দেশের বেসরকারি খাতের এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ড. মো. তৌহিদুল আলম খান যোগ দিয়েছেন।
এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি ও সিইও ছিলেন তিনি। ব্যাংকপাড়ায় ড. তৌহিদ নামে সমধিক পরিচিত তিনি।
মঙ্গলবার (৬ মে) এনআরবিসি ব্যাংক থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড.
আরো পড়ুন:
এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ২৭৫ কোটি ডলার
অর্থ আত্মসাৎ: খুলনায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
দেশের ব্যাংকিং খাতে ৩২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে ড. তৌহিদের। তিনি ১৯৯৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেখান থেকে প্রাইম ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় বিভিন্ন পদে ছিলেন।
বাংলাদেশে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্সিংয়ের লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ড. তৌহিদের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে।
নটরডেম থেকে এইচএসসি পাস করে তৌহিদুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) একজন ফেলো তিনি।
ব্যাংকিং সেক্টরে জিআরআই পদ্ধতিতে টেকসই ঋণ ঝুঁকির ওপর গবেষণা করেন ড. তৌহিদ আলম। এই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
ড. তৌহিদ বাংলাদেশের প্রথম সার্টিফাইড সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং অ্যাসিউরার (সিএসআরএ) হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদানের জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিতে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ঢাকা/এনএফ/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি যৌবনের পিছনে ছুটছি না, সত্যকে আলিঙ্গন করছি’
বাথটাবে হেলান দিয়ে বসে আছেন অভিনেত্রী কনীনিকা। তার পরনে ঘিয়ে রঙের বাথরোব। হাতে ওয়াইনের গ্লাস। কখনো কাঁধ থেকে খসে পড়ছে তার বাথরোব। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ফটোশুটের একটি ভিডিওতে এমন আবেদনময়ী লুকে দেখা যায় ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কনীনিকাকে।
একই ফটোশুটের অন্য একটি ভিডিওর ক্যাপশনে কনীনিকা লেখেন, “চল্লিশের দশক উদযাপন। আমি যৌবনের পিছনে ছুটছি না। আমি আমার সত্যকে আলিঙ্গন করছি। এটা হলো নারীত্বের ‘ভালোবাসা’, যা আমার চল্লিশের দশকে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করার পর থেকে চর্চায় পরিণত হয়েছেন কনীনিকা ব্যানার্জি। নেটিজেনরা তার প্রশংসা করছেন। একজন লেখেন, “চমৎকার। আমি আপনার চিন্তাকে ভালোবাসি।” কনীনিকার ভাবনাকে সমর্থন জানিয়ে একজন লেখেন, “বয়স কেবলই একটি সংখ্যা দিদি, এটা তুমি প্রমাণ করেছো।” অহনা লেখেন, “তুমি আগুন জ্বালিয়েছো দিদি।” তবে সবাই কনীনিকার সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। কেউ কেউ তাকে আক্রমণ করেও মন্তব্য করেছেন।
আরো পড়ুন:
দায়িত্ব নিয়েই বলছি—সাফা, তুই বিয়ে কর: তৌসিফ
বাবা হলেন শ্যামল মাওলা
কনীনিকার বয়স এখন ৪৫ বছর। এ বয়সে এমন ফটোশুটের বিষয়ে কনীনিকা ব্যানার্জি বলেন, “৪০ বললেই লোকে ধরে নেয় গেল রে বুড়ো হয়ে গেল। এটা একটা ধারণা। কিন্তু বিশেষ করে এখন, আমাদের চল্লিশের সঙ্গে মায়েদের চল্লিশের অনেক তফাৎ।”
কনীনিকার মুখে বয়সের ছাপ পড়লেও বোটক্স করাননি। কারণ নিজের বয়সকে আরো সুন্দরভাবে তুলে ধরতে চান। কনীনিকা বলেন, “বয়স লোকানোর জন্য বোটক্স ও ফিলার্স কখনো করাব না। বলিরেখার মধ্যেও অন্য সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। এমনকি ওজন কমানোতেও বিশ্বাসী নই। এইভাবে নিজের ৪০ পেরোনো বয়সকে উদযাপন করতে চাই।”
ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের খুবই চেনা মুখ কনীনিকা ব্যানার্জি। খুব ছোট বয়স থেকে অভিনয় করছেন তিনি। রবি ওঝার ‘এক আকাশের নীচে’ সিরিয়াল দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন। এরপর সিরিয়ালের পাশাপাশি সিনেমা, ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেও নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী।
২০১৭ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কনীনিকা। প্রযোজক সুরজিৎ হরির দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। এ দম্পতির একমাত্র সন্তান অন্তঃকরণা। তার ডাকনাম কিয়া। সুরজিতের প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক কনীনিকার।
ঢাকা/শান্ত