নারী চিকিৎসককে টেনে-হিঁচড়ে সড়কে এনে মারধর
Published: 5th, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় শারমিন সুলতানা নামের এক নারী চিকিৎসককে তার চেম্বার থেকে টেনে-হিঁচড়ে সড়কে এনে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতারণার নানা অভিযোগ এনে একদল নারী ওই চিকিৎসককে মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ সোমবার দুপুরে শহরের লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসক শারমিন সুলতানার স্বামী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অর্জন দাস আগরওয়ালা সড়কে লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। আজ দুপুরে চেম্বারে আসার পর আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা একদল নারী তার ওপর হামলা করে। ৬-৭ জন নারী এতে অংশ নেয়। এ সময় চেম্বার থেকে টেনে-হিঁচড়ে সড়কের ওপর নিয়ে আসে তারা।
হামলার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৬-৭ জন নারী ভুক্তভোগী চিকিৎসক শারমিন সুলতানাকে টেনে-হিঁচড়ে সড়কের ওপর নিয়ে আসছে। সেখানে তাকে মারধর করা হচ্ছে।
নারীদের কয়েকজন অভিযোগ করে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বিদেশে লোক পাঠানো ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের মাধ্যমে টাকা নেন ওই চিকিৎসক। পরে চাকরি দিতে পারেননি ওই নারী চিকিৎসক। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এ কারণে তাকে ধরতে এসেছেন তারা।
লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কয়েকজন কর্মচারী জানান, তারা ঠেকানোর চেষ্টা করলে ওই নারীরা হামলা চালায়। স্থানীয়রা ইন্ধন দিয়ে নারীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছে। চিকিৎসককে বেদম মারধর করা হয়েছে। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে পুলিশকে জানাতে পারত।
এ দিকে হামলার সময় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে পুলিশের একটি দল এসে চিকিৎসক শারমিন সুলতানাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে চিকিৎসকরা ভিড় করেন।
চিকিৎসক শারমিন সুলতানার স্বামী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, নারী চিকিৎসককে মারধর করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। যেসব অভিযোগে তার ওপর হামলা হয়েছে তার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র আছে কি-না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাতে চিকিৎসকদের একটি দল থানায় যায়। তারা নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার নিন্দা জানান। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রধর ড য় গনস ট ক স ন ট র চ ক ৎসকক র ওপর র একট
এছাড়াও পড়ুন:
অপহরণের শিকার সেই পল্লী চিকিৎসক উদ্ধার
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থেকে অপহরণ হওয়া তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে পল্লী চিকিৎসককে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা র্যাব-১৩ কোম্পানির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিস উদ্দিন।
আরো পড়ুন: পুলিশের উপস্থিতিতে পল্লি চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগ, ৩ দিনেও মেলেনি খোঁজ
আরো পড়ুন:
ভাসানচর থেকে পালানো ৩৫ রোহিঙ্গা চট্টগ্রামে আটক
চকরিয়ায় ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
এদিকে, অপহরণের ঘটনায় গত শনিবার রাতে পল্লী চিকিৎসকের ছোট ভাই হিরু মিয়া সাদুল্লাপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগের কপি গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পেও দাখিল করেন তিনি।
মামলার বাদী হিরু মিয়া বলেন, “বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকার পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্কুলের পাশের একটি বাড়ি থেকে ভাইকে উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ। কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা বগুড়া থেকে গাইবান্ধা যাচ্ছি।”
গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের হাতি চামটার ব্রিজ এলাকা থেকে তরিকুল ইসলামকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। সে সময় সেখানে মাথায় হেলমেট ও পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ঘটনার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কুটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, “র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পল্লী চিকিৎসককে বগুড়া সদর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে। বগুড়া থেকে তাকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।” কোথা থেকে এবং কীভাবে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।
আসামিদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
রবিবার (৪ মে) রাতে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “অপহরণের সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তির উপস্থিতির কথা শুনেছি। কিন্তু, স্পষ্ট নয়।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ