কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার  (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের যৌথ স্বাক্ষরে ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। 

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সংগঠন পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন নেতৃত্বকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কমিটিতে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাহিদ রানা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন ফয়সাল রশিদ তৃষ্ণু। সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন আবুল কালাম।

আরো পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্যর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল কাল

ঢাবিতে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদলের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন, ক্ষোভ

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি শাহাবউদ্দিন ভূইয়া তুহিন হাসিব, তারেক আজিম ভূইয়া রাজন, শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমনুন রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন উল আজিম কাফি, আহসানুল রাব্বি, ওসাম রহমান, ফারদিন মজুমদার, রকিবুল ইসলাম বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন।

স্থানীয় ছাত্রদল সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা মহানগর শাখায় কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির ছিল। পুরনো কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। নতুন কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটি ফের সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

নতুন সভাপতি নাহিদ রানা বলেন, ‘‘এ কমিটি তৃণমূল ছাত্রদলকে উজ্জীবিত করবে। আমরা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থী-অধিকার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছাত্রদলকে সক্রিয় করতে চাই।’’

বিএনপির নেতারা জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ছাত্র রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে তারা সংগঠনকে আরো সংঘবদ্ধ করতে চান।  
 

ঢাকা/রুবেল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র কম ট র স গঠন গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

৫ জুলাইয়ের পর আর কোনো আলোচনা নয়, আপনি বিদায় নেন

পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদকে উদ্দেশে করে বলেছেন, ‘আপনি সরকারকে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছেন। কারো সঙ্গে আলোচনা না করে যা ইচ্ছা তাই করছেন। ক্রাশার মিল গুড়িয়ে দিচ্ছেন, অন্ধ কল্যাণ সমিতির স্থাপনা ভেঙে দিচ্ছেন। দু’এক নেতাকে বশ করে আপনি যদি মনে করেন, পার পেয়ে যাবেন তা হলে ভুল করবেন। ৫ জুলাইয়ের পর আপনার সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয়। আপনি বিদায় নেন।’

আজ বুধবার দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসককে ‘সিলেট বিদ্বেষী’ বলে অ্যাখ্যা দেন আরিফুল হক।
  
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আজ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনটি সিলেট জেলা পাথর ও পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে আগামী শনিবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সমাবেশে পরিবহন নেতারা জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি করেন। যখন সমাবেশে জেলা প্রশাসকের যখন অপসারণ দাবি হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত নেতাসহ অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন তিনি। বৈঠকে সিলেটের পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন রাজনৈতিক নেতাসহ অংশীজনেরা। 

সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক-মালিকদের দাবিগুলো ন্যায্য ও যৌক্তিক। সরকার যদি দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে সিলেটের অর্থনীতি থমকে যাবে। 

সম্প্রতি পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গত কয়েক মাস ধরে বিচ্ছিন্নভাবে স্মারক লিপি ও মিছিল মিটিংয়ের পর গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। গত শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোড-আনলোডের কর্মবিরতি ও গত রোববার থেকে সিলেট জেলা সকল পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। এ অবস্থায় আগামী শনিবার থেকে নতুন করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। 

বুধবার সমাবেশে তারা ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবিগুলো হচ্ছে- বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকের অবসান, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, প্রাইভেট কোম্পানিকে গাড়ির ফিটনেস না দেওয়া ও ডাম্পিং আইন স্থগিত রাখা। 

সমাবেশে আরিফুল হক ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, পরিবহন শ্রমিক নেতা মইনুল ইসলাম প্রমুখ। 

অপর দিকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজউল হাসান লোদী কয়েস, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জামায়াতের জেলা আমির হাবিবুর রহমান, মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। 

সভায় উপস্থিত থাকা নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি চালু, ক্রাশার মিলে অভিযান বন্ধ ও অন্ধ কল্যাণ সমিতির জায়গা থেকে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি করেছি। জেলা প্রশাসক পজিটিভ। তিনি পাথর কোয়ারি ইজারা বন্ধের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ক্রাশার মিলে যাদের বৈধতা আছে তাদের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।’ 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে। উনি (আরিফুল হক) কি জন্য আমাকে নিয়ে এত কথা বলেছেন তা তিনি ভালো বলতে পারবেন। পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন দাবির ক্ষেত্রে সবার কথা শোনা হচ্ছে। দাবিগুলো ভেবে দেখা হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন আপদের নাম ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ
  • গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায় হামাস
  • ৫ জুলাইয়ের পর আর কোনো আলোচনা নয়, আপনি বিদায় নেন