৪ ম্যাচ জিতে ৯ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ
Published: 15th, May 2025 GMT
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯ দলের মধ্যে নবম। তবে শেষ হতে চলা ২০২৩–২৫ চক্রে নাজমুল হোসেনের দল উঠে এসেছে সপ্তম স্থানে। পয়েন্ট তালিকার উন্নতির সঙ্গে অর্থপ্রাপ্তিতেও সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই বছরের চক্রে ৪ টেস্ট জিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রাইজমানি বেড়েছে অবশ্য সব দলের জন্যই। আগামী ১১ জুন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের দুই আসরেই ছিল ১৬ লাখ ডলার করে।
২০২৩–২৫ আসরের ফাইনাল সামনে রেখে আজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০১৯–২১ ও ২০২১–২৩ দুটি আসরেই অংশ নেওয়া ৯ দলের জন্য প্রাইজমানি ছিল ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারে।
সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি বেড়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ১৬ লাখ মার্কিন ডলার, তবে এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে প্যাট কামিন্সরা পাবেন ৩৬ লাখ ডলার। এবারের রানার্সআপ দল পাবে ২১ লাখ ৬০ হাজার ডলার, যা গতবার ছিল ৮ লাখ।
শুধু দুই ফাইনালিস্টই নয়, গতবারের রানার্সআপের চেয়ে বেশি পাবে এবারের চক্রে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ হওয়া দলও। ১৯ ম্যাচে ৯ জয়, ২ ড্র মিলিয়ে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হওয়া ভারত পাচ্ছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ ছাড়া চতুর্থ হওয়া নিউজিল্যান্ড ১২ লাখ, পঞ্চম হওয়া ইংল্যান্ড ৯ লাখ ৬০ হাজার এবং ষষ্ঠ হওয়া শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ দল এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে খেলেছিল ১২টি ম্যাচ। এর মধ্যে পাকিস্তানে দুটি এবং নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি করে মোট ৪টিতে জিতেছে। ড্র নেই, হেরেছে বাকি ৮টিতে। সব মিলিয়ে ৩১.
সপ্তম হিসাবে বাংলাদেশ দল পাচ্ছে ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি। আগের দুই আসরে নবম হয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল ১ লাখ ডলার করে। তখন সপ্তম, অষ্টম ও নবম—তিন দলই পেয়েছিল সমান অর্থ।
তবে এবারের আসরে অষ্টম ও নবম হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান পাচ্ছে বাংলাদেশের কম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাচ্ছে ৬ লাখ ডলার আর পাকিস্তান ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট স ট চ য ম প য়নশ প প র ইজম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ