আ’লীগের ২ নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আশঙ্কাজনক ৫
Published: 6th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লিতে মসজিদের নামকরণ নিয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতার মতবিরোধ ও বাগ্বিতণ্ডার জেরে তাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের নামকরণ নিয়ে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ মিয়া চৌধুরী ও স্থানীয় আরেক আওয়ামী লীগ নেতা ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ মিয়া, আশরাফ মিয়াসহ কয়েকজন মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করেন। এ নিয়ে মসজিদের মোতাওয়াল্লির সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
মসজিদের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ছালেহ আহমদ হঠাৎ কেন নাম পরিবর্তন করলেন, তা জানতে চান মাহমুদ মিয়া ও আশরাফ মিয়ার কাছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা চরম আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। আহতদের মধ্যে মাহমুদ মিয়া, মুনাইম ও হুসেইন মিয়া, জিতু মিয়া, রায়েদ চৌধুরী রিংকু ও কাউসার মিয়াকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে জিতু মিয়া, মাহমুদ মিয়া ও মুনাইম মিয়াসহ পাঁচজনকে সিলেটে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ছালেহ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ মিয়া ও আশরাফ মিয়াসহ অন্যরা মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে নাম পরিবর্তন করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়।
এদিকে মাহমুদ মিয়া চৌধুরী জানান, প্রায় ১২ বছর ধরে উপজেলার ঘোলডুবা নদীর উত্তরপার জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরী। গত ১২ বছরে মসজিদের কোনো হিসাব দেননি। মুসল্লিরা হিসাব চাইলে তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চুপ করিয়ে দেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষেই থানায় অভিযোগ করেনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ স ঘর ষ আহত মসজ দ র উপজ ল র স ঘর ষ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
রোমান সম্রাজ্ঞী ভ্যালেরিয়া মেসালিনা ছিলেন ‘ভয়ংকর সুন্দরী’। তার সময়ে সময়ে রাজনীতিতে একজন নারীর হস্তক্ষেপ ভালোভাবে দেখা হতো না। কেউ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে তাকে নিয়ে নানা সরল ব্যাখ্যা তৈরি হয়ে যেতো।
ইতিহাসবিদ রবার্ট গ্রেভস বলেছেন, ভ্যালেরিয়া মেসালিনার উচ্চ রাজনৈতিক জ্ঞান ছিলো এবং তিনি ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিতেন। অথচ তিনি ইতিহাসে একজন কুখ্যাত রোমান সম্রাজ্ঞী। ভ্যালোরিয়া মেসালিনা ছিলেন রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী। বলা হয়ে থাকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন তার ক্ষমতা লিপ্সা, নৃশংসতা এবং চরম যৌন স্বেচ্ছাচারিতার জন্য।
আরো পড়ুন:
সকালে গোসল করার উপকারিতা
ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা সম্রাট নিরোর চাচাতো বোন, সম্রাট ক্যালিগুলার দ্বিতীয় চাচাতো বোন এবং সম্রাট অগাস্টাসের প্রপৌত্রী ছিলেন। ৩৮ বা ৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ক্লডিয়াসকে বিয়ে করেন। ৪১ খ্রিস্টাব্দে ক্যালিগুলা নিহত হলে ক্লডিয়াস সম্রাট হন এবং মেসালিনা সম্রাজ্ঞী হিসেবে ক্ষমতা লাভ করেন।
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা প্রায় এক দশক ধরে রোমের অন্যতম প্রভাবশালী নারী ছিলেন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্বাসন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
তার সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি রাতের বেলা গোপনে পতিতালয়ে যেতেন এবং সেখানে সেচ্ছাচারিতা করতেন। এমনকি তিনি নামকরা পতিতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করতেন। এক রাতে তিনি ২৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন!
৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সম্রাট ক্লডিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার প্রেমিক গাইয়াস সিলিয়াসের সাথে প্রকাশ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ। পরে ক্লডিয়াস তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তার নাম ও মূর্তি মুছে ফেলার জন্য ‘ড্যামনেশিও মেমোরি’ ঘোষণা করা হয়। রাজনীতিতে সরাসরি এক দশক প্রভাব রাখা সম্রাজ্ঞী ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত নারীর তকমা পেয়ে যান।
তথ্যসূত্র: এনসিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন
ঢাকা/লিপি