ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ দি‌চ্ছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানানো হ‌য়ে‌ছে।

এতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে যেসকল ইমাম-মুয়াজ্জিনরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া, এই ট্রাস্ট থেকে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারা দেশে ৬০০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। একই অর্থবছরে ৪,৬২০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ২৯৫ জনকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা নির্বাচিতদের মাঝে বিতরণের কাজ চলছে। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এই দুই খাতে মোট ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।

কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে, আকস্মিকভাবেই মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনের জন্য ২০০১ সালে এই ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল য ণ ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৫৮ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭৯ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। আগস্টে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। আর জুলাইয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার।

একই অর্থবছরের মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
 

ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
  • ডেসকোর পর্ষদ সভা ১২ অক্টোবর
  • অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা
  • টানা দুই মাস রপ্তানি কমল
  • মুনাফা কমলেও রেকর্ড লভ্যাংশ দেবে ইবনে সিনা ফার্মা