Prothomalo:
2025-05-15@19:07:35 GMT

এলইডি বাতিই চলছে বেশি

Published: 15th, May 2025 GMT

শহর-বন্দর থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁয়ে—বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে সর্বত্র। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে বৈদ্যুতিক বাতি বা বাল্বের চাহিদাও। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বাতির চাহিদা বেশি। শুধু ঘর আলোকিত করা নয়, বিভিন্ন সাজসজ্জা, ঘরকে সুন্দর করে তোলার কাজেও বাড়ছে বাতির ব্যবহার। আশি ও নব্বইয়ের দশকজুড়ে জনপ্রিয় ছিল টাংস্টেন ফিলামেন্টের বাল্ব। ধীরে ধীরে সে জায়গা দখল করেছে এলইডি বাল্ব। বাসা–বাড়ি থেকে অফিস-আদালত এমনকি গণজমায়েতের জায়গায়ও এখন এলইডি বাতির দেখা মেলে বেশি।

এলইডি বাতির জনপ্রিয়তার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তি। ফিলামেন্ট বাল্ব যেমন বিদ্যুৎ খরচ বেশি করত, তেমনই এটি ছিল তাপ–উৎপাদী। একটি ঘর আলোকিত করতে যেখানে ৬০ ওয়াটের ফিলামেন্ট বাতির দরকার হতো, সেখানে ৯ বা ১৩ ওয়াটের এলইডি বাতি যথেষ্ট। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে বেড়েছে এলইডি বাতির জনপ্রিয়তা। বর্তমান বাজারের প্রায় ৯৫ শতাংশ দখল করে আছে এলইডি বাতি। যদিও কিছু কিছু জায়গায় এখনো ফিলামেন্টের বাল্ব দেখা যায়। বিশেষ করে যেখানে আলোর পাশাপাশি তাপও প্রয়োজন। যেমন পোলট্রি ফার্ম। এ ছাড়া শহরে গড়ে ওঠা ছোট ছোট লাইভ বেকারিতেও দেখা যায় ফিলামেন্ট বাতি। দাম কম হওয়ায় গ্রামে এখনো কিছুটা চল রয়েছে জিএলএস বাল্বের। বিশেষ করে শীতকালে জিএলএস বাল্বের জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়। শীত থেকে বাঁচতে তাপ–উৎপাদী বাল্ব কেনার দিকে নজর দেন অনেকে। তবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে ধীরে ধীরে এলইডি বাল্বই ভরসা হয়ে উঠছে। বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই জায়গা করে নিয়েছে এলইডি বাল্ব।

বাজারের ধারা

ফ্লুরোসেন্ট টিউবলাইট, এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাল্ব ও এলইডি টিউবলাইট—বাজারে এ ধরনের বাল্ব ও টিউবলাইট দেখা যায় বেশি। ক্রেতারা তাঁদের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী বাতি কিনছেন বাসা-বাড়ির জন্য। বেশির ভাগ ক্রেতাই চেষ্টা করেন বাসা–বাড়ির জন্য বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি কেনার। এতে টাকা যেমন সাশ্রয় হয়, তেমনই লম্বা সময়ের জন্য চিন্তামুক্ত থাকা যায়। তবে কয়েক বছর ধরে এমন চিন্তাধারায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ ল্যাম্পস সিএলসির উপব্যবস্থাপক রওনক ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগেও বাজারে সাধারণত বাতি কেনার ধুম পড়েনি। দরকার না পড়লে বাতি কেনার প্রয়োজনবোধ করতেন না কেউ। কিন্তু কয়েক বছরে ঘরের সৌন্দর্যের দিকে মনোযোগী হয়েছেন অনেকে। সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন রকম ডেকোরেটিভ লাইটের দিকে ঝুঁকছেন এবং ঘরের বাতিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলছেন। স্মার্টফোন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে স্মার্ট বাল্ব। যদিও বাণিজ্যিকভাবে এর বাজারজাতকরণ কম। বর্তমানে বাজারে প্রায় ৩০ ধরনের ৬০০ মডেলের ভিন্ন ভিন্ন বাতি পাওয়া যাচ্ছে।

রওনক ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সুপার স্টার, ট্রান্সটেক ও ওয়ালটন। ১৯৬৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ল্যাম্পস এখনো দুটি নামে বাতির বাজারে রয়েছে। ফিলিপস নামে শুরু করলেও ট্রান্সকমের সঙ্গে চুক্তির পর ট্রান্সটেক নামে আরও একটি বাতি বাজারে আনে তারা। ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করতে পারায় ট্রান্সটেক এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এ ছাড়া বাজারের বড় একটি অংশজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করছে দেশি ব্র্যান্ডগুলো।

ক্লিক ইলেকট্রিক্যালসের বিপণনপ্রধান অঙ্কন সাহা জানান, বাংলাদেশের আলোকপণ্যের বাজার দুই হাজার কোটি টাকার আশপাশে। প্রতিবছরই প্রায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে আলোর বাজার। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর প্রভাব এখানে নেই বললেই চলে। প্রায় ৯০ শতাংশজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশি ব্র্যান্ড। এর মধ্যে ওয়ালটন, সুপারস্টার, ট্রান্সটেক, ক্লিক অন্যতম। তবে মফস্​সল অঞ্চলে নন-ব্র্যান্ডেড বাতির চল এখনো বিদ্যমান। দেশি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন করা এলইডি বাল্ব ও টিউবলাইট ভোক্তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে দু–এক বছর ধরে বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে ব্যাকআপ লাইট।

সাধারণ এলইডি লাইটের মতো কাজ করে ব্যাকআপ লাইট। তবে এতে থাকে একটি ব্যাটারি, যা বিদ্যুৎ থাকার সময় চার্জ হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে নিজে নিজে আলো দিতে থাকে এ বাতি। সাধারণ এলইডি বাতির মতো কাজ করে বলে অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যাকআপ লাইটের দিকে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ব্যাকআপ লাইট প্রায় এক ঘণ্টা আলো দিতে পারে। যে কারণে দাম বেশি হলেও অনেকেই প্রয়োজন অনুযায়ী কিনছেন ব্যাকআপ লাইট।

তুলনামূলক নতুন ব্র্যান্ড হলেও বাজারে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে ক্লিক। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ক্লিক এরই মধ্যে বাজারে এনেছে বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি। এর মধ্যে সেন্সর লাইট ও রিমোট কন্ট্রোল লাইট অন্যতম। মানুষের হাঁটাচলার ওপর ভিত্তি করে সেন্সরের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠে সেন্সর লাইটে। অন্যদিকে অ্যাপের মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল লাইট ব্যবহার করা যায় যেকোনো জায়গায়। কিন্তু নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে এলেও চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে নন-ব্র্যান্ডেড লাইট।

আছে নন–ব্যান্ড

বাংলাদেশের বহু জায়গা, বিশেষ করে মফস্​সল অঞ্চলে এখনো প্রভাব বিস্তার করে আছে নন-ব্র্যান্ডের বাতি। বিভিন্ন দেশি কোম্পানিকে টেক্কা দিতে বিদেশ থেকে আমদানি করে মানহীন পণ্য তৈরি করছেন অনেকে। ক্রেতারাও দাম ও মানের পার্থক্য বুঝতে না পেরে প্রতারিত হচ্ছেন। এসব বাতি যেমন দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর ক্ষতি করছে, তেমনই ক্ষতি করছে ভোক্তাদের, এমনকি পরিবেশেরও। ক্লিক ইলেকট্রিক্যালসের ব্যবসা পরিচালনের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সাগর পাল জানান, নন–ব্র্যান্ডেড পণ্যগুলো একাধারে যেমন দেশীয় কোম্পানিগুলোর ক্ষতি করছে, তেমনই মানুষ ও পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, নন-ব্র্যান্ডেড বাতিগুলোয় গুণগত মান নিশ্চিত করা হয় না। ফলে প্যাকেটের গায়ে যে পরিমাণ আলো লেখা থাকে, সে পরিমাণ আলো দিতে পারে না। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলো কমে যাওয়া, আলো ব্লিংক করা, দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ভোক্তাদের। এ ছাড়া নষ্ট বাতি প্রচুর ই-বর্জ্য তৈরি করে, যা পরিবেশের প্রচুর ক্ষতি করে।

নন-ব্র্যান্ডেড বাতিগুলোর দৌরাত্ম্য শহরাঞ্চলে দেখা যায় না বললেই চলে। তবে মফস্​সল অঞ্চলে কিংবা গ্রামের দিকে কম দামে মানহীন পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায় তাদের, যা দেশীয় আলোর বাজারে বড় প্রভাব ফেলছে। এটি শুধু ব্যবসা নয়, ক্ষতি করছে ভোক্তাদেরও।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নন ব র য ন ড ড ব স ত র কর জনপ র য় র জন য ত মনই ব যবস ক বছর

এছাড়াও পড়ুন:

৬০০ মডেলের বাতি তৈরি করে ওয়ালটন

প্রশ্ন:

ওয়ালটন কেন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবসায় এল?

সোহেল রানা: আপনারা সবাই জানেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস বাজারে একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। নিত্যনতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং সেই পণ্যের মাধ্যমে ভোক্তার চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের ব্যবসার মূল লক্ষ্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাতি বা লাইটিং ব্যবসায় পদার্পণ করা। নগর এবং পল্লি অঞ্চলে ব্যাপক বিদ্যুৎ–সংযোগ সম্পন্ন হওয়ার ফলে বৈদ্যুতিক বাতির চাহিদা অনেক বেশি। একটা সময় ফিলামেন্ট বাল্ব থেকে কালের পরিক্রমায় সিএফএল হয়ে বর্তমানে এলইডি প্রযুক্তির বাতির ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে প্রচুর চাহিদা পূরণে এই বাজার এখনো বহুলাংশে আমদানিনির্ভর অথবা নিম্নমানের পণ্য দিয়ে বাজার সয়লাব। বাংলাদেশের ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে গুণগতমানের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতি ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওয়ালটনের এই ব্যবসায় আসা। বর্তমানে আমাদের শক্তিশালী বিপণন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রান্তে আমরা ওয়ালটন লাইটের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছি।

প্রশ্ন:

কত ধরনের কী কী বাতি তৈরি করেন?

সোহেল রানা: গাজীপুরে অবস্থিত ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে নিজস্ব উৎপাদনসক্ষমতার মাধ্যমে ওয়ালটন ১১টি শ্রেণিতে ৬০০টির বেশি মডেলে বাতি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এর মধ্যে এলইডি বাল্ব, এসি/ডিসি বাল্ব, প্যানেল লাইট, টিউব লাইট সোলার বাল্ব ও টিউব উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন পর্যায়ের ভোক্তার কথা মাথায় রেখে বর্তমানে ওয়ালটনের পাশাপাশি আমরা ‘সেইফ’ ও ‘রোবাস্ট’ নামের দুটি ব্র্যান্ডে বাতি উৎপাদন ও বাজারজাত করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন:

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কী কী?

সোহেল রানা:  আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে এই পণ্যের বাজারে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবন দল প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। স্টেট অব দ্য আর্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে আমাদের প্রতিটি বাতি। পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্য ডিওবি লিনিয়ার প্রযুক্তি, সার্জ প্রটেকটেড সুবিধা, অটোমেটিক এজিং লাইন ব্যবহার করা হয়। ফলে বাতির আলো দেওয়ার পরিমাণ ও জীবনকাল বৃদ্ধি পায় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তুলনামূলক বেশি। আলোর কারণে চোখের ব্যথা বা মাথাব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের প্রতিটি বাতি সম্পূর্ণ ফ্লিকার–ফ্রি। তা ছাড়া এসি/ডিসি বাল্ব যেটা লোডশেডিংয়ে ব্যাকআপ আলো দেয়, সেটার গুণগতমান ঠিক রাখার জন্য সাধারণ ব্যাটারির পরিবর্তে আমরা লিথিয়াম আয়ন ফসফেট ব্যাটারি ব্যবহার করছি যা এসি/ডিসি বাল্বের পারফরম্যান্স ৩ গুণ বেশি বৃদ্ধি করেছে।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশে বাতির বাজার কত বড়? 

সোহেল রানা: অনেক প্রতিবন্ধকতা আর নীতিগত জটিলতা থাকলেও বাংলাদেশের বাজারে বাতির একটা সম্ভাবনাময় ব্যবসা যার ফলে প্রতিনিয়ত বাজারে নতুন প্রতিযোগী প্রবেশ করছে। ১০ থেকে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কনজ্যুমার ও কমার্শিয়াল বাতির বাজারের আকার বার্ষিক আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও বিশেষ প্রজেক্ট রিলেটেড লাইটিংয়ের চাহিদা বিবেচনায় আনলে বাংলাদেশে বাতির বাজার আরও একটু বেশি। নতুন কোম্পানি হিসেবে ওয়ালটন ৮ থেকে ১০ শতাংশ বাজার শেয়ার দখল করে আছে।

প্রশ্ন:

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

সোহেল রানা: ভবিষ্যৎ বাজারের চাহিদা পর্যালোচনা করে বেশ কিছু পদক্ষেপ আমরা এরই মধ্যে হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘সোলার হোম সলিউশন’। ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষায় এবং বিকল্প বিদ্যুতের চাহিদা হিসেবে সোলার বাল্ব, টিউব, সোলার প্যানেলসহ একটা কমপ্যাক্ট হোম সলিউশন তৈরি করা যেন ভোক্তা খুব সহজে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য ব্যবহার করতে পারে। তা ছাড়া নিজস্ব অ্যাপ, রিমোট ও গুগল অ্যালেক্সার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন স্মার্ট মোশন ডিটেক্টরম এবং মাল্টিফাংশন করা যায়, এমন বাতি নিয়েও আমরা কাজ করছি।

সোহেল রানা
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড সিবিও, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্ব আলো দিবসে খুশির আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে আকিজ এলইডি লাইট
  • এলইডি প্রযুক্তির বাতি তৈরি করে সুপার স্টার
  • ৬০০ মডেলের বাতি তৈরি করে ওয়ালটন