ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে পারেন সোয়া ১ কোটি সিমধারী
Published: 30th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রায় সোয়া ১ কোটি মোবাইল সিমধারী ঢাকা ছাড়তে পারেন। অপারেটরদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এবার ২৮ মার্চ শুক্রবার ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। তবে ২৬ মার্চ ছিল শবেকদরের ছুটি। সেদিন থেকেই ঈদযাত্রা শুরু হয় ঢাকাবাসী অনেকের। অপারেটরদের সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে (২৬-২৯ মার্চ) প্রায় ৮০ লাখ সিমের গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন। আজ ৩০ ও ৩১ মার্চ ৪০ থেকে ৪৫ লাখ সিমধারী ঢাকা ছাড়তে পারেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৮ কোটি ৬৫ লাখ। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সোমবার অথবা মঙ্গলবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হতে পারে। সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা এবার ২৮ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯ দিন ঈদের ছুটি ভোগ করবেন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ঈদের আগের কয়েক দিনে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়েন। এর মধ্যে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস-মিনিবাসে, ১ লাখ মানুষ ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে এবং সোয়া লাখ মানুষ লঞ্চে বাড়ি যান। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকা ত্যাগ করেন সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। মোটরসাইকেলে যান প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এ ছাড়া ৮ লাখ মানুষ ট্রাক, অটোরিকশাসহ নানা অপ্রচলিত বাহনে ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করেন। কিছু মানুষ উড়োজাহাজে ঢাকা ছাড়েন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ য ত র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকিতে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, এনবিআর থেকে রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা– দুটি বিভাগ তৈরি করে তড়িঘড়ি অধ্যাদেশ জারির ফলে রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি অধ্যাদেশটি স্থগিত করে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে এনবিআর ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নীতির স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো ও রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে যৌক্তিক ভিত্তির ওপর এনবিআরকে বিভক্ত করা হয়েছে, তাতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় নির্বাহী বিভাগ থেকে যে ন্যূনতম স্বাধীনতা ভোগ করার কথা, সে সুযোগ থাকল না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজস্ব খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের কাজ আলাদা করার দাবি বহুদিনের। বিভিন্ন অংশীজন, বিশেষজ্ঞসহ সর্বশেষ রাজস্ববিষয়ক পরামর্শক কমিটির রাজস্ব ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণে পরামর্শ দিয়েছিল। তাহলে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারির উদ্দেশ্য কী? কার স্বার্থে কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করা হলো? রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার নামে যে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি স্বচ্ছ কিনা– প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয়। তুঘলকি এ পরিবর্তনের ফলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি কতটুকু বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ কী করা হয়েছে?
তিনি বলেন, এনবিআরকে বিকেন্দ্রীকরণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী, দেশের রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনার জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বতন্ত্র সংস্থা, বোর্ড বা এজেন্সি করা প্রয়োজন। এটি হলে এনবিআর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবের আওতামুক্ত থাকত। অথচ পরামর্শক কমিটির মূল সুপারিশ উপেক্ষা করে রাজস্ব ব্যবস্থাকে নির্বাহী বিভাগের অধীন দুটি বিভাগে পরিণত করা হয়েছে। ফলে দুর্নীতি ও স্বার্থের সংঘাতসহ নানা অনিয়মের সুযোগ শুধু থেকে যাচ্ছে না, আরও বাড়তে পারে। এ সিদ্ধান্ত চলমান আন্তঃক্যাডার উত্তেজনায় নতুন ইন্ধন জুগিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, রাজস্ব নিরূপণ ও আদায়ে অনিয়ম এবং যোগসাজশমূলক জালিয়াতি বাংলাদেশে কর ফাঁকির অন্যতম মাধ্যম, তা অজানা নয়। নানা উদ্যোগের পরও আয়কর রিটার্ন দাখিল ও ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইন করা যায়নি। হয়রানি ও দুর্নীতি কমেনি। নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার সিএজির রাজস্ব নিরূপণ নিরীক্ষার এখতিয়ার কেড়ে নিয়ে অনিয়মকে জবাবদিহির বাইরে রাখার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর পেছনে আমলাতন্ত্রের ভেতরে থাকা সংস্কার প্রতিরোধক স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।