আমিরের হাত ধরে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে ১০ জনের
Published: 5th, May 2025 GMT
দীর্ঘ বিরতির পর বড় পর্দায় ফিরছেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান। তার পরবর্তী ছবি ‘সিতারে জমিন পার’ ইতিমধ্যেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২০০৭ সালের ব্লকবাস্টার ‘তারে জমিন পার’-এর স্পিরিচুয়াল সিক্যুয়েল হিসেবে তৈরি এই সিনেমার প্রথম পোস্টার অবশেষে প্রকাশ পেল। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে ছবিটির মুক্তির তারিখ। এটি মুক্তি পাবে ২০ জুন।
নতুন পোস্টারে আমির খানের সঙ্গে দেখা গেছে ১০ জন নবাগত অভিনেতা। আমির খান প্রোডাকশনস-এর ব্যানারে নির্মিত এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আরুশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ বর্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ ভানসালী, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরন মঙ্গেশকর-এর মতো নবাগতদের।
ছবিতে আমির খানের সঙ্গে প্রথমবার জুটিতে দেখা যাবে অভিনেত্রী জেনেলিয়া দেশমুখ-কে। পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই ছবির মাধ্যমে দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ কিছু আনতে চলেছেন আমির।
ছবিটি পরিচালনা করছেন আর এস প্রসন্ন, যিনি এর আগে ‘শুভ মঙ্গল সাবধান’ এবং স্বামী চিন্ময় আনন্দের বায়োপিক ‘অন আ কোয়েস্ট’ পরিচালনা করেছেন।
‘সিতারে জমিন পার’ ছবিতে গান লিখেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য, এবং সুর করেছেন বিখ্যাত সংগীতত্রয় শঙ্কর-এহসান-লয়। চিত্রনাট্য লিখেছেন দিব্যনিধি শর্মা। ছবিটির প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন আমির খান, রবি ভাগচন্দকা এবং অপরণা পুরোহিত।
আগামী ২০ জুন হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শক। আর পোস্টার প্রকাশের পর থেকে উৎসাহ-উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে ঘুমন্ত বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘুমন্ত বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
পুলিশ জানায়, গত ৯ আগস্ট সকালে নিজ ঘর থেকে আব্দুর রহিম রাফির (২৬) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। বড় ভাইয়ের জানাজায় মানুষের আবেগঘন উপস্থিতি দেখে পুলিশ কাছে স্বীকারোক্তি দেয় ১৬ বছর বয়সী ছোট ভাই (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি)। সেদিনই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর স্বীকার করে, আগের রাতে বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাইলে তা না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে রাফি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন সকালে মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘুমন্ত ভাইকে খাটের নিচে রাখা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে দা ধুয়ে আবার খাটের নিচে রেখে দেয় এবং নিজের রক্তমাখা লুঙ্গিও সেখানেই লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুধু টাকার জন্য নয়, মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করা, বড় ভাইয়ের শাসন এবং রাফির বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তি—এসব কারণেও ছোট ভাইয়ের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করায় তার স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের বিরোধ শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা বলেছেন, অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক তাই আইন অনুযায়ী তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।
ঢাকা/আজিজ/রফিক