Prothomalo:
2025-11-03@14:11:09 GMT

দুই রূপের ইগলের জোড়া

Published: 3rd, July 2025 GMT

শেরপুরে গিয়েছিলাম গত বছরের মার্চে। উদ্দেশ্য, সেখানকার পাখি ও বন্য প্রাণীদের খোঁজখবর নেওয়া। শেরপুর বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. মুগনিউর রহমান ভাই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ১ মার্চ শেরপুরে যাই। পরদিন ২ মার্চ ভোরে মুগনিউর ভাইয়ের মোটরসাইকেলে করে বেরিয়ে পড়ি। ঝিনাইগাতী উপজেলার বগাডুবি ব্রিজের আশপাশে ও রাংটিয়া বনে ঘুরে আমার বন্য প্রাণী তালিকায় দুটি নতুন পাখি ও একটি প্রজাপতি যোগ করতে সক্ষম হলাম। ৩ মার্চ সকালে শহরের কাছে রৌয়া বিলে গিয়ে কয়েকটি পাখির কিছু ভালো ছবি তোলা গেল। ফিরতি পথে একটি পরিত্যক্ত বাগানবাড়িতে গেলাম খ্যাঁকশিয়ালের খোঁজে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও খ্যাঁকশিয়ালের দেখা পেলাম না।

খ্যাঁকশিয়াল খুঁজতে খুঁজতে একসময় বাগানবাড়ির পুকুরের পাড়ে গেলাম। পাড়ে বিশাল মেঘশিরীষগাছ। সেই গাছের ডালে গাঢ় কালচে বাদামি রঙের একটি শিকারি পাখি। ছবি তোলার সময় লক্ষ করলাম, পাখিটির পায়ের নিচে সদ্য শিকার করা মুরগির ছানা। বেশ কয়েকটি ছবি তোলার পর হঠাৎ লক্ষ করলাম, গাছের বেশ উঁচুতে একটি পাখির বাসা। সেখানে একই আকার ও গড়নের কিছুটা হালকা কালচে বাদামি রঙের আরেকটি শিকারি পাখি। মনে হলো, পাখিটি ডিমে তা দিচ্ছে।

কিছুক্ষণ পর হালকা রঙের পাখিটি বাসা থেকে নেমে ডালের ওপর দাঁড়াল। এর কিছুক্ষণ পর গাঢ় রঙের পাখিটি বাসায় গিয়ে বসল। আসলে দেহের রং দুই রকম হলেও পাখি দুটি কিন্তু একই প্রজাতির। দুই রূপের পাখিকে সুন্দরবনে বহুবার দেখলেও জোড় বাঁধা অবস্থায় একসঙ্গে এই প্রথম দেখলাম। বেশ কিছু ছবি তুলে আবারও খ্যাঁকশিয়ালের খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম।

এতক্ষণ যে দুটি পাখির গল্প বললাম, ওরা এ দেশের দুর্লভ আবাসিক পাখি—বহুরূপী ইগল। কালো বা শিখাযুক্ত ইগল নামেও পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে বলে শাবাজ সাদাল। ইংরেজি নাম চেঞ্জেবল বা ক্রেস্টেড হক-ইগল। অ্যাক্সিপিট্রিডি গোত্রের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Nisaetus cirrhatus। পাখিটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা।

শেরপুর শহরের কাছে পরিত্যক্ত বাগানবাড়ির মেঘশিরীষগাছে গাঢ় রঙের বহুরূপী ইগল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।

আরো পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।

এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।

এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
 

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ