Samakal:
2025-05-04@07:42:39 GMT

নাজুক সড়কে ভাড়া দ্বিগুণ

Published: 3rd, May 2025 GMT

নাজুক সড়কে ভাড়া দ্বিগুণ

জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে মির্জা খালের বহদ্দারহাট মোড় থেকে চান মিয়া সড়কেও। বুধবার এ এলাকাটি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার অবস্থা একেবারে ভয়াবহ। এমনিতে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে, তার ওপর সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। সড়কে কার্পেটিংয়ের চিহ্ন মাত্র নেই। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। চান মিয়া সড়ক ও আশপাশের এলাকাটি নগরীর অন্যতম ঘিঞ্জি এলাকাগুলোর একটি। কিন্তু সড়কের দুরবস্থা ও জলাবদ্ধতার কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বহদ্দারহাট বাজার ফেলে কয়েকশ গজ যাওয়ার পর দেখা গেল খাল থেকে মাটি অপসারণ করা হচ্ছে এক্সক্যাভেটর দিয়ে। এ জন্য খালে মাটির বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ রেখে সেই পানি পাইপের মাধ্যমে সরাসরি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। সেই পানিতে সড়কের অবস্থা কাহিল।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চান মিয়া রোডে সিএনজি অটোরিকশা চালান প্রিয়তোষ চৌধুরী। তিনি সমকালকে বলেন, ‘চান মিয়া সড়কে যানবাহন চলাচলের মতো অবস্থা নেই। এমনিতেই সড়কটির খারাপ অবস্থা। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কারণে আরও নাজুক অবস্থা হয়েছে। কেউ কোনো কাজ করেন না। আমরা গাড়ি চালকরাই মাঝেমধ্যে বড় বড় গর্ত ইট-কংকর দিয়ে ভরাট করে যানবাহন চালু রেখেছি।’
শমসেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো.

ইলিয়াস নামে জানান, ‘বহদ্দারহাট মোড় থেকে কিছুদিন আগেও টেম্পু ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখন সড়কের দুরবস্থার কারণে দ্বিগুণ ২০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। আগে এই পথ যেতে রিকশা ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। এখন নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ থেকেই বোঝা যায় সড়কটির কী করুণ দশা।’
প্রকল্পের ওই অংশে কাজ পাওয়া এইচএন এন্টারপ্রাইজের সাই ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদুল আলম সমকালকে বলেন, ‘খালের মাটি দ্রুত অপসারণ করে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্ষার আগেই যাতে কাজ শেষ করা যায়, সে জন্য দিনরাত কাজ চলছে।’ খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বাঁধের পাশে এক্সক্যাভেটর রেখেছি। বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার শঙ্কা দেখা দিলে এক্সক্যাভেটর দিয়ে বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তিন সংস্থা। এর মধ্যে সিডিএ দুটি, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি করে প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে ৫ থেকে ১১ বছর ধরে। ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক প রকল প র ক ক জ চলছ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক নদীতে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

নদীতে বিলীন হয়েছে গ্রামীণ সড়ক। এতে ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়ার ডুমরিয়া ইউনিয়নে ডুমরিয়া-সড়াবাড়ী সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে গত বুধবার দুপুরে ফাটল ধরে। সড়কটির ২৫০ ফুট শৈলদহ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ডুমরিয়ার চিতলিয়া গ্রামের সুধীর বিশ্বাস ও লতা বেগম বলেন, বুধবার থেকে এ সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ। ডুমরিয়া, ভৈরবনগর, তারইল, জামাইবাজার, মামারবাজার, চিতলিয়া, সড়াবাড়ী, পাকুরতিয়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। তাদের বাঁশবাড়িয়া হয়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। 
একই গ্রামের রহমত মল্লিক বলেন, শৈলদহ নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ৩০ ডিসেম্বর এ সড়কের সেতু ভেঙে যায়। এর চার মাস পর সড়কটি ভেঙে পড়ল। এতে একটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই পরিবারকে ইউএনও খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা করেছেন। ভাঙনকবলিত এলাকার অন্তত ২৫টি বসতবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়নের পানি সরবরাহ লাইন নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই দ্রুত নদীভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে চিতলিয়া গ্রামের মানুষ সহায়সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। মানচিত্র থেকে চিতলিয়া গ্রাম হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
চিতলিয়া গ্রামের অমর বিশ্বাস বলেন, এই সড়ক দিয়ে তারা ডুমরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজারে যাতায়াত করেন। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় তারা সহজে যাতায়াত করতে পারছেন না। 
টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও মঈনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লতা বেগমের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এ পরিবারকে একটি বসতঘর করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ডুমরিয়া ও পাটগাতী ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে সড়কটিও দ্রুত সংস্কার করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্রোতের মতো আসা গাড়ি আটকে যায় শুলকবহরে
  • রাউজানে ১২ কোটি টাকায় সড়ক করে দিলেন প্রবাসী
  • সড়ক নদীতে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ