২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আইফোন সিক্স-এস, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-সেভেন ও গুগল পিক্সেলের মতো স্মার্টফোনে হাই-রেজুলেশন সেন্সর, লেন্স ও অত্যাধুনিক সফটওয়্যার দৃশ্যমান হয়। ফলে স্মার্টফোন গ্রাহকরা পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরার মতো ছবি তুলতে স্মার্টফোনে ঝুঁকে পড়েন। পরবর্তী সময়ে অত্যাধুনিক উদ্ভাবনের কারণে এইচডিআর, নাইট মোড, অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ওআইএস) আর এআই-সমর্থিত ফটো এনহ্যান্সমেন্টের মতো সব প্রযুক্তি সহজলভ্য হতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নিত্যনতুন স্মার্টফোন আত্মপ্রকাশ করছে। বাংলাদেশে ক্যামন সিরিজের নতুন দুটি স্মার্টফোন ৪০ আর ৪০ প্রো মডেল উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো। মডেল দুটির ইউনিক ফিচারের মধ্যে অন্যতম ফ্ল্যাশ স্ন্যাপ প্রযুক্তি, যা প্রতি সেকেন্ডে ১৫টি ফ্রেম ক্যাপচার করতে পারবে। অনেক ফোনে ফাস্ট মুভিং সাবজেক্ট ক্যাপচারের সময় সাবজেক্ট
ব্লার হয়ে যায়।
সিরিজের ফ্ল্যাশ স্ন্যাপ ফিচার দিয়ে যে কোনো ফাস্ট মুভিং সাবজেক্টের ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ছবি পাওয়া যায়। রয়েছে ডেডিকেটেড ফ্ল্যাশ স্ন্যাপ বাটন, যা ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতাকে অনন্য করবে। তাৎক্ষণিক যে কোনো মুহূর্ত সহজেই ক্যাপচার করতে পারে, সে জন্য সিরিজে রয়েছে ডেডিকেটেড ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশ স্ন্যাপ বাটন।
ক্যামন ৪০ সিরিজে রয়েছে সনির ফ্ল্যাগশিপ ৫০ মেগাপিক্সেল লিটিয়া ৭০০সি সেন্সর, যার সঙ্গে আছে আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, যা নিখুঁত ক্যামেরা অভিজ্ঞতা দেবে। অন্যদিকে, ক্যামন ৪০ প্রো মডেলে রয়েছে আন্ডার ওয়াটার ফটোগ্রাফি ফিচার। স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে নতুন উন্মাদনা ছড়িয়েছে আন্ডার ওয়াটার ফটোগ্রাফি ফিচার। পানির নিচে ক্যামেরায় ধরা যাবে নিজের ইচ্ছামতো সব মুহূর্ত। স্মার্টফোনে বেসিক পয়েন্ট অ্যান্ড শুট মোবাইল ফটোগ্রাফি থেকে ফ্ল্যাশ স্ন্যাপ টেকনোলজি প্রযুক্তি অত্যাধুনিক সিস্টেম ও প্রযুক্তির সহায়তায় ক্যামেরার মানোন্নয়ন করা হয়েছে। সময়োপযোগী সেন্সর ও এআই প্রযুক্তির মতো প্রযুক্তির গুণে ভবিষ্যতে কারিগরি উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। বলতে গেলে, ক্ষুদ্র ডিভাইসে ফটোগ্রাফি যেন পৌঁছে যাবে অনন্য উচ্চতায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় দুই সাংবাদিকের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা
প্রতীকী ছবি