Samakal:
2025-08-08@09:09:43 GMT

টিউলিপসহ ৩ জনকে দুদকে তলব

Published: 8th, May 2025 GMT

টিউলিপসহ ৩ জনকে দুদকে তলব

কোনো টাকা পরিশোধ না করে ঢাকার গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ফ্ল্যাট দখল করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.

আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে আগামী ১৪ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা  হয়েছে।

বুধবার ঢাকায় তাদের বাসার ঠিকানায় চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের ঢাকার ধানমন্ডি ও গুলশানের বাসায় চিঠি পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো. আকতারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

চিঠিতে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যারা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যরান্ত্র, অসদাচরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো টাকা পরিশোধ না করেই অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানির কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে রেজিস্ট্রি মূলে ফ্ল্যাটটি দখল করেছেন।  

ঢাকার গুলশান-২-এর ৭১ নম্বর রোডের ৫-এ ও ৫বি (পুরাতন), বর্তমানে- ১১এ, ১১বি (নতুন) প্লটের বি/২০১ নম্বর ফ্ল্যাটটি দখলে নেওয়া হয় ২০০১ সালের ১৯ মে মাসে যখন মায়ের বড় বোন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। একইদিনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও যে দুইজনকে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন রাজউকের সাবেক সহকারি আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান ও সরদার মোশারফ হোসেন। 

এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। বর্তমানে মামলটির তদন্ত চলছে। এই পর্যায়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে। 

দুদক জানায়, অবৈধভাবে ফ্ল্যাটটি নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে। বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের এক পত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। বেআইনিভাবে প্রভাবিত করা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিং থেকে রাজউকে পাঠানো ফ্ল্যাট মালিকদের তালিকায় রাজউকের এ সংক্রান্ত নোট শিটের ৫ নম্বর ক্রমিকে রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপের নাম রয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার ২০০১ সালের ১৯ মে থেকে রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপের দখলে ওই ফ্ল্যাটটি রয়েছে মর্মে ঢাকা সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। তিনি ২০০১ সালের ১৯ মে ফ্ল্যাটটির হস্তান্তরপত্র গ্রহণ করে ওই তারিখ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট উল প ট উল প স দ দ ক স দ দ ক ট উল প র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা দলের কে কত গোল করেছেন, ট্রফি জিতেছেন কে বেশি

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রায় তিন বছর কেটে গেল। এ সময়ে কেমন করলেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা? পরিসংখ্যানে বিস্তারিত জানিয়েছে আর্জেন্টিনার অনলাইন সাময়িকী ‘এল গ্রাফিকো’।

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১৮ ডিসেম্বর। সেই ম্যাচের পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ২৩ জন খেলোয়াড় এ পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করেছেন। মোট গোলসংখ্যা ৫১৪টি, শিরোপা ৫৭টি। শিরোপাগুলো ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে জিতেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঅভিষেক থেকে আজও—টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব মানে মেসি অপরাজেয়২০ ঘণ্টা আগে

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথম গোল হুয়ান ফয়থের। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোল করেন ভিয়ারিয়ালের এই রাইটব্যাক। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের পর ফয়থই প্রথম গোল করেন। শততম গোলটি রোমা মিডফিল্ডার পাওলো দিবালার। ২০২৩ সালের ৩১ মে সেভিয়ার বিপক্ষে। ২০০তম গোল হুলিয়ান আলভারেজের। এফএ কাপে হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে ৫–০ গোলের জয়ে গোলটি করেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।

গত বছর ১৫ জুন গুয়াতেমালার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর তাদের সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে এটি ছিল ৩০০তম গোল। এ বছর ৬ জানুয়ারি ইতালিয়ান সুপার কাপে এসি মিলানের বিপক্ষে লাওতারো মার্তিনেজের গোলটি ৪০০তম। আর গত ৯ জুলাই নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির করা গোলটি ছিল ৫০০তম।

আরও পড়ুনচীন সফর বাতিল করে অক্টোবর ও নভেম্বরে যাদের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা৩ ঘণ্টা আগে

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি গোল ইন্টার স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজের। ৮২ গোল করেছেন। তাঁর চেয়ে এক গোল কম করে মেসি আছেন দুইয়ে। ৬৪ গোল নিয়ে তিনে আতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ। ৪৮ গোল নিয়ে চারে আনহেল দি মারিয়া ও পাওলো দিবালা ৩৬ গোল করে পাঁচে।

বিশ্বকাপজয়ী এই স্কোয়াডের মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের পর সবচেয়ে বেশি ট্রফি জিতেছেন আলভারেজ। গত বছর আগস্টে আতলেতিকোয় যোগ দেওয়ার আগে সিটির হয়ে ছয়টি ট্রফি জেতেন, অন্যটি জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকা। বেনফিকার হয়ে ৪টি ও আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকাসহ মোট ৫টি ট্রফি জিতে দুইয়ে নিকোলাস ওতামেন্দি। সমান চারটি করে ট্রফি জিতেছেন মার্তিনেজ ও মেসি।

আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ