চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন খোয়াজনগর এলাকায় অবস্থিত একটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ও খেলনা উৎপাদনকারী কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। আজ রবিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গোল্ডেন সন লিমিটেড নামে এই কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। শ্রমিকরা জানিয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাস ধরে বেতন পরিশোধ করছে না।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ জানান, সকালে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। 

শ্রমিকরা জানান গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন এখনো কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেনি। ফলে শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছে।  বিক্ষোভের পর কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে বলে শ্রমিকরা জানান। 
 

আরো পড়ুন:

সিলেটে এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আ.

লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাদুর ঘোড়া কর্লিও

মানুষের পথচলায় ঘোড়ার পিঠে যাত্রার সূচনা সেই আদি যুগে। সময় বদলেছে, বাহন বদলেছে, আধুনিক হয়েছে সবকিছু; কিন্তু ঘোড়া আবার ফিরছে। তবে ভবিষ্যতের সবচেয়ে আধুনিক
বাহন হয়ে।
যান্ত্রিক ঘোড়া কর্লিও উদ্ভাবন করে চমক সৃষ্টি করেছে জাপানি বাইক নির্মাতা কাওয়াসাকি। অসমান হোক বা পাহাড়ি পথ– এমন যে কোনো ভূমিতে যাত্রীকে পিঠে নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে ছুটতে পারবে হাইড্রোজেন জ্বালানিতে সচল বিশেষ ঘোড়া কর্লিও। জাপানি নির্মাতারা ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিকে আরেক মাত্রায় পৌঁছে দিল। এবার যান্ত্রিক ঘোড়া (রোবটিক হর্স) উদ্ভাবন করে সারাবিশ্বকে চমক দেখিয়েছে সূর্যোদয়ের দেশ খ্যাত জাপান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) প্রযুক্তির উন্মাদনায় নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে কর্লিও। পাহাড়ি পথে বুদ্ধিদীপ্ত গতিতে ছুটে চলার সক্ষমতা আছে। এমন যান্ত্রিক ঘোড়া ভবিষ্যতে দুর্গম পথে যাত্রী পারাপারে বৈপ্লবিক ও দৃশ্যমান পরিবর্তন আনবে বলে নির্মাতারা দাবি করেছে।
জাপানের বিখ্যাত মোটরসাইকেল নির্মাতা কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ হাইড্রোজেন শক্তির চার পায়ের বিশেষ ধরনের যান্ত্রিক ঘোড়ার ডিজাইন করেছে। রোবটিক ঘোড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্লিও’। চলতি বছরের ওসাকা-কানসাই প্রদর্শনীতে যান্ত্রিক ঘোড়াকে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে নির্মাতারা। ঠিক তার পরই কর্লিও নিয়ে দুনিয়াজুড়ে হইচই পড়ে যায়।
নির্মাতারা বলছে, যান্ত্রিক ঘোড়ার চার পা পথের প্রয়োজনে আলাদাভাবে কাজ করতে পারদর্শী। তাই যে কোনো দুর্গম পথে ঘোড়াটি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। গন্তব্যের পথে ছুটে চলার সময় যাত্রীকে পিঠে নিতে পারবে কর্লিও। যার মধ্যে রয়েছে ১৫০ সিসির হাইড্রোজেন
পরিচালিত ইঞ্জিন।
কাওয়াসাকি উদ্ভাবিত যান্ত্রিক ঘোড়ার অবয়ব ধাতু ও কার্বনের তৈরি। সামনের প্রান্তে মাথার মতো ঢাল রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বাইকের ডিজাইনসদৃশ কর্লিওর নকশা করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিতে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকায় ঘোড়া সওয়ারের শরীরের নড়াচড়ায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে সক্ষম কৃত্রিম ঘোড়াটি।
বাইকের বিকল্প কোনো চিন্তা থেকে এমন বাহনের চিন্তা করা হয়েছে কিনা– এ বিষয়ে নির্মাতার তরফ থেকে তেমন কিছু জানানো হয়নি। তবে যাত্রীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে বহুমাত্রিক ফিচার যুক্ত করা করেছে। যার মধ্যে দিকনির্দেশনা যন্ত্র, হেড আপ ডিসপ্লে, হাইড্রোজেন জ্বালানির পরিমাপক এবং ওজন বণ্টনের যন্ত্র অন্যতম। রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহে দারুণ পারদর্শী অত্যাধুনিক এ ঘোড়া। নির্মাতা কাওয়াসাকি বলছে, দ্রুত যান্ত্রিক ঘোড়ার প্রযুক্তিতে দৃশ্যমান বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। গবেষণা ও মানোন্নয়নে সব রকমের ধাপ পেরিয়ে তবেই একে বাণিজ্যিক করা হবে। কর্লিওর সম্ভাব্য দাম নিয়েও তেমন কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ