জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে সন্ধ্যার পর আকাশ বেশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, মধ্যরাতের আকাশ এখন বেশ রঙিন দেখা যায়। তাই খালি চোখে বা ছোট টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারের সাহায্যে সহজেই বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন আগ্রহী ব্যক্তিরা। ৩১ মে পর্যন্ত দেশের আকাশে যেসব চমক দেখা যাবে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

১৬ মে

শুক্র গ্রহ এদিন পশ্চিমের ভোরের আকাশে দেখা যাবে। মধ্যরাত থেকে ভোরের আকাশে দৃশ্যমান থাকবে শুক্র গ্রহ।

১৭ মে

বৃহস্পতি গ্রহ সৌর সংযোগস্থলে সূর্যের পেছনে চলে যাবে। পশ্চিম দিগন্তে সন্ধ্যার আকাশে দেখা যাবে বৃহস্পতি গ্রহ।

১৮ মে

মঙ্গল গ্রহ সন্ধ্যার পরপরই দেখা যাবে। পশ্চিম দিগন্তের ৬৩ ডিগ্রিতে অবস্থান করায় বেশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে মঙ্গল গ্রহ। দিগন্তের দিকে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে অস্ত যাবে মঙ্গল গ্রহ। ইউরেনাস এদিন সৌরজগতের পৃথিবী থেকে দূরবর্তী প্রান্তে অবস্থান করবে।

১৯ মে

রাত ৯টা ১৩ মিনিট থেকে আকাশে এম৭ তারামণ্ডল দেখা যাবে। সন্ধ্যার আকাশে এনজিসি৫১২৮, এম৮৩, এম৯৪ দেখা যাবে।

২০ মে

সন্ধ্যার পর আকাশে গ্লোবুলার ক্লাস্টার এম২২, এম৪, এম১২, এম১৫ দেখা যাবে।

২১ মে

সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাতে আকাশে এম৮৩, এম১০১ দেখা যাবে।

২২ মে

সন্ধ্যার আকাশে মঙ্গল গ্রহ, বৃহস্পতি গ্রহ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।

২৩ মে

এদিন মধ্যরাতে আকাশে চাঁদ ও শনি গ্রহ প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করবে।

২৪ মে

এদিন চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে।

২৫ মে

রাত ১টা ৫২ মিনিটে আকাশে নেপচুন গ্রহ দেখা যাবে।

২৬ মে

পেরিজি অবস্থানে থাকবে চাঁদ। এদিন চাঁদ তুলনামূলক বড় দেখাবে।

২৭ মে

রাত ৮টার পর এম৭ ও এম৬ ওপেন ক্লাস্টার তারকামণ্ডল দেখা যাবে।

২৮ মে

তারকামণ্ডল এম৪ সন্ধ্যার আকাশে ভালোভাবে দেখা যাবে।

২৯ মে

শনি গ্রহ মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেখা যাবে।

৩০ মে

নেপচুন গ্রহ মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেখা যাবে।

৩১ মে

সূর্যের চারপাশে বুধ গ্রহ ৮৮ দিনের নিজের কক্ষপথ একবার আবর্তন করে। আর তাই এদিন সূর্যের সবচেয়ে কাছের বিন্দু পেরিহেলিয়নে অবস্থান করবে বুধ গ্রহ।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ, ইন দ্য স্কাই ও স্কাই ম্যাপস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন করব

এছাড়াও পড়ুন:

নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ, কুওমোকে সমর্থন ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আজ মঙ্গলবার। আগাম ভোট শুরু হয়েছে আগেই। নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে রয়েছেন। এ অবস্থায় তাকে ঠেকাতে ‍উঠেপড়ে লেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে সমর্থন করেছেন। 

মঙ্গবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

৬০ হাজার ৮০২ টন গম নিয়ে দেশে এল যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জাহাজ 

আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউ ইয়র্ক বাসীদেরকে বামপন্থি প্রার্থী জোহরান মামদানিকে নির্বাচিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, “আপনি ব্যক্তিগতভাবে অ্যান্ড্রু কুওমোকে পছন্দ করুন বা না করুন, আপনার আসলে কোনো বিকল্প নেই। আপনাকে অবশ্যই তাকে ভোট দিতে হবে এবং আশা করি তিনি দুর্দান্ত কাজ করবেন। তিনি এটি করতে সক্ষম, মামদানি নন!”

নিউ ইয়র্কের সাবেক গভর্নরের প্রতি ট্রাম্পের এই সমর্থন বহুল আলোচিত মেয়র নির্বাচনের প্রাক্কালে এসেছে।

এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মামদানি নির্বাচিত হলে তিনি তার শহর নিউ ইয়র্কে ফেডারেল তহবিল পাঠাতে অনিচ্ছুক হবেন।

সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউ ইয়র্কে প্রচুর অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে, কারণ যদি নিউ ইয়র্ক পরিচালনা করেন একজন কমিউনিস্ট, তাহলে আপনি কেবল সেখানে পাঠানো অর্থ নষ্ট করছেন।” 

উগান্ডায় জন্ম নেয়া নেয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত মা-বাবার সন্তান মামদানি একজন মুসলিম। 

জনমত জরিপে দেখা গেছে, মামদানি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত অ্যান্ড্রু কুওমোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দীর্ঘদিনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা কুওমো, ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানির কাছে হেরে যাওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া পিছিয়ে আছেন।

ট্রাম্প রিপাবলিকান হওয়া সত্ত্বেও দলীয় প্রার্থী স্লিওয়াকে সমর্থন করেননি।

ফেডারেল তহবিল সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “মামদানি নির্বাচিত হলে আমি ফেডারেল তহবিলে অবদান রাখার সম্ভাবনা খুবই কম।”

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। নিউ ইয়র্ক সিটি এই অর্থবছরে ফেডারেল তহবিলে ৭.৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে,  যা শহরের মোট ব্যয়ের প্রায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
মামদানি ২৪ জুন প্রাইমারিতে এক অবিশ্বাস্য জয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের হতবাক করে দেন।

মামদানি তার প্রচারণার মাধ্যমে নিউ ইয়র্কবাসীদেরকে কুওমোর মতো প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছেন, কুওমো তিনবার নিউ ইয়র্কের গভর্নর নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু ২০২১ সালে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি প্রতিবেদনের পর পদত্যাগ করেন।

নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য সস্তায় খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থান- এ তিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মামদানি। শনিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ফোন করেন মামদানিকে। জিতলে তাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন ওবামা। মামদানির মুখপাত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ