ইসরায়েলি বিমানবন্দর ও মার্কিন রণতরী লক্ষ্য করে হুতিদের হামলা
Published: 27th, March 2025 GMT
ইরান-সমর্থিত হুতিরা ইসরায়েলি বিমানবন্দর ও সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি একটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার হুতিদের পক্ষে এ দাবি করা হয়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, হুতিরা তেল আবিবের দক্ষিণে ‘বেন গুরিওন বিমানবন্দরে... একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে.
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, ‘ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগে’ ইয়েমেন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে।
ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, বিদ্রোহীরা “লোহিত সাগরে শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যার মধ্যে আমেরিকান বিমানবাহী রণতরী (ইউএসএস হ্যারি এস) ট্রুম্যানও ছিল। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েয়ছে।”
১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে ‘বৃহৎ পরিসরে অভিযান’ শুরু করে। গাজা যুদ্ধের জেরে বিদ্রোহীরা পুনরায় আক্রমণ শুরু করার হুমকি দেওয়ার পর ওয়াশিংটন লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ রুটে জাহাজের উপর গুলি চালানো বন্ধ না করা পর্যন্ত হুতিদের ওপর ব্যাপক শক্তি প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ দক্ষিণ চীন সাগর ছেড়ে পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে। মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, একে পশ্চিমে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে।
সোমবার সকালে জাহাজটির নতুন গন্তব্য অভিমুখে দেখা গেছে বলে জাহাজের গতিপথে নজর রাখা ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকে দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আগের গতিপথ অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষদিকে রণতরীটির ভিয়েতনামের দানাংয়ে থাকার কথা ছিল, শুক্রবার তাকে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হতো। এখন সে আয়োজন বাতিল হয়েছে বলে এক কূটনীতিকসহ দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
হ্যানয়ের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘হঠাৎ উদ্ভূত এক জরুরি অপারেশনাল প্রয়োজনে’ রণতরীটির দানাং যাত্রা বাতিল হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকে সাড়া পায়নি।
ইউএসএস নিমিৎজের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজাহাজের বহর কয়েকদিন আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যাকে ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়মিত উপস্থিতির অংশ’ বলছে মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের কমান্ডারের ওয়েবসাইট।