কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ছুরিকাঘাতে আবদুল আজিজ (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল আজিজ উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের দরগাহতলা এলাকার খিলাফত আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আবদুল আজিজ ভিজিএফ কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কার্ড হয়নি। কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পলাশ নামের এক ব্যক্তি আজিজের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেন। পরে কার্ড না হওয়ায় গতকাল রাতে পলাশের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চান আজিজ। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পলাশ তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে আজিজকে মারধর করেন এবং ছুরিকাঘাত করেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এতে আজিজ গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, অনলাইনে ভিজিএফ কার্ড তৈরির বিষয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ ও র‍্যাব রাত থেকেই অভিযান চালাচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪০০ বছরের পুরোনো যৌনপল্লির গল্পে ‘রঙবাজার’, আসছে দুর্গাপূজায়

চারশো বছরের পুরোনো যৌনপল্লি এক রাতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়-এই বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমা ‘রঙবাজার’। তামজিদ অতুলের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।

লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত ‘রঙবাজার’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত যৌনপল্লি দৌলতদিয়ায়। নির্মাতা বলেন, ‘‘রঙবাজার’ দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে এটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য নয়, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মনস্তত্ত্বকে কেন্দ্র করেই নির্মাণ। তাই সঠিক সময় বেছে নেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’

দুর্গাপূজার সময়টিকে নিজের জন্য ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘গত বছর মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সামগ্রিক অবস্থা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। এবার পূজায় মুক্তি দিতে চাই। কারণ, এই উৎসবেই আমার “পদ্মাপুরাণ” মুক্তি পেয়েছিল। সে সময় দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিলাম, এবারও তেমনটাই আশা করছি।’

সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যৌনপল্লি নিয়ে এ দেশে খুব বেশি চলচ্চিত্র তৈরি হয়নি। এই পেশাকে আমাদের সমাজ আজও অন্ধ চোখে দেখে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পেশারও রং বদলেছে। টানবাজার উচ্ছেদের সময় যা ঘটেছিল, তার পরিণতি আজও টের পাওয়া যায়। সিনেমায় আমরা সেই সময়টাকে তুলে ধরেছি-এই পেশা কি উচ্ছেদের পর বিলুপ্ত হয়েছে, নাকি সমাজের ভেতরে আরও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে?’

‘রঙবাজার’-এ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শম্পা রেজা, তানজিকা আমিন, নাজনীন হাসান চুমকি, জান্নাতুল পিয়া, শাহজাহান সম্রাট, মৌসুমী হামিদ, মানিক সাহা, লুৎফুর রহমান জর্জ ও মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

নির্মাতা ও কলাকুশলীদের প্রত্যাশা, দর্শক এ সিনেমায় বাস্তবতাকে নতুনভাবে দেখবেন। সমাজের এক প্রান্তে পড়ে থাকা একটি আলো-আঁধারির পেশার মানুষদের গল্প হয়তো নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ