আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯ দলের মধ্যে নবম। তবে শেষ হতে চলা ২০২৩–২৫ চক্রে নাজমুল হোসেনের দল উঠে এসেছে সপ্তম স্থানে। পয়েন্ট তালিকার উন্নতির সঙ্গে অর্থপ্রাপ্তিতেও সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই বছরের চক্রে ৪ টেস্ট জিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

প্রাইজমানি বেড়েছে অবশ্য সব দলের জন্যই। আগামী ১১ জুন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের দুই আসরেই ছিল ১৬ লাখ ডলার করে।

২০২৩–২৫ আসরের ফাইনাল সামনে রেখে আজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০১৯–২১ ও ২০২১–২৩ দুটি আসরেই অংশ নেওয়া ৯ দলের জন্য প্রাইজমানি ছিল ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারে।

সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি বেড়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ১৬ লাখ মার্কিন ডলার, তবে এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে প্যাট কামিন্সরা পাবেন ৩৬ লাখ ডলার। এবারের রানার্সআপ দল পাবে ২১ লাখ ৬০ হাজার ডলার, যা গতবার ছিল ৮ লাখ।

শুধু দুই ফাইনালিস্টই নয়, গতবারের রানার্সআপের চেয়ে বেশি পাবে এবারের চক্রে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ হওয়া দলও। ১৯ ম্যাচে ৯ জয়, ২ ড্র মিলিয়ে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হওয়া ভারত পাচ্ছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ ছাড়া চতুর্থ হওয়া নিউজিল্যান্ড ১২ লাখ, পঞ্চম হওয়া ইংল্যান্ড ৯ লাখ ৬০ হাজার এবং ষষ্ঠ হওয়া শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ দল এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে খেলেছিল ১২টি ম্যাচ। এর মধ্যে পাকিস্তানে দুটি এবং নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি করে মোট ৪টিতে জিতেছে। ড্র নেই, হেরেছে বাকি ৮টিতে। সব মিলিয়ে ৩১.

২৫ শতাংশ পয়েন্টে সপ্তম হয়েছে বাংলাদেশ।

সপ্তম হিসাবে বাংলাদেশ দল পাচ্ছে ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি। আগের দুই আসরে নবম হয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল ১ লাখ ডলার করে। তখন সপ্তম, অষ্টম ও নবম—তিন দলই পেয়েছিল সমান অর্থ।

তবে এবারের আসরে অষ্টম ও নবম হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান পাচ্ছে বাংলাদেশের কম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাচ্ছে ৬ লাখ ডলার আর পাকিস্তান ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট স ট চ য ম প য়নশ প প র ইজম ন

এছাড়াও পড়ুন:

রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই এখনকার চেয়ে রিজার্ভ কম ছিল বলে জানা গেছে।

গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মেনে হিসাব প্রকাশের পর থেকে যা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২০২৩ সালের জুনে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে এখন বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান. রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। যে কারণে চলতি অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। আবার আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পেয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬,৫০০ ছুঁয়েছে
  • প্রথমবারের মতাে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
  • রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার
  • গল্পের প্রয়োজনে অন্তরঙ্গ দৃশ্য করেছি: রাজ রিপা
  • ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
  • সিলিকন ভ্যালিতে চাকরি পেলেন ইরফান, বেতন বছরে সাড়ে তিন কোটি
  • ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত
  • ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৭২
  • প্লাস্টিকখেকো ছত্রাক
  • জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে