সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবিতে লংমার্চ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-­জনতা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা শহর পার্শ্ববর্তী চালবন্দ পয়েন্ট থেকে (বিশ্বম্ভরপুরের সীমানা শুরু হওয়ার পয়েন্ট) এ লংমার্চ শুরু হয়। 
এর আগে ৪ মে একই দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে ইউএনওর পক্ষ হয়ে বিএনপি সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করায় বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচি দেওয়া হয়। 
বিক্ষোভকারীরা প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে লং মার্চ করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে পৌঁছেন আন্দোলনকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.

রেজাউল করিম। পরে তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউএনও অফিসে আলোচনায় বসেন। তিনি ইউএনও মফিজুর রহমানকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, থানার ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিল্পী রাণী মোদক প্রমুখ। 
কর্মসূচি চলাকালে সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমনুদ্দোজা বলেন, আমরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আসছিলাম। শান্তিপুর্ণভাবে পথে দাঁড়িয়েছিলাম, প্রকাশ্যে ইউএনও’র লাঠিয়াল বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে। 
ইমনুদ্দোজা আরও বলেন, এখনও মনে হচ্ছে প্রশাসনের চেয়ারগুলোয় আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর। আমাদের একটি দাবি– ‘এই মফিজ হটাও বিশ্বম্ভরপুর বাঁচাও।’
আন্দোলনকারী জনি আহমদ বলেন, আমরা একটি যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছিলাম। কিন্তু ইউএনও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন, এতে আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন। প্রশাসন একবারের জন্যও কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাদের (আন্দোলনকারীদের) বলেছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যেন 
তাঁকে (ইউএনও) এখান থেকে বদলি করা হয়। 
পরে ছাত্রদের বিরুদ্ধে কেউ যেন হামলা বা অন্য কোনোভাবে ঝামেলা না করতে পারে, সেজন্য যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে রয়েছেন, তারা দেখবেন বিষয়টি। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে জাল নিবন্ধনে বাল্যবিবাহ, কনের মা ও কাজির জরিমানা

ফরিদপুরে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার ঘটনায় কনের মা ও কাজিকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের চকবাজার জামে মসজিদসংলগ্ন কাজি অফিসে অভিযান চালান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান।

অভিযানে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কাজি মো. কামরুল হাসানকে (৪৮) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে বিকেলে শহরের বায়তুল আমান এলাকায় কনের মাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

১২ জুন বায়তুল আমান এলাকায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বয়স জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বাড়িয়ে বিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর বিকেলে ইউএনও কনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর রাতেই কাজির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

জানা গেছে, নানা অভিযোগের কারণে এর আগে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) কামরুল হাসানের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। তবে তিনি উচ্চ আদালতের আদেশে আবারও কার্যক্রম শুরু করেন, যার মেয়াদ ছিল ৮ জুন পর্যন্ত।

ইউএনও ইসরাত জাহান বলেন, এক কিশোরীর বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজির অনিয়মের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রান্নার জন্য রাখা হয়েছিল ১০ কেজি মরা মুরগি, ইউএনওর অভিযানে জরিমানা
  • কুমিল্লায় চণ্ডীমূড়া মন্দিরের সামনে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা
  • অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড
  • ফরিদপুরে জাল নিবন্ধনে বাল্যবিবাহ, কনের মা ও কাজির জরিমানা