এমবাপ্পে, হলান্ড নাকি লেভা: চলতি দশকে গোলের লড়াইয়ে এগিয়ে কে
Published: 14th, May 2025 GMT
গোলের লড়াই বললে একসময় সবার আগে আসত লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। লম্বা সময় পর্যন্ত দুজন একে অপরের বিপক্ষে লড়েছেন। প্রায় এক দশকের বেশি সময় দুজনের আশপাশে খুব কম খেলোয়াড়ই ঘেঁষতে পেরেছেন, তবে সেসব দিন এখন অতীত।
গত দশকে মেসি-রোনালদোর একচ্ছত্র দাপট ভেঙেছে এই দশকে। দুজনই ইউরোপিয়ান ফুটবলের মঞ্চকেও বিদায় জানিয়েছেন। তাঁদের রেখে যাওয়া মসনদে এখন বসেছেন অন্যরা। তবে চলতি দশকে গোলের লড়াইটি মেসি-রোনালদোর লড়াইয়ের মতো দুজনে আটকে নেই। এই লড়াইয়ে সেরা হওয়ার দৌড়ে আছে একাধিক নাম। দশক শেষ হতে হতে তাই বদলে যেতে পারে সব হিসাব–নিকাশও।
ট্রান্সফারমার্কেটের হিসাব বলছে, চলতি দশকে অর্থাৎ ২০২০-২১ মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল করায় সবার ওপরে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই ৫ বছরে এমবাপ্পে করেছেন ২৩৭ ম্যাচে ২০৫ গোল। তাঁর ম্যাচপ্রতি গোল ০.
২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জিতে সবাইকে চমকে দেওয়া এমবাপ্পে এই সময়ে পিএসজির হয়ে জিতেছেন তিনটি লিগ, দুটি ফ্রান্স কাপ এবং দুটি ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এরপর রিয়ালে যোগ দিয়ে জিতেছেন একটি উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা আন্তমহাদেশীয় কাপ।
২০২০-২১ মৌসুম থেকে শীর্ষ ৫ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতাতালিকায় দ্বিতীয় রবার্ট লেভানডফস্কি। পোলিশ এই স্ট্রাইকার এ সময়ে খেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনায়। দুই ক্লাব মিলিয়ে তিনি ২৩০ ম্যাচে করেছেন ১৯৭ গোল। যেখানে লেভার ম্যাচপ্রতি গোল ০.৮৫টি। গোলগুলো করার পথে বায়ার্ন ও বার্সার হয়ে জিতেছেন ১০টি শিরোপা।
এই দশকে আরেক গোল মেশিন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। গোলের অনেক রেকর্ড এরই মধ্যে ভেঙে দিয়েছেন হলান্ড। এই দশকে এখন পর্যন্ত ২১০ ম্যাচে হলান্ড করেছেন ১৯০ গোল। ম্যাচপ্রতি গোল ০.৯০টি। ম্যাচপ্রতি গোল বিবেচনায় হলান্ডের অবস্থান অবশ্য এমবাপ্পে-লেভাদেরও ওপর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দুজন হচ্ছেন হ্যারি কেইন (২৩৮ ম্যাচে ১৭৩ গোল) এবং মোহাম্মদ সালাহ (২৪৭ ম্যাচে ১৫০ গোল)।
আরও পড়ুনহলান্ড নাকি এমবাপ্পে, রোনালদোর গোলের রেকর্ড ভাঙবেন কে২৪ জানুয়ারি ২০২৫ক্লাব বিচারে এ সময় সবচেয়ে বেশি গোল ম্যানচেস্টার সিটির। ইংলিশ ক্লাবটি ২৯৩ ম্যাচে করেছে ৬৯০ গোল। এ সময়ে সিটি চারটি প্রিমিয়ার লিগ এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে। সিটির পরই আছে বায়ার্ন। জার্মান ক্লাবটি ২৪৫ ম্যাচে করেছে ৬৭০ গোল। এ সময়ে বায়ার্ন ঘরোয়া লিগের চারটি শিরোপাও জিতেছে। এ তালিকায় পরের তিনটি নাম হচ্ছে পিএসজি (২৬৫ ম্যাচে ৬২৩ গোল), লিভারপুল (২৮০ ম্যাচে ৬০৯ গোল) এবং রিয়াল মাদ্রিদ (২৮৩ ম্যাচে ৫৯৪ গোল)।
২০২০-২১ মৌসুম থেকে শীর্ষ ৫ লিগে সর্বোচ্চ গোল করা ক্লাবউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমব প প হল ন ড এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত আদেশ স্থগিত
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এ–সংক্রান্ত মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এক মেমোতে জানায়, সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণের কারণে সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন সরকার মঞ্জুর করেছে। এর বৈধতা নিয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পক্ষে চলতি মাসে রিটটি করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আলম মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য থেকে সাইফুল আলম (এস আলম) ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন; যাতে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া টাকা দিতে না হয় এবং ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে সুরক্ষা পেতে পারেন। নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে দাবি করে তিনি আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে গিয়েছেন। অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে মেমো দিয়ে মঞ্জুর করেছিল, তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বহাল থাকছেন।
জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী আরও বলেন, ২০২০ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও বিভিন্ন ঋণসংক্রান্ত নথি–তথ্যাদিতে এস আলম নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করছেন দেখা যাচ্ছে। আবার সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে আন্তজাতিক সালিসি আদালতে গিয়ে বাংলাদেশে তাঁর বিনিয়োগের সুরক্ষা চাচ্ছেন। তাঁর কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা এক হাজার কোটির বেশি টাকা।
সিঙ্গাপুর থেকে সাইফুল আলমকে কূটনৈতিক মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি এবং গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় ও পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম।