Samakal:
2025-06-20@11:30:37 GMT

নাজুক সড়কে ভাড়া দ্বিগুণ

Published: 3rd, May 2025 GMT

নাজুক সড়কে ভাড়া দ্বিগুণ

জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে মির্জা খালের বহদ্দারহাট মোড় থেকে চান মিয়া সড়কেও। বুধবার এ এলাকাটি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার অবস্থা একেবারে ভয়াবহ। এমনিতে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে, তার ওপর সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। সড়কে কার্পেটিংয়ের চিহ্ন মাত্র নেই। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। চান মিয়া সড়ক ও আশপাশের এলাকাটি নগরীর অন্যতম ঘিঞ্জি এলাকাগুলোর একটি। কিন্তু সড়কের দুরবস্থা ও জলাবদ্ধতার কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বহদ্দারহাট বাজার ফেলে কয়েকশ গজ যাওয়ার পর দেখা গেল খাল থেকে মাটি অপসারণ করা হচ্ছে এক্সক্যাভেটর দিয়ে। এ জন্য খালে মাটির বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ রেখে সেই পানি পাইপের মাধ্যমে সরাসরি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। সেই পানিতে সড়কের অবস্থা কাহিল।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চান মিয়া রোডে সিএনজি অটোরিকশা চালান প্রিয়তোষ চৌধুরী। তিনি সমকালকে বলেন, ‘চান মিয়া সড়কে যানবাহন চলাচলের মতো অবস্থা নেই। এমনিতেই সড়কটির খারাপ অবস্থা। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কারণে আরও নাজুক অবস্থা হয়েছে। কেউ কোনো কাজ করেন না। আমরা গাড়ি চালকরাই মাঝেমধ্যে বড় বড় গর্ত ইট-কংকর দিয়ে ভরাট করে যানবাহন চালু রেখেছি।’
শমসেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো.

ইলিয়াস নামে জানান, ‘বহদ্দারহাট মোড় থেকে কিছুদিন আগেও টেম্পু ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখন সড়কের দুরবস্থার কারণে দ্বিগুণ ২০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। আগে এই পথ যেতে রিকশা ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। এখন নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ থেকেই বোঝা যায় সড়কটির কী করুণ দশা।’
প্রকল্পের ওই অংশে কাজ পাওয়া এইচএন এন্টারপ্রাইজের সাই ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদুল আলম সমকালকে বলেন, ‘খালের মাটি দ্রুত অপসারণ করে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্ষার আগেই যাতে কাজ শেষ করা যায়, সে জন্য দিনরাত কাজ চলছে।’ খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বাঁধের পাশে এক্সক্যাভেটর রেখেছি। বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার শঙ্কা দেখা দিলে এক্সক্যাভেটর দিয়ে বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তিন সংস্থা। এর মধ্যে সিডিএ দুটি, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি করে প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে ৫ থেকে ১১ বছর ধরে। ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক প রকল প র ক ক জ চলছ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

আলফাডাঙ্গায় সড়ক কার্পেটিংয়ের পরদিন উঠে গেল বিটুমিন, এলাকাবাসীর ক্ষোভে কাজ বন্ধ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সড়কে কার্পেটিংয়ের পরদিন বিটুমিন উঠে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট বাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিটুমিনসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্পেটিং করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গুণগত মান বজায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। সাধারণত কার্পেটিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে হয়। এলাকাবাসী ভুল বুঝে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করছেন।

এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়কটি মেরামতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কাজটি পায় মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি জুন মাসের শুরুর দিকে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত শনিবার সড়কটির ভেন্নাতলা এলাকায় ১৫০ মিটার অংশে কার্পেটিং করা হয়। পরদিন দুপুরে সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেলচালক পড়ে গিয়ে আহত হন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং উঠে যায়। তখন সেখানে থাকা সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজনের কাছে বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে চান। পরে শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছিল। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারকে বিষয়টি বললেও তাঁরা শোনেননি। শনিবার বিকেলে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। রোববার দুপুরে সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চলাচল করলে বিভিন্ন জায়গায় দেবে গিয়ে কার্পেটিং উঠে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান বলেন, ঘটনার সময় এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোক ছিলেন। বিষয়টি তাঁদের কাছে জানতে গেলে স্থানীয় লোকজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কয়েক শ লোক জড়ো হয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে কাজ বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, সড়কের কার্পেটিংয়ের অধিকাংশ কাজ এখনো বাকি। শুরুতেই নিম্নমানের কাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ বলেন, শিডিউল অনুযায়ী সড়কের নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে না পারায় ভুল–বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। মূলত রাস্তার কার্পেটিং করার ৭২ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয় না। ২৪ ঘণ্টা পরই কার্পেটিং তুলে এলাকাবাসী এ ধরনের অভিযোগ করছেন।

এলজিইডির আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম বলেন, গুণগত মান বজায় রেখেই কাজটি করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু লোক বিষয়টি বুঝতে না পেরে ক্ষুব্ধ হন। পরে সোমবার দুপুরে তিনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, কার্পেটিং করার পর ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে হয়। কিন্তু সড়কটি বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় এক পাশ দিয়ে কাজ করে অন্য পাশে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, কাজের আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি পুরো আটকে দিলেও এলাকাবাসী তা মানেননি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে বুঝিয়ে বললে তাঁরা ভুল বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো হলেই আবার কাজ শুরু করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সড়কের খানাখন্দে বৃষ্টির পানি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি
  • মধ্য পীরেরবাগের সড়কটিতে বর্জ্য ডাম্পিং কবে বন্ধ হবে
  • আলফাডাঙ্গায় সড়ক কার্পেটিংয়ের পরদিন উঠে গেল বিটুমিন, এলাকাবাসীর ক্ষোভে কাজ বন্ধ