বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ
Published: 17th, May 2025 GMT
হুটহাট সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দুই টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল যাবে পাকিস্তানে। পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে। তার আগে পরিকল্পনা হলো দুবাইয়ে ক্যাম্প করবে। সঙ্গে দুইটি ম্যাচও খেলবে। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলার পরিবর্তে স্বাগতিক দলকেই প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
আইসিসির সহযোগী দেশটিও সুযোগ লুফে নেয়। দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচ।
ক্রিকেটের বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ও ম্যাচের সাক্ষী হয়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের ২০ ওভারের ক্রিকেটের এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজের স্পন্সর ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। এবারের সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে ‘ওয়ালটন ইউএই বনাম বাংলাদেশ টি২০ সিরিজ ২০২৫।’ ১৯ মে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
দুই দল এর আগে তিন ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৬ এশিয়া কাপে ঢাকায় প্রথমবারের দেখায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ খুব সহজেই হারায়। এরপর ২০২২ সালে বাংলাদেশ একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে তাদের বিপক্ষে। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া দুটি ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতেছে। দুই দল দ্বিতীয়বার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অপেক্ষায়।
এই সিরিজ দিয়ে নতুন পথ চলা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরও। বাংলাদেশ পাকাপাকিভাবে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলতে নামতে যাচ্ছে। নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর বিসিবি অপেক্ষায় ছিল নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করার। চার মাস অপেক্ষার পর বিসিবি লিটন দাসকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে।
এর আগে লিটন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অধিনায়কত্ব তার কাছে নতুন নয়। তবে পাকাপাকিভাবে অধিনায়কত্ব পাওয়ায় নিজের ক্যানভাসকে বড় করে দেখছেন তিনি। ইতিবাচক থেকে নতুন দায়িত্বকে সুযোগ হিসেবে নিতে চান তিনি,
“চাপের কিছু নেই। অধিনায়ক যখন ছিলাম না, তখনও খারাপ করেছি। এখনও এমন না যে, অধিনায়ক হলে আবার খারাপ করব। এটা বাড়তি সুবিধা হতেও পারে। যেহেতু একটা নতুন সুযোগ এসেছে.
লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বের মেয়াদ আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার দৃষ্টিও এখন সেই আসরেই, “স্বাভাবিকভাবেই এটা (লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব) ইতিবাচক বিষয়। কারণ আপনি যখন লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পাবেন, অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন। এখন দেখার বিষয়, এই সময়ের মধ্যে আমি দলটা কতটুকু গুছিয়ে নিতে পারি। আমিও অনেক আশাবাদী এটা নিয়ে যে, দীর্ঘমেয়াদি একটা চিন্তা থাকবে। আমার হাতে যে ক্রিকেটাররা আছে, (বিশ্বকাপে) আমরা ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।”
এর আগে ৪ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া লিটনের নতুন শুরুটা কেমন করেন সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ই দল সময় র
এছাড়াও পড়ুন:
‘রুকন না হলে চাকরি থাকবে না’ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যাখ্যা
‘রুকন না হলে চাকরি থাকবে না, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক কখনোই এমন বক্তব্য প্রদান করেননি যে, চাকরি টিকিয়ে রাখতে কোনো সংগঠনের রুকন হওয়া আবশ্যক। এ ধরনের বিভ্রান্তুমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে সম্ভবত এই বিষয়ে ভুল তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক দেননি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। তিনি একজন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, সেই সাথে একজন বরেণ্য আলেম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে এমন ভ্রান্ত বক্তব্য প্রচার নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যা সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পরিচালিত হয়। এখানে চাকরি ও নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়াবলি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। ব্যক্তিগত কোনো মত বা সংগঠনভিত্তিক সদস্যপদ এসবের সঙ্গে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ পদোন্নতিসহ সমস্ত প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা বোর্ড অফ গভর্নরস-এর। সেই বোর্ড অফ গভর্নরস-এ পদাধিকার বলে ধর্ম উপদেষ্টা এর চেয়ারম্যান। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতা শাহ নেছারুল হক, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, তামিরুল মিল্লাতের অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীসহ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিরা রয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী মহাপরিচালকের এককভাবে কারো চাকরি বাতিল করার কোনো ক্ষমতা নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি