ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশার পাঁচজন চালককে প্যাডেলচালিত রিকশা ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ‘মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে’ এসব রিকশা ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড় থেকে আসাদগেট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকায় প্রধান সড়কে (মিরপুর রোড) অভিযান চালিয়ে ১৮টি রিকশা জব্দ করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৬টি রিকশাই ভেঙে দেওয়া হয়। এসব রিকশা গাবতলী এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটির আমিনবাজার কাঁচাবাজারের জায়গায় ডাম্পিং করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালকদের মধ্যে তাঁরা পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন। পরে তাঁদের জন্য প্যাডেলচালিত রিকশা কেনা হয়েছে। আজ এসব রিকশা হস্তান্তর করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁদের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।

সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আমিনুল হক বলেন, যেহেতু ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় চলাচলের জন্য বিপজ্জনক, তাই ক্ষতিগ্রস্তদের প্যাডেলচালিত রিকশা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপির প্রত্যেক নেতা–কর্মী যেন নিজ নিজ এলাকার এ ধরনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম এ রাজ্জাক, মাহাবুব আলম, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সদস্যসচিব রুনা লায়লা, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হোসাইন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী, রূপনগর থানা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক প্রমুখ।

আরও পড়ুনডিএনসিসির অভিযানে আসলে কয়টি ব্যাটারিচালিত রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল২০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘প্রতারক’ ইসাহাক আলী মনির শাস্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতকারী ‘প্রতারক’ ইসাহাক আলী মনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পাওনা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ‘ইসহাক আলী মনি একজন মহা প্রতারক। কখনও কর্পোরেট হাউজের মালিক, কখনও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, কখনও হাসপাতালের মালিক, আবার কখনও সংবাদপত্রের মালিক সেজে অফিস ডেকোরেশনের নামে  আসবাবপত্র, এসি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ অফিস সাজানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকিতে নিয়ে আর টাকা দেয় না। টাকা চাইলে নানান টালবাহানা করতে থাকেন। মামলা করতে বলেন। তার এই প্রতারণার ফাঁদে অনেক ব্যবসায়ী আজ নিঃস্ব হয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ইসাহাকের গ্রামের বাড়ি কখনও কুষ্টিয়া, কখনও পাবনা, কখনও সিরাজগঞ্জ বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বলে থাকেন। প্রকৃত ঠিকানা কখনোই ব্যবসায়ীদের উল্লেখ করেন না। ঢাকায় নিজ কার্যালয়ের ঠিকানা কাউকে দেন না। তবে মাঝেমধ্যে বড় ফ্ল্যাট নিয়ে অফিস সাজানোর নামে এসব প্রতারণা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতারণার ফাঁদে ছোট ব্যবসায়ীরাই শুধু নয়, বড় কর্পোরেট হাউস গ্রামীণ ফোন, অটবি, ফ্রিজ এসি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরাও সর্বস্বান্ত। তার চটকদার কথায় সকলেই মুগ্ধ হয়ে যায়। আর এ সুযোগেই প্রতারণা করে আসছেন ইসাহাক আলী মনি। এ প্রতারকের কাছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা পাওনাদার। অবিলম্বে এই প্রতারককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ