৫ মে আদালতে ভিড় না করার জন্য ফয়জুল করিমের নির্দেশনা
Published: 3rd, May 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘‘আমরা চাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক। বিচার বিভাগ যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’’
আগামী ৫ মে আদালত চত্বরে বা রাস্তায় ভিড় না করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন। এ দিন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিষয়ে আদালতে শুনানি হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ ফিরে পাওয়ার দাবিতে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে শনিবার (৩ মে) সকালে বরিশাল প্রেস ক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কফিন মিছিল
আন্দোলন দমাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জিডি করেছে ববি প্রশাসন
এ সংবাদ সম্মেলনে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘‘ঢাকা ও চট্টগ্রামে যদি মেয়র পদ ফিরে পেতে পারে তাহলে বরিশালেও দেয়া উচিৎ। কারণ দেশের সকল আইন সবার জন্য সমান। ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচণে আওয়ামী সরকারের সমর্থিত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাদকে অবৈধভাবে ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও সরকার মেয়র পদে বসায়। ওই সময় কেন্দ্র দখল থেকে শুরু করে এমন কোনো কাজ নেই যে তারা করেনি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ কারণে বরিশাল আদালতে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনে বিজয়ীর ঘোষণার আদেশের জন্য দায়েরকৃত মামলার সুসম নিয়ম ঘটবে এমনটাই আশা করছি।’’
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘‘নির্বাচন বাতিল নয়, জনগণের ভোটের প্রতিফলন চাই। হাতপাখার পক্ষে বিপুল ভোট ছিল কিন্তু প্রশাসন ও সরকারি বাহিনীর সহায়তায় তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বাতিল করে হাতপাখা মার্কার প্রার্থী হিসেবে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়। একইভাবে মেয়র ঘোষণার দাবিতে একই আদালতে আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল বর শ ল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি