গণহত্যার বিচার ও শহীদদের মাগফিরাত কামনায় উলামা পরিষদের আলোচনা সভা
Published: 6th, May 2025 GMT
শাপলায় চত্বরে গণহত্যার বিচার ও শহীদদের মাগফিরাত কামনায় নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকালে ফতুল্লা কাশীপুর নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের উদ্যোগে মারকাযুল উলুম হাজিপাড়া মাদ্রাসায় এক আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও আমলাপাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল কাদির, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা মুফিজুল ইসলাম, হাজিপাড়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতী আব্দুল আহাদ, শিক্ষাসচিব মুফতী মাহমুদুল হাসান, বায়তুল হিদায়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী, সিরাজুল উলুম আদর্শনগর মাদ্রাসার মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, কাশীপুর ইমাম ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান আশেকী, মাওলানা মুহিব ইমতিয়াজ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, মুফতী তৌফিক বিন হারিছ, হাফেজ জাহিদ হাসান, প্রমুখ।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়ালের বলেন, আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে আমাদের ভাইদেরকে শহিদ করেছে, আহত করেছে।
শিহদদের ও আহতদের পরিচয় আমরা বলতে পারি নাই। যারা শাপলা চত্বরে গিয়েছে তাদের কথা তাদের বাবা- মা বলতে পারে নাই। তাদের হুমকি দামকি দিয়ে নির্যাতন করেছে তাদের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে।
শাপলা চত্বরে বিনিময়ে ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে নির্যাতিতো করে অপমানিত করে এ দেশ থেকে আল্লাহ তাকে বের করেছেন। সে (ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনা) বাংলার জমিনে পা না রাখতে পারে। বাংলার জনগণ সোচ্চার থাকবে।
তৈহদি জনতা সমস্ত আলেমা ওলামাসহ সক্রিয় ভুমিকা রাখবে। প্রয়োজনে তার মোকাবেলা জন্য আরকটি শাপলা চত্বর করতে আমরা বাধ্য হবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ৩৫ সংগঠনের নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ
জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ৩৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে একটি জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই জোটের শরিকদের মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ-আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ, জুলাই রেভল্যুশনারি জার্নালিস্ট অ্যালায়েন্স, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-পুনাব, এসএডি (স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি), প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অব বাংলাদেশ-পুসাব, জুলাই মঞ্চ ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। বিগত সাড়ে ১৫ বছরের দমন-নিপীড়ন, দুর্নীতি, লুটপাট ও গণতন্ত্র হরণের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব এক জাগরণে সংঘটিত হয় ছাত্র-জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানে জীবন দিতে হয় দুই হাজারে বেশি মানুষকে। আহত হন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ।
মুসাদ্দিক আলী দাবি করেন, ‘ওই সময় রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা পরিচালিত হামলা আন্তর্জাতিক মহলে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু আমরা দেখছি, জুলাই বিপ্লবের আট মাস পেরিয়ে গেলেও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারপ্রক্রিয়া এখনো অনিশ্চিত।’
জুলাই ঐক্যের এই সংগঠক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন দেশে স্বাভাবিক গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার শামিল। সেই সঙ্গে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। জুলাই বিপ্লব–পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা বিভিন্ন দাবি তুলে জুলাইয়ে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের বিতর্কিত করতে চায়। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই আমরা বিভিন্ন মতাদর্শের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে আজ “জুলাই ঐক্য” নামে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় জোটের ঘোষণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিনিধি ফাতিমা ঝুমা বলেন, ‘জুলাই–পরবর্তী সময়ে যখন আমাদের কথা ছিল, আওয়ামী লীগের বিচারটা সবার আগে নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা কোনো বিচারিক কার্যক্রম তো দূরে থাক, এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতিই দেখতে পাইনি।’
আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্লাবন তারিক বলেন, ‘দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ইস্যুকে একেবারেই এড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখছি, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা জেলে যাওয়ার কয়েক দিন পর ছাড়া পেয়ে আবার তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’