ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাম্য ঢাবির স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।

বুধবার (১৪ মে) ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সাম্য হত্যা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

সিরাজুল ইসলাম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে অনুরোধ করেছে ঢাবি প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ছ ত রদল রহম ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচিত ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ বললেন বিজেপির মন্ত্রী

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর  সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। এই সোফিয়াকেই ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ বললেন বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ। 

বিজেপির মন্ত্রী বিজয় বলেছেন, “যারা আমাদের মা-মেয়ের সিঁদুর মুছে দিয়েছে, তাদের বোনকেই ব্যবহার করে হামলাকারীদের শায়েস্তা করেছি। ওরা (জঙ্গিরা) পোশাক খুলিয়ে বেছে বেছে হিন্দুদের মেরেছে। আর মোদিজি ওদের বোনকে দিয়েই উচিত শিক্ষা দিয়ে দিয়েছেন। মোদিজি তো আর ওদের মতো ব্যবহার করতে পারেন না। তাই ওদের সম্প্রদায়ের বোনকে দিয়েই ওদের বারোটা বাজিয়েছেন।”

বিজয়ের এই মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস। 

বিতর্কের মুখে বিজয় বলেছেন, “আমার কথায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তা হলে ১০ বার ক্ষমা চাইতেও রাজি আমি।”

এদিকে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশির উপর অবমাননাকর, সাম্প্রদায়িক এবং যৌনতাবাদী মন্তব্যের জন্য বিজয় শাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে বুধবার রাজ্য পুলিশ প্রধানকে বিজয় শাহের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে, অন্যথায় আদালত পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরু করার কথা বিবেচনা করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ