অনলাইনে দেওয়া যাবে ডিএনসিসি’র হোল্ডিং ট্যাক্স
Published: 14th, May 2025 GMT
নাগরিকরা এখন থেকে ঘরে বসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবেন। একইসঙ্গে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ও ফি জমা দেওয়া যাচ্ছে অনলাইনে।
ডিএনসিসি’র প্রশাসকের নির্দেশনায় সংস্থাটির ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান সহজীকরণ করতে অনলাইনে ঘরে বসে এই সেবা পাবেন ডিএনসিসি’র নাগরিকরা।
বুধবার (১৪ মে) ডিএনসিসি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করবে ওয়াসা-রাজউক-ডিএনসিসি
সমাবেশে পানি স্প্রে নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল ডিএনসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে ডিএনসিসি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-রেভিনিউ অপশনে ক্লিক করলে সিটিজেন চার্টারে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে রেজিস্টেশন করলে ব্যক্তিগত ড্যাসবোর্ড খুলে যাবে। ড্যাসবোর্ড থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স অপশনে গিয়ে তথ্য প্রদান করে কুইক পে অপশন থেকে প্রদানকারীর ব্যাংক একাউন্ট অথবা কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
সিটিজেন পোর্টাল থেকে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং, বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং ট্যাপ ও নগদের মাধ্যমে ডিএনসিসির ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দেওয়া যাবে।
একইভাবে সিটিজেন পোর্টাল থেকে নতুন বাড়ি যেগুলো কর তালিকার আওতাধীন নেই সেগুলোর ই-হোল্ডিং নিজেই মূল্যায়ন করে হোল্ডিং ট্যাক্স অপশনে নতুন হোল্ডিং আবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে তার ট্যাক্স কত টাকা সে সংক্রান্ত তথ্য ও নতুন ই-হোল্ডিং নম্বর পেয়ে যাবেন।
ডিএনসিসি’র করদাতাদের কর প্রদান কার্যক্রম সহজ করতে চলতি বছরের ১১ মে থেকে পৌরকর মেলা ২০২৫ আয়োজন করেছে। মেলা চলবে ৩০ মে পর্যন্ত ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ২৪টি কেন্দ্রে।
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
শাকসু নির্বাচনে ভিপি ও এজিএসে চারজন করে, জিএসে ৭ প্রার্থী
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার শাকসুতে ৯৭ জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, শাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে চারজন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সাতজন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হাসান (শিশির), পেট্রোলিয়াম ও খনিজ প্রকৌশল বিভাগের মুহয়ী শারদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুমিনুর রশীদ (শুভ) ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম বিল্লাহ।
জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পুর কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানের ফয়সাল হোসেন, রসায়ন বিভাগের মারুফ বিল্লাহ, সমাজকর্মের জুনায়েদ আহমেদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের পলাশ বখতিয়ার ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের জুনায়েদ হাসান।
এজিএস পদে আছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল মাহমুদ, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতাহারুল ইসলাম রাহিন, একই বিভাগের হাফিজুর ইসলাম এবং জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের জহিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক পদে দুজন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে চারজন, সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক পদে দুজন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে দুজন, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক পদে তিনজন, সামজসেবা সম্পাদক পদে তিনজন, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদে (শুধু ছাত্রীদের জন্য) চারজন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে চারজন, শিক্ষা-গবেষণা-ক্যারিয়ার উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে পাঁচজন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে পাঁচজন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে চারজন, পরিবহন সম্পাদক পদে চারজন, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনবিষয়ক সম্পাদক চারজন, আইন ও মানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক পাঁচজন এবং পাঁচটি সদস্যপদে মোট ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৩টি পদ রয়েছে। অপর দিকে হল সংসদে পদ রয়েছে ৯টি। তিনটি ছাত্রী হল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন ২১ প্রার্থী। অপর দিকে তিনটি ছাত্র হল সংসদে ৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন।
ছাত্রী হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ২১ প্রার্থী
আয়েশা সিদ্দীকা হল সংসদে (প্রথম ছাত্রী হল) ভিপি-জিএস-এজিএসসহ আটটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন। এই হলে শুধু সমাজসেবা পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রায় একই চিত্র ছাত্রীদের বেগম সিরাজুনেচ্ছা চৌধুরী হল সংসদে (দ্বিতীয় ছাত্রী হল)। ভিপি ছাড়া অন্য আটটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী। এই হলে শুধু ভিপি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপর দিকে ফাতেমা তুজ জোহরা হল সংসদে (তৃতীয় ছাত্রী হল) ভিপি পদে তিন ও জিএস পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য তিনটি সম্পাদকীয় পদ ও দুটি সদস্যপদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী। একটি সদস্যপদে কোনো প্রার্থীই নেই।
আবাসিক ছাত্র হল সংসদ
শাহপরাণ হল সংসদে ভিপিতে তিনজন, জিএসে দুজন, এজিএসে দুজন, সমাজসেবাতে দুজন ও তিনটি সদস্যপদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ ক্রীড়া সম্পাদক এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী।
বিজয়-২৪ হল সংসদে ভিপি, জিএস, এজিএস, ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য সাংস্কৃতিক পদে দুজন করে, সমাজসেবায় তিনজন ও তিনটি সদস্যপদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ভিপিতে দুজন, জিএস-এজিএসে তিনজন করে, ক্রীড়া সম্পাদকে দুজন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুজন এবং তিনটি সদস্যপদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সমাজসেবায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন বিজয়ী।
শাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ জানান, ‘প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে লটারির মাধ্যমে ব্যালট বরাদ্দ দেওয়া হবে৷ এ কারণে হয়তো দু-এক দিন সময় লাগতে পারে।’