প্রতীকী ছবি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধ অর্থ উদ্ধারে আইন বাস্তবায়নের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের

পাচার হওয়া ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ গঠনে প্রস্তাবিত আইন বাস্তবায়নসহ চার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশ। ২৯ নভেম্বরের মধ্যে এসব দাবি না মানলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’র নেতারা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হবেন এবং নির্বাচিত হয়ে নিজেরাই আইন বানিয়ে নেবেন।

সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সংগঠন দুটি এই ঘোষণা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম ও অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের সভাপতি আবুল বাশার বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি তুলে ধরে আবুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য চব্বিশের অভ্যুত্থানের একটা সেরা অর্জন হতে পারে পাচাররোধী আইন। সরকারকে এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ উদ্যোগী হতে হবে।’

পরে তিনি ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ গঠনে প্রস্তাবিত আইন বাস্তবায়ন, ‘অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’–এর নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণে কৃষকের মতামত নেওয়া এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করার দাবি জানান।

এসব দাবিতে ৩১ অক্টোবর দুপুরে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে রংপুর, ৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খুলনা, ৮ নভেম্বর সকালে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে, ১৩ নভেম্বর দুপুরে চাঁদপুরের বাবুরহাট সরকারি কলেজ মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তা ছাড়া ১৪ নভেম্বর দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিকেনগর হাইস্কুল মাঠেও একটি সমাবেশ এবং ২৯ নভেম্বর সকালে ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ করার ঘোষণা দেন আবুল বাশার।

একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অহিংস গণ–অভ্যুত্থানের নেতা-কর্মীরা দেশের সবচেয়ে নিরীহ মানুষ। তাঁদের দাবিও খুব যৌক্তিক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো হাসিনা সরকার যেমন অহিংস গণ–অভ্যুত্থানের নেতাদের হামলা-মামলা করে নাজেহাল করেছিল, এই সরকারের আমলেও তাঁরা হামলা–মামলার শিকার হয়েছেন। সরকার ভুল বুঝতে পেরে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের জামিনের সুযোগ করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও অহিংস গণ–অভ্যুত্থানের কর্মসূচি যেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হয়, সেটা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

চার দফা দাবি পূরণ না হলে অহিংস গণ–অভ্যুত্থানের নেতারা নিজেরাই সংসদ সদস্য পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দেবেন উল্লেখ করে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সরকারকে আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে অহিংস গণ–অভ্যুত্থানের চার দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনে অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের নেতারা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দেবেন। নির্বাচিত হয়ে তাঁরা নিজেরা নিজেদের দাবি অনুযায়ী আইন বানাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ