রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা রোল ও সেট কোডের বৃত্ত ভরাটে সমস্যার কারণে অন্তত ৭৫০ ওএমআর বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ‘বি’ ইউনিটের মতো ওএমআর সংশোধনের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভর্তি উপকমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ওএমআর বাতিল নিয়ে আয়োজিত সভায় রাবির ভর্তি উপকমিটি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিপ্লবী মেয়েরা আজ নিরাপদ বোধ করছে না: ফরহাদ মজহার

রাবিতে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে রোগ ‘স্ক্যাবিস’

জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল ফল প্রকাশিত হয়। এই ইউনিটে মাত্র নয়টি ওএমআর বাতিল হলেও ‘এ’ ইউনিটের বেলায় তা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৫০টিতে।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, ‘বি’ ইউনিটে রোল ও সেট কোডের বৃত্ত ভরাটে ত্রুটির কারণে যেসব ওএমআর বাতিল হয়েছিল, সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করে সংশোধন করেছিল সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ‘এ’ ইউনিটে বৃত্ত ভরাটে ত্রুটি হলেই তা পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। ম্যানুয়ালি যাচাই করে সংশোধন করা হয়নি।

বিষয়টি জানাজানি হলে ‘বি’ ইউনিটের মতো ‘এ’ ইউনিটেও ম্যানুয়ালি যাচাই করে ওএমআর সংশোধন করে ফলাফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভর্তি উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশিত ফলাফল সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো.

ছাইফুল ইসলাম বলেন, “ওএমআর বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন, যাতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকালে ভর্তি উপকমিটির একটি মিটিং আহ্বান করা হয়। মিটিংয়ে ফলাফল পুনঃপ্রকাশের আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওএমআর ব ত ল ইউন ট র উপকম ট

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ‘সক্রিয় কর্মী’ গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সিলেটে সশস্ত্র হামলার অভিযোগে জসিম উদ্দিন (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জসিম আওয়ামী লীগের একজন ‘আলোচিত সক্রিয় কর্মী’। তাঁর বাসা নগরের কাজলশাহ এলাকায়। গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তিনি আন্দোলনকারীদের দমনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলায় ছিলেন। এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে জসিম উদ্দিন আত্মগোপনে ছিলেন। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে আসামিকে শনাক্ত করা হয়। এরপর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কাজলশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামিকে রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ‘সক্রিয় কর্মী’ গ্রেপ্তার