কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রানা, সম্পাদক তৃষ্ণু
Published: 15th, May 2025 GMT
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের যৌথ স্বাক্ষরে ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সংগঠন পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন নেতৃত্বকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কমিটিতে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাহিদ রানা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন ফয়সাল রশিদ তৃষ্ণু। সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন আবুল কালাম।
আরো পড়ুন:
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্যর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল কাল
ঢাবিতে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদলের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন, ক্ষোভ
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি শাহাবউদ্দিন ভূইয়া তুহিন হাসিব, তারেক আজিম ভূইয়া রাজন, শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমনুন রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন উল আজিম কাফি, আহসানুল রাব্বি, ওসাম রহমান, ফারদিন মজুমদার, রকিবুল ইসলাম বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন।
স্থানীয় ছাত্রদল সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা মহানগর শাখায় কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির ছিল। পুরনো কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। নতুন কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটি ফের সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
নতুন সভাপতি নাহিদ রানা বলেন, ‘‘এ কমিটি তৃণমূল ছাত্রদলকে উজ্জীবিত করবে। আমরা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থী-অধিকার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছাত্রদলকে সক্রিয় করতে চাই।’’
বিএনপির নেতারা জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ছাত্র রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে তারা সংগঠনকে আরো সংঘবদ্ধ করতে চান।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র কম ট র স গঠন গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।