পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রায় সোয়া ১ কোটি মোবাইল সিমধারী ঢাকা ছাড়তে পারেন। অপারেটরদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এবার ২৮ মার্চ শুক্রবার ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। তবে ২৬ মার্চ ছিল শবেকদরের ছুটি। সেদিন থেকেই ঈদযাত্রা শুরু হয় ঢাকাবাসী অনেকের। অপারেটরদের সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে (২৬-২৯ মার্চ) প্রায় ৮০ লাখ সিমের গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন। আজ ৩০ ও ৩১ মার্চ ৪০ থেকে ৪৫ লাখ সিমধারী ঢাকা ছাড়তে পারেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৮ কোটি ৬৫ লাখ। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সোমবার অথবা মঙ্গলবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হতে পারে। সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা এবার ২৮ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯ দিন ঈদের ছুটি ভোগ করবেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ঈদের আগের কয়েক দিনে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়েন। এর মধ্যে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস-মিনিবাসে, ১ লাখ মানুষ ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে এবং সোয়া লাখ মানুষ লঞ্চে বাড়ি যান। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকা ত্যাগ করেন সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। মোটরসাইকেলে যান প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এ ছাড়া ৮ লাখ মানুষ ট্রাক, অটোরিকশাসহ নানা অপ্রচলিত বাহনে ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করেন। কিছু মানুষ উড়োজাহাজে ঢাকা ছাড়েন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ য ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলিদের হামলা-নির্যাতন: অতিষ্ঠ বেদুইন পরিবারগুলো ছাড়ছে পশ্চিম তীর

ইসরায়েলের সেনাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়ে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের নির্যাতন, হামলা ও হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অন্তত ৫০টি ফিলিস্তিনি বেদুইন পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, গতকাল শুক্রবার সকালে জেরিকোর উত্তর-পশ্চিমে আরব মলেইহাত বেদুইন জনগোষ্ঠীর ৩০টি পরিবারকে জোরপূর্বক সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আগের দিন গত বৃহস্পতিবারও সেখান থেকে ২০টি পরিবার সরে যেতে বাধ্য হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বেড়েই চলেছে।

জোরপূর্বক উচ্ছেদের শিকার হওয়ার আগে ওই এলাকায় ৮৫টি বেদুইন পরিবারের প্রায় ৫০০ জনের বসবাস ছিল।

স্থানীয় অধিকার সংগঠন ‘আল-বাইদার অর্গানাইজেশন ফর দ্য ডিফেন্স অব বেদুইন রাইটস’-এর পরিচালক হাসান মলেইহাত জানান, বছরের পর বছর ধরে কোনো সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার চেষ্টা করে আসছিল এ পরিবারগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।

বছরের পর বছর ধরে কোনো সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার চেষ্টা করে আসছিল বেদুইন পরিবারগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।হাসান মলেইহাত, ‘আল-বাইদার অর্গানাইজেশন ফর দ্য ডিফেন্স অব বেদুইন রাইটস’-এর পরিচালক

ওয়াফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া মলেইহাত নামের এক বেদুইন নারী জানান, সশস্ত্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে ও আশপাশের পরিবারগুলোকে হুমকি দেন। পরে জেরিকোর দক্ষিণের আকবাত জাবর শরণার্থী শিবিরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।

একই সম্প্রদায়ের বাসিন্দা সাত সন্তানের বাবা মাহমুদ মলেইহাত (৫০) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা আর সহ্য করতে পারছিলাম না, তাই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অস্ত্রধারী বসতি স্থাপনকারীরা আমাদের ওপর হামলা চালান আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁদের রক্ষা করে। আমরা কিছুই করতে পারি না।’

ইসরায়েলি হামলার মুখে শরণার্থীশিবির ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। পশ্চিম তীরের জেনিনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ