তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
Published: 9th, April 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনার বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান (এপিপি)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে উপদেষ্টা পাকিস্তানে বাংলাদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফসিহ উল্লাহ ও তথ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব সৈয়দ এনামুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পঞ্চম সিজনের কয়েকটি পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় এবং নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন গতকাল (৮ জুলাই) এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মস–এর নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’-এর প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এমন অনেক সংলাপ রয়েছে যা ‘অশ্লীল, ডাবল মিনিং এবং কিশোর-তরুণদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
নোটিশে উদাহরণ হিসেবে নাটকের কিছু সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে, যেমন, ‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে সীসা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’, ‘ফিমেল’, ‘কিডনি’, ‘দই’-এই শব্দ ও সংলাপগুলোকে ‘নৈতিকতা, শালীনতা ও পারিবারিক রুচির পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এগুলোর মাধ্যমে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মের মুখে এসব সংলাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।
এছাড়া নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন—নাটকটি এখন সব বয়সী দর্শকের জন্য তৈরি হচ্ছে। তবে বাস্তবে নাটকের ভাষা, উপস্থাপন ও বিষয়বস্তু মোটেও পরিবারবান্ধব নয় বলে দাবি করেন নোটিশদাতা।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’-এর আলোকে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রচার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ এই নাটকের কিছু সংলাপ ও দৃশ্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তরুণদের ভাষা ও আচরণে স্থায়ী ছাপ ফেলছে।
নোটিশে নাটকের বিতর্কিত সংলাপ ও ভিডিও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।