পোপের পোশাকে এআই তৈরি ছবি শেয়ার করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Published: 3rd, May 2025 GMT
সম্প্রতি পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ায় পোপের পদটি খালি হয়েছে। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হাস্যরসের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, পোপ হিসেবে তিনিই নিজের প্রথম পছন্দ। এবার তিনি পোপের পোশাক পরা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। অবশ্য ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ছবিটি শেয়ার করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাদা পোশাকে ‘মিটর’ নামে পরিচিত পোপের টুপি পরে আছেন। তার গলায় একটি বড় ক্রুশও ঝুলছে।
পোপ ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। স্ট্রোক ও হৃদ্রোগে তার মৃত্যু হয়। নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য কনক্লেভ বা সভার কাজ চলছে। ট্রাম্পের এই পোস্ট নিয়ে বিভ্রান্তি ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এটিকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছেন।
একজন সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে এটি নামিয়ে ফেলুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতো অনেক ক্যাথলিক এটিকে আমাদের গির্জার অতীত ও ভবিষ্যৎ নেতার প্রতি চরম অসম্মান বলে মনে করছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে কূটনৈতিক সমঝোতা স্মারক সই
দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও লাওস ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান। লাওস সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান।
সমঝোতা স্মারকটিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান বলেন, “এই চুক্তি দুদেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সভা ও আলোচনার পথ সুগম করবে। বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সর্বোপরি, এটি দুদেশের মধ্যে একটি টেকসই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে চায়- এই অভিপ্রায় পুনঃব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “এই সমঝোতা স্মারকটি শুধু দ্বি-পাক্ষিক বন্ধন জোরদারই করবে না বরং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামেও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।”
বাংলাদেশকে লাওসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান এই ঐতিহাসিক চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত এনথাভান বলেন, “আজকের এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠানের একটি স্থায়ী ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হলো যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়সহ নানা ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যায়।”
বাংলাদেশ ও লাওস ১৯৮৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের গঠনমূলক কূটনৈতিক সভা ও সংলাপ সংক্রান্ত প্রথম চুক্তি।