধু শুল্ক ইস্যু নয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে দেশের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো, সে বিষয়গুলো নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে। সার্বিকভাবে দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে ভালোকিছু পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। তাই পাল্টা শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সরকারি খাতে খাদ্যশস্য বিশেষ করে গম কেনায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজ এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় তুলে ধরা হবে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাবের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বাণিজ্য-সংক্রান্ত অশুল্ক বাধা কাটিয়ে ওঠারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া দেশটি থেকে তুলা আমদানিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকান তুলা আমদানি বাড়াতে দেশে কিছু অবকাঠামোও তৈরি করা হবে। বেসরকারি পর্যায়েও যাতে করে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব হয় সে বিষয়েও সরকার নীতি সহায়তা দেবে।
লবিস্ট নিয়োগে আগ্রহী নয় সরকার
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট ছিল না বলে মনে করেন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা। প্রথম দফা ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর গত প্রায় তিন মাসে বলার মতো কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সরকার। কয়েকজন রপ্তানিকারক সমকালকে বলেন, কী আলোচনা হচ্ছে, কারা আলোচনা করছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে। শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনকে রাজি করাতে লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি সামনে আনে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ।
তবে গতকাল সন্ধ্যায় সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লবিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে লবিস্ট মোটেও জরুরি না। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আলোচনা করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র শ ল ক কম ন র শ ল ক আর প কম ন র প উপদ ষ ট সরক র র র ওপর হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
কাউন্সিল দেন, দেখি কত ভোট পান: জিএম কাদেরকে ব্যারিস্টার আনিস
‘জাতীয় পার্টির কাউন্সিল দেন, দেখি আপনি কত ভোট পান। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা কাকে চায়। কাউন্সিল দিয়ে আপনি আপনার জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিন।”
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গুলশানে এক যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারমান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন।
এর আগে, জিএম কাদের গ্রুপের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, কুমিল্লার সাবেক এমপি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে দলটির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী বিদ্রোহী গ্রুপে যোগ দেন।
আরো পড়ুন:
ভোট কারচুপির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও
নিউ ইর্য়কের ডেমোক্র্যাট ‘চমক’ ৩৩ বছরের মামদানি
বিভিন্ন সময় দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতাদের যুক্ত করে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ার মিশন নেমেছেন দলটির অবাহতি প্রাপ্ত সিনিয়র কো-চেয়ারমান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ সিনিয়র নেতারা।
ব্যারিস্টার আনিস বলেন, “পদ হারানোর ভয়ে জিএম কাদের কাউন্সিল ডেকেও আর কাউন্সিল করছেন না। দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজে যারা কাজ করছেন, তাদের পথের কাটা মনে করে স্বৈরাচারী কায়দায় সরিয়ে দিচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “জিএম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী। তিনি কারো পরামর্শ মানেন না। নিজের ইচ্ছে মত দল পরিচালনা করেন। দলের ভেতর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাই একমত। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কারের ভয়ে অনেকে মুখে খোলেন না।”
জাতীয় পার্টি ভাঙতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “অনেক কষ্ট করে এই পার্টি করেছি। এই পার্টি যেন মুসলিম লীগ, জাসদের মত হয়ে না যায়। সেজন্য জাতীয় পার্টিকে আমরা সবাই মিলে বড় করার চেষ্টা করছি। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, জাতীয় পার্টি ভাঙবে না, আরো বৃহৎ হবে।”
আনিসুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক নতুন প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টির বিরাট সম্ভাবনা আছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমরা দলকে ঐক্যবদ্ধ করছি। কোনোভাবেই জাতীয় পার্টিকে ভাঙতে দেওয়া হবে না।”
“এরশাদ সাহেব আমাকে বলে গেছেন, এ পার্টি যেন সাধারণ মানুষের মাঝে থাকে। সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমরা যখন দেখলাম পদ নিয়ে পার্টিতে বাণিজ্য হয়, তখন আমি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য চেয়ারম্যানকে বলেছি। কিন্তু চেয়ারম্যান তা বন্ধ করেননি। গণতান্ত্রিক উপায়ে পার্টি পরিচালনার জন্য ২০ এর ১ক ধারা বাতিল করার জন্য বলেছি। তিনি তাও শোনেনি,” বলেন আনিসুল ইসলাম।
জিএম কাদের এর কড়া সমালোচোনা করে আনিস বলেন, “তিনি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু তিনি দলে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরশাদ সাহেবও কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নিতেন না। কিন্তু জিএম কাদের নিজেকে সবার চেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করেন। তিনি সবাইকে বলে থাকেন, ‘আমি চেয়ারম্যান আমার কথায় সব। আমি যদি বলে রাত তাহলে রাত।’ এভাবে কি কোনো রাজনৈতিক দল চলতে পারে? সবার সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো সরকারও চলে না। অথচ জিএম কাদের নিজের কর্তৃত্ব বজায় রেখে দল চালাতে চায় “
একটি জাতীয় পার্টিই থাকবে উল্লেখ করে দলটির আরেক কো চেয়ারমান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “দুইটা জাতীয় পার্টি থাকবে না। কোনো সিন্ডিকেটের মধ্যে জাতীয় পার্টি বন্দি থাকবে না। সব তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতে চলবে জাতীয় পার্টি।”
জাতীয় পার্টির রাজনীতি মানুষের জন্য, রাজনৈতিক সহাবস্থানের জন্য, কারো বিরুদ্ধাচরণের জন্য নয় মন্তব্য করে হাওলাদার বলেন, “যারা জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে চলে গেছে, তাদের নিয়ে আসা হবে। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবে।”
জিএম কাদের একটি ব্যারিস্টারকে মহাসচিব করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সে আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে। সে বলে, আমরা সিনিয়ররা বেঈমানি করেছি। তার কথায় আঘাত পেয়েছি। তার উচিত, শালীনভাবে কথা বলা। সে যে এমপি হয়েছে, তার পিছনে আমাদের কি অবদান নেই?”
জিএম কাদের বেআইনীভাবে আমাদের ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “তার সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। জিএম কাদের এককভাবে তার স্ত্রীকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে দল চালাতে চায়। কিন্তু আমরা যারা এ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, তারা কোনোভাবে জাতীয় পার্টিকে ভাঙতে দেব না, ছোট হতে দেব না, কোনো সিন্ডিকেটের হাতে জাতীয় পার্টিকে তুলে দিতে পারি না।”
কাউন্সিল আহ্বান করার পর, কাউকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “শুধু কাউন্সিলে যাতে জিএম কাদেরকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন, সেজন্য তিনি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে, তড়িঘড়ি করে আমাদের অব্যাহতি দেওয়ার নাটক করেছেন। তবে যে উদ্দেশ্যে তিনি এই নাটক করছেন, তা তিনি সফল হতে পারবেন না। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখ লাখ এরশাদ প্রেমিক কর্মী তার সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে।”
জিএম কাদের সিন্ডিকেটে বন্দি উল্লেখ করে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, “তার আশেপাশে থাকা কিছু তথাকথিত নেতা একটা সিন্ডিকেট করে নিজের ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ছোট করছেন। তারা চান না দল বড় হোক, ঐক্যবদ্ধ হোক। কিন্তু জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীরা চান, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ হোক বড় হোক।”
“আমি জিএম কাদেরকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করবার জন্য। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি,” বলেন খোকা।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন কো- চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এ টি ইউ এম তাজ রহমান, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, মাসরুর মওলা, জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, হারুন আর রশীদ, ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমানত হোসেন আমানত, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম-মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,যুগ্ম-সম্পাদক সেকান্দার আলী সেরনিয়াবাত, শারমিন পারভীন লিজা, মাশুক আহমেদ, ডা. সেলিমা খান, শাহনাজ পারভীন, শরফুদ্দিন আহমেদ শিপু প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী