যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন। 

আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান মৃত্যুদণ্ডের তথ্য জানিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে বৃদ্ধের ৫ বছরের কারাদণ্ড

শিশু তায়েবা হত্যার বিচার দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে বাবুর শ্বশুর বাড়ি। ২০২২ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়া (২) কে নিয়ে তিনি সেখানে বেড়াতে যান। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ছিল। শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাবু। এরপর লাশ যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার বাগানে ফেলে রাখে। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে বাবু বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। 
 

ঢাকা/রিটন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের জন্ম সুচ কোম্পানি থেকে, ১৩৩ বছর পর বাংলাদেশে আসে

গত বছর যখন বিশ্বখ্যাত রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল বাংলাদেশে এল তখন তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। বাংলাদেশের ইফাদ মোটরস এই রয়্যাল এনফিল্ড সংযোজন করে বাজারজাত করছে। তখন তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত বছর যেদিন প্রথম রয়্যাল এনফিল্ড আনার ঘোষণা দেওয়া হয়, সেদিন বাংলাদেশ থেকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য খোঁজার তালিকায় এক নম্বরে ছিল।

তরুণ প্রজন্মের কাছে রয়্যাল এনফিল্ড নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে। কিন্তু আপনি জানেন কি-রয়্যাল এনফিল্ডের যাত্রা শুরু হয় একটি সূচ কোম্পানি থেকে।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, রয়্যাল এনফিল্ডের যাত্রা শুরু হয় ১৮৯১ সালে। ওই বছর জর্জ টাউনসেন্ড অ্যান্ড কোং নামের একটি পুরোনো সুচ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেনেন উদ্যোক্তা বব ওয়াকার স্মিথ ও অ্যালবার্ট এডি। কারখানাটি ছিল ইংল্যান্ডের রেডিচ শহরে। কিছুদিন পর তাঁরা সাইকেল তৈরি শুরু করেন। ১৩৩ বছর পরে বাংলাদেশে আসে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল।

১৮৯৩ সালে রয়্যাল স্মল আর্মস ফ্যাক্টরির জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহের চুক্তি পায় প্রতিষ্ঠানটি। তখনই নামকরণ হয় এনফিল্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। প্রথম সাইকেলের নাম রাখা হয় এনফিল্ড। পরের বছর ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রয়্যাল এনফিল্ড। তখনই তাদের বিখ্যাত স্লোগান ‘মেড লাইক আ গান’ সামনে আসে।

এরপর ১৯০১ সালে বাজারে আসে প্রথম রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল। এরপর ধীরে ধীরে ভি টুইন, টু স্ট্রোকসহ একের পর এক নতুন মডেল আসতে থাকে। ১৯৩২ সালে জন্ম নেয় রয়্যাল এনফিল্ডের কিংবদন্তি মডেল বুলেট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও বিশেষ খ্যাতি পায় রয়্যাল এনফিল্ডের ১২৫ সিসি ‘ফ্লাইং ফ্লি’ মডেলের মোটরসাইকেল। এরপর ১৯৫৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে অংশীদার হয়ে চালু করা হয় এনফিল্ড ইন্ডিয়া। ষাট-সত্তরের দশকে ব্রিটেনে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও ভারতেই টিকে থাকে ব্র্যান্ডটি। যদিও যুক্তরাজ্যে রয়্যাল এনফিল্ডের উৎপাদন কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, তবে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। ২০২১ সালে ১২০ বছরের মাইলফলক পেরিয়ে রয়্যাল এনফিল্ড বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।

পুরোনো মডেলের রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের জন্ম সুচ কোম্পানি থেকে, ১৩৩ বছর পর বাংলাদেশে আসে
  • আ.লীগ নেতার জামিন, শেরপুরে আদালত ও ডিসি কার্যালয়ের ফটকে বিক্ষোভ
  • যুক্তরাজ্যে রাতের বেলায় মসজিদে ঢুকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
  • দেশে ফিরেছেন নুরুল হক
  • ৩৪ ছক্কায় দেড় লাখ টাকার বল হারালেন অস্ট্রেলিয়ার হারজাস
  • নির্বাচন না পেছালে ক্রিকেট বর্জনের হুমকি ঢাকার ক্লাবগুলোর
  • দুই কোচের টানাটানির মধ্যে নতুন করে ইয়ামালের চোট
  • চুরির অভিযোগে সালিসের পর গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ
  • ৮৬ বল পর টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা মারলেন জাকের