দুই উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও এনসিপি নেতাকে ডেকেছে দুদক
Published: 15th, May 2025 GMT
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী ও বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে তলব করেছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কেনাকাটায় অনিয়ম, বদলি–বাণিজ্য এবং পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনাকে ঘিরে ‘কমিশন–বাণিজ্যের’ অভিযোগে তাঁদের তলব করা হয়েছে।
আক্তার হোসেন বলেন, তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে; গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে এবং মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
এপিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়েও মন্ত্রণালয়ে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এনসিপির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ। গত ২১ এপ্রিল তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় দল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রতারক’ ইসাহাক আলী মনির শাস্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতকারী ‘প্রতারক’ ইসাহাক আলী মনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পাওনা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ‘ইসহাক আলী মনি একজন মহা প্রতারক। কখনও কর্পোরেট হাউজের মালিক, কখনও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, কখনও হাসপাতালের মালিক, আবার কখনও সংবাদপত্রের মালিক সেজে অফিস ডেকোরেশনের নামে আসবাবপত্র, এসি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ অফিস সাজানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকিতে নিয়ে আর টাকা দেয় না। টাকা চাইলে নানান টালবাহানা করতে থাকেন। মামলা করতে বলেন। তার এই প্রতারণার ফাঁদে অনেক ব্যবসায়ী আজ নিঃস্ব হয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’
ব্যবসায়ীরা জানান, ইসাহাকের গ্রামের বাড়ি কখনও কুষ্টিয়া, কখনও পাবনা, কখনও সিরাজগঞ্জ বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বলে থাকেন। প্রকৃত ঠিকানা কখনোই ব্যবসায়ীদের উল্লেখ করেন না। ঢাকায় নিজ কার্যালয়ের ঠিকানা কাউকে দেন না। তবে মাঝেমধ্যে বড় ফ্ল্যাট নিয়ে অফিস সাজানোর নামে এসব প্রতারণা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতারণার ফাঁদে ছোট ব্যবসায়ীরাই শুধু নয়, বড় কর্পোরেট হাউস গ্রামীণ ফোন, অটবি, ফ্রিজ এসি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরাও সর্বস্বান্ত। তার চটকদার কথায় সকলেই মুগ্ধ হয়ে যায়। আর এ সুযোগেই প্রতারণা করে আসছেন ইসাহাক আলী মনি। এ প্রতারকের কাছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা পাওনাদার। অবিলম্বে এই প্রতারককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।