মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় চোর সন্দেহে আলমগীর মিয়া (২৫) নামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ছকসালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার ঘটনাটি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী আলমগীর মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে। তাঁকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কনক কান্তি সিনহা বলেন, আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁরা তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন।

ভুক্তভোগী আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, তাঁর চাচাতো ভাই আলমগীর মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাঁর প্রতিবন্ধী কার্ডও আছে। তাঁকে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়েছে। এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবু রায়হান বলেন, ১২ মে আলমগীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে হারিয়ে যান। রাতে কুলাউড়ার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চোর সন্দেহে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কয়ছর রশীদের উপস্থিতিতে কয়েকজন বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে তাঁকে মারধর করেন। পরে আহত অবস্থায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাঁর বাড়ির পাশে রেখে যান। গতকাল ভোরে আহত অবস্থায় আলমগীর বাড়িতে আসেন। পরে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টিলাগাঁও ইউনিয়নে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে টিলাগাঁও ইউপির সদস্য কয়ছর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় সম্প্রতি দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এলাকার লোকজন গ্রামে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। গতকাল একজন চোর ধরা পড়েছে শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তিনি যাওয়ার আগে লোকজন চোর সন্দেহে ওই তরুণকে মারধর করেন। তিনি গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এখন তাঁকেই কেন দোষারোপ করা হচ্ছে, তিনি বুঝতে পারছেন না।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম আপছার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলমগ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক

ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।

জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আঁখির অতিথি সৈয়দ আবদুল হাদী
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • কাশিপুরে বিএনপি নেতা আলমগীর ও সাইদুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
  • হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে
  • স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক