ইউএনওর বদলির দাবিতে লংমার্চ ছাত্র-জনতার
Published: 8th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবিতে লংমার্চ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা শহর পার্শ্ববর্তী চালবন্দ পয়েন্ট থেকে (বিশ্বম্ভরপুরের সীমানা শুরু হওয়ার পয়েন্ট) এ লংমার্চ শুরু হয়।
এর আগে ৪ মে একই দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে ইউএনওর পক্ষ হয়ে বিএনপি সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করায় বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে লং মার্চ করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে পৌঁছেন আন্দোলনকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.
কর্মসূচি চলাকালে সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমনুদ্দোজা বলেন, আমরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আসছিলাম। শান্তিপুর্ণভাবে পথে দাঁড়িয়েছিলাম, প্রকাশ্যে ইউএনও’র লাঠিয়াল বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে।
ইমনুদ্দোজা আরও বলেন, এখনও মনে হচ্ছে প্রশাসনের চেয়ারগুলোয় আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর। আমাদের একটি দাবি– ‘এই মফিজ হটাও বিশ্বম্ভরপুর বাঁচাও।’
আন্দোলনকারী জনি আহমদ বলেন, আমরা একটি যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছিলাম। কিন্তু ইউএনও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন, এতে আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন। প্রশাসন একবারের জন্যও কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাদের (আন্দোলনকারীদের) বলেছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যেন
তাঁকে (ইউএনও) এখান থেকে বদলি করা হয়।
পরে ছাত্রদের বিরুদ্ধে কেউ যেন হামলা বা অন্য কোনোভাবে ঝামেলা না করতে পারে, সেজন্য যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে রয়েছেন, তারা দেখবেন বিষয়টি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
গাইড বই ও মুঠোফোনে চ্যাটজিপিটি দিয়ে পরীক্ষা, গফরগাঁওয়ে ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত
সকাল ১০টা বাজতেই শুরু হয়ে যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২০ মিনিট পর কেন্দ্রে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় পরীক্ষার্থীদের কেউ গাইড বই খুলে, কেউ মুঠোফোনে চ্যাটিজিপিটি ব্যবহার করে খাতায় উত্তর লিখছিল। পরে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে আট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গফরগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির সালমান উপজেলার মহিলা কলেজকেন্দ্র অভিযানে গিয়ে এ পদক্ষেপ নেন।
আমির সালমান প্রথম আলোকে বলেন, গফরগাঁও মহিলা কলেজকেন্দ্রে এসএসসি ভোকেশনালের ট্রেড দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি কেন্দ্রে ঢুকে দেখেন, গাইড বই নিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখছে শিক্ষার্থীরা। ওই অবস্থায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে তিনটি কক্ষ থেকে আট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তারা সবাই ছেলে শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছয়জনের হাতে গাইড বই ও দুজনের কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায়। তিনি বলেন, শিক্ষকেরা থাকার পরেও কীভাবে পরীক্ষার্থীরা গাইড বই বা মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন জেএম কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে মুঠোফোন রাখার দায়ে দুজন কক্ষ পরিদর্শককে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এ ছাড়া ইসলামিয়া সরকারি স্কুলকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা মুজিবুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মুঠোফোন রাখা ও বোর্ডের নীতিমালা ভঙ্গ করে নিজের মেয়ে পরীক্ষার্থী হওয়ার পরেও পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করায় পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন না করার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই। নকলের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’