বরিশালে বিপিএল উৎসবে ভাঙচুর, হুড়োহুড়িতে আহত অর্ধশতাধিক
Published: 9th, February 2025 GMT
বরিশালে দর্শকদের চেয়ার ছোঁড়া ও হুড়োহুড়িতে পণ্ড হয়ে গেছে বিপিএলের শিরোপা জয়ের উৎসব। টানা দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জয় উপলক্ষে রোববার নগরীর বেলস পার্ক মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল এই উৎসব। আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে এ অনুষ্ঠান পণ্ড হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ট্রফি প্রদর্শন এবং দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর কথা ছিল সেখানে হবে কনসার্ট। তবে লাখো জনতার ভিড় সামলাতে যতটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা দরকার ছিল তা না থাকার পাশাপাশি আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি তার। চেয়ার ছোঁড়া ও হুড়াহুড়িতে আহত হন সংবাদকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন। বিক্ষুব্ধ জনতার জুতা-চেয়ার নিক্ষেপ আর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের মধ্যদিয়ে পণ্ড হয়ে যায় সব।
গত শুক্রবার রাতে ঢাকায় চট্টগ্রামকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের শিরোপা জেতে টিম ফরচুন বরিশাল। আজ দুপুরে আকাশপথে দলের সদস্যদের নিয়ে বিমানবন্দরে এসে পৌছায় চলতি বছরের শিরোপা ট্রফি।
এদিকে বেলস পার্কে তখন চলছিল জয়োৎসবের প্রস্তুতি। সেখানে হাজার হাজার জনতা ছিল ট্রফিসহ খেলোয়াড়দের দেখার অপেক্ষায়। বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ ট্রফিসহ ফরচুন বরিশাল টিম এবং টিমের মালিক মিজানুর রহমান এসে পৌঁছান মঞ্চে। এ সময় দুর্বল নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে মঞ্চের কাছে চলে যায় হাজার হাজার জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ট্রফি নিয়ে দ্রুত মঞ্চ ছেড়ে নিরাপদ অবস্থানে চলে যান দলের খেলোয়াড়সহ কর্মকর্তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ব প এল যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু