যবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
Published: 13th, May 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুন্নাহার রূপার মৃত্যু রহস্যজনক আখ্যা দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরির সামনে শোকপ্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন ওই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নিশাত চাঁদনী লিজা বলেন, “রূপা আপুর সঙ্গে গত এক মাস ধরে আমার নিয়মিত কথা হত। তিনি তার সনদ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পাঠিয়েছিলেন এবং আমাকে অতিদ্রুত তার সনদ নেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আপুর মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়।”
আরো পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ২ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ
পাবিপ্রবিতে জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘অবমাননা’র প্রতিবাদ
তিনি বলেন, “এসব করণে আমার কখনোই মনে হয়নি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে চাইলে কখনোই আমাকে তার সনদ তোলার জন্য বারবার তাগিদ দিতেন না। এর পিছনে অবশ্যই অন্য কোনো রহস্য রয়েছে।”
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.
তিনি বলেন, “আমরা রূপার মৃত্যুর কথা শুনে তার গ্রামে যায় এবং সেখানে পাওয়া তথ্য মতে, এই মৃত্যুটি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
বিভাগের চেয়ারম্যান ও ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার বলেন, “আমরা রূপার মৃত্যুতে খুবই শোকাহত। রূপার মতো সদা হাস্যোজ্জ্বল মেয়ে কখনো আত্মহত্যা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা রূপার মৃত্যুর কথা শুনে তার এলাকায় যায়। সেখানে সবার মুখে শুনলাম, সে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না। এর পিছনে অবশ্যই অন্য কোনো রহস্য আছে। আমরা এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।”
শনিবার (১০ মে) যশোরের বেনাপোলে শ্বশুরবাড়ি থেকে আশরাফুন্নাহার রূপার মৃতদেহ গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প রব রহস য তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।