ঢাকায় পোল্যান্ড দূতাবাস চালুর অনুরোধ
Published: 3rd, July 2025 GMT
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ময়নুল ইসলামের পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজ দুদার কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বুধবার (২ জুলাই) পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পোল্যান্ড সেনাবাহিনী রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার দেয়।
রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজ দুদা আন্তরিকভাবে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং তার দায়িত্ব পালনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, জনশক্তি, প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বহুমাত্রিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ঢাকায় পোল্যান্ড দূতাবাস চালু করার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর রাষ্ট্রদূত পোল্যান্ডের ইতিহাস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘অজানা সৈনিকদের সমাধি’তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে
সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের দায় পরিশোধ হয়েছে ৫১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকায় নেমেছে। এর মানে এ পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা দেন ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখা হবে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে উল্টো ঋণ কমেছে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। প্রতি বছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও গত তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ উল্টো কমছে।
ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের বাইরেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে সরকার আরও ৪৬ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছর সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এ সময়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।