হারের পর রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ বার্সা কোচ ফ্লিক
Published: 7th, May 2025 GMT
সভাপতি হুয়ান লাপোর্তে অনেক আশা ভরসা করেই বার্সেলোনার সাথে যুক্ত করেছিলেন জার্মান ম্যানেজার জান্সি ফ্লিককে। উদ্দেশ্য দীর্ঘদিনের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার ক্ষরা ঘোচানো। প্রথম মৌসুমেই লক্ষ্যের প্রায় কাছাকাছিই চলে গিয়েছিলেন ফ্লিক। তবে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৭ ব্যবধানের হারে শিরোপার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
সান সিরোতে ৪-৩ গোলের থ্রিলার শেষে অবশ্য ফ্লিক বেশ অসন্তষ্ট ম্যাচ অফিশিয়ালদের প্রতি। এই জার্মান ম্যানেজারের বিশ্বাস সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে বার্সেলোনার পরাজয়ের কারণ রেফারিদের। তারা রেফারিদের ফিফটি-ফিফটি কলগুলো ইন্টারের পক্ষে দিয়েছেন।
বার্সা প্রথম লেগের মতোই সান সিরোতেও শুরুতে দুই গোল পিছিয়ে যায়। তবে দারুণ প্রত্যাবর্তনে ফিরে আসে। ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে রাফিনহার গোলে মনে হচ্ছিল অতিথিদের জয় নিশ্চিত। কিন্তু যোগকরা সময়ে ফ্রান্সসেকো আচেরবির অসাধারণ সমতাসূচক গোল করে বসেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে দাভিদে ফ্রাত্তেসি গোল করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। ইন্টার নিশ্চিত করে মিউনিখের টিকিট।
আরো পড়ুন:
সোমারের দেয়ালে ধাক্কা খেয়েই ডুবল বার্সার তরী
ইন্টার পরীক্ষায় ফেল বার্সা
তবে ব্যপারগুলোকে ভিন্নভাবে দেখছেন ফ্লিক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই জার্মান ম্যানেজার জানান, দলের পারফরম্যান্সে তিনি হতাশ নন। তবে ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি স্পষ্টভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ফ্লিক কেন রেফারির ওপর ক্ষুব্ধ সেদিকে তাকানো যাক। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ভিএআর যাচাইয়ের পর ইন্টারকে একটি পেনাল্টি দেওয়া হয়। রেফারি শিমন মারচিনিয়াক পুনরায় লাওতারো মার্তিনেজকে করা পাউ কুবারসির ফাউলের ঘটনা পর্যালোচনা করেন এবং পেনাল্টির নির্দেশ দেন। হাকান চালহানোয়লুর স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি।
বিরতির পর বার্সেলোনাও একটি পেনাল্টি পায়, যখন হেনরিখ মিখিতারিয়ান ফাউল করেন লামিন ইয়ামালকে। ভিয়াআর পর্যালোচনা করে রেফারি সিদ্ধান্ত দেযন যে, ফাউলের শুরুর স্থান বক্সের বাইরে, যদিও তা দেখে মনে হচ্ছিল সংঘর্ষ বক্সে গিয়েও চলেছিল, ফলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
এই ব্যাপারগুলো মেনে নিতে না পেরে ফ্লিক ম্যাচ শেষে বলেন, “আমি খুব হতাশ যে আমরা বাদ পড়েছি, কিন্তু আমার দলের পারফরম্যান্সে আমি হতাশ নই। ওরা সবকিছু দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি। আমি রেফারি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। প্রতিটি ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্ত তাদের (ইন্টার) পক্ষেই গিয়েছে। আমরা আমাদের সবকিছু দিয়েছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমনই হলো। সেটাই আমাকে একটু কষ্ট দিয়েছে।”
ফ্লিক প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে ভুললেন না, একই সাথে জানিয়ে গেলেন সামনের মৌসুমে আরও শক্রিশালী হয়ে ফিরবেন, “আমরা এখন বাদ পড়েছি, তবে আগামী বছর আবার শুরু করব। আমাদের সমর্থকদের, ক্লাবকে ও চারপাশের সবাইকে খুশি করব। ইন্টার সত্যিকারের শক্তিশালী দল। খুব ভালোভাবে রক্ষণ সামলায় এবং তাদের দলে দুর্দান্ত স্ট্রাইকারও আছে।”
মিউনিখে ফাইনালে আর্সেনাল ও পিএসজির মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে ইন্টার।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ ইন ট র ম ল ন ফ ইন ল ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে প্রথমবার মিরাজ
এপ্রিলে ব্যাট-বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে। সেই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।এবার তার সামনে আইসিসির স্বীকৃতির হাতছানি।
আইসিসির মাস সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন মিরাজ। প্রথমবারের মতো আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তার সঙ্গে তালিকায় রয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউ জিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স।
সোমবার (৫ মে) আইসিসি পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের এপ্রিলের মাস সেরা খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।
আরো পড়ুন:
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে বাংলাদেশ
প্লে-অফের দ্বারপ্রান্তে পাঞ্জাব কিংস
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অর্জনের ঝুলি ‘টইটুম্বুর’ ছিল মিরাজের। সিলেটে ম্যাচ হারলেও মিরাজ দুই ইনিংসে ৫টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নিজের কাজটা ঠিকটাক করেছিলেন। চট্টগ্রামেও মিরাজ ধরে রেখেছিলেন ছন্দ। ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বল হাতে নিয়েছিলে ৫ উইকেট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তোলেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পথে তুলে নিয়েছিলেন সাদা পোশাকে ২ হাজার রান। ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলে নাম লিখিছেন সাকিবের পর। এছাড়া একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকারি বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হয়েছিলেন তিনি। আবার সিরিজে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটারও হয়েছেন। আলো ছড়িয়ে এবার আইসিসির স্বীকৃতির অপেক্ষায় বাংলাদেশের তারকা।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুরাজাবানি সিরিজে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন।২০.৫০ গড়ে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। এছাড়া কিউই পেসার বেন সিয়ার্সও দারুণ ফর্মে ছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ৯.৩০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ছিল ৫.০৭। হয়েছিলেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
ঢাকা/ইয়াসিন/সাইফ