উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী ও বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে তলব করেছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কেনাকাটায় অনিয়ম, বদলি–বাণিজ্য এবং পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনাকে ঘিরে ‘কমিশন–বাণিজ্যের’ অভিযোগে তাঁদের তলব করা হয়েছে।

আক্তার হোসেন বলেন, তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে; গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে এবং মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

এপিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়েও মন্ত্রণালয়ে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এনসিপির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ। গত ২১ এপ্রিল তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় দল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ